ব্রন দূর করার কিছু উপায় দেয়া হল: এসপিরিন নিউইয়র্কের ডার্মাটোলজিস্ট এবং স্কিন রুলস বইয়ের লেখক ডেবরা জেলিমান জানান, এসপিরিন হলো এক ধরনের সলিসিলিক এসিড। একনি বা ব্রণ দূর করার পণ্যগুলোতে এই উপাদান ব্যবহার করা হয়। এসপিরিন গুঁড়ো করে পানি দিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। তুলার মধ্যে লাগিয়ে এই পেস্ট সরাসরি ব্রণের মধ্যে ১০ মিনিট রাখুন। এর পর উষ্ণ গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। চা-গাছের তেল চা-গাছের তেলের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি-সেপটিক ও অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি উপাদান। কয়েক ফোঁটা চা-গাছের তেল তুলার মধ্যে লাগিয়ে খুব নরমভাবে ব্রণ ও দাগে লাগান। দেখবেন কয়েক দিনের মধ্যে ব্রণ সেরে উঠেছে। বরফ ড. জেলিমান জানান, গোড়ালি মচকে গেলে এর ফোলা কমাতে বরফ কাজ করে। এটি ব্রণের প্রদাহ কমাতেও বেশ কার্যকর। একটি বরফের ছোট টুকরো পরিষ্কার কাপড়ের মধ্যে নিয়ে এক মিনিটের জন্য ব্রণের মধ্যে রাখুন। এই পদ্ধতি ব্রণের লাল হওয়া ও ফোলাভাব কমাবে। লেবুর রস লেবুর রসের মধ্যে রয়েছে সাইট্রিক এসিড। রয়েছে এল-এসকোরোবিক এসিড, যা প্রাকৃতিক অ্যান্টি অক্সিডেন্টের উৎস। একটি তুলোর টুকরোর মধ্যে লেবুর রস মিশিয়ে ব্রণে লাগান। সারা রাত রাখুন। ব্রন দূর করতে এই পদ্ধতিও বেশ কার্যকর। রসুন রসুনের গন্ধ হয়তো আপনার বিরক্ত লাগতে পারে। কিন্তু এর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিসেপটিক ও অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান; যা ব্রণ দূর করে। রসুন দেহের বিভিন্ন রোগ-প্রতিরোধেও উপকারী। এটি ক্যানসার প্রতিরোধ করে। রসুনে রয়েছে এলিসিন ও অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান। রসুন কেটে পানির সঙ্গে পেস্ট করুন। এরপর ব্রণের মধ্যে পাঁচ মিনিট রেখে মুখ ধুয়ে ফেলুন। মধু ব্রণ দূর করতে মধুও খুব উপকারী। মিষ্টি স্বাদের এই খাবারটি আপনি মাস্কের মতো মুখে লাগাতে পারেন। পাঁচ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। এরপর ধুয়ে ফেলুন। এর ভেতর আছে অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি এবং অ্যান্টি সেপটিক উপাদান। তবে নিয়মিতি মধু ব্যবহারে ব্রণ একেবারেই সারবে কি না, সেটা নিয়ে গবেষকরা এখনো দ্বন্দ্বে রয়েছেন। তাঁদের পরামর্শ, চেষ্টা করুন অপ্রক্রিয়াজাত বা টাটকা মধু ব্যবহার করতে।
ব্রণ সমস্যা সমাধানের কিছু টিপস ১. সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে মুখমন্ডল নিয়মিত পরিষ্কার রাখা। দিনে অন্তত দু’বার ‘ফেসওয়াস’ দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন বিশেষ করে বাইরের ধুলোবালি থেকে আসার পর ও ঘুমাতে যাবার আগে। ২. যাদের মুখমন্ডল তৈলাক্ত তারা তৈলবিহীন প্রসাধন সামগ্রী ও লোশন ব্যবহার করুন। ৩. মুখমন্ডলে ব্রণ হলে তাতে খোঁচাখুঁচি করা, চাপ দেয়া ও চিমটি কাটা থেকে বিরত থাকুন কারণ এতে ইনফেকশন হয়ে স্থায়ী দাগ পড়ে যেতে পারে। ৪. ভিটামিন ও আঁশজাতীয় শাকসবজি প্রচুর পরিমাণে খাবারের তালিকায় রাখতে হবে। ৫. অধিক লবণাক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। ৬. অতিরিক্ত সূর্যালোকে চলাফেরা করার সময় ছাতা বা সানস্ক্রীন ব্যবহার করুন। ৭. নিম পাতা কাচা হলুদ ব্রনে লাগানো ৮. মানসিক চাপ পরিহার করুন। চিন্তামুক্ত ও ফুরফুরে জীবনযাপন করুন। ৯. দৈনিক কমপক্ষে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে এতে শারীরিক ও মানসিক ক্লান্তি দূর হবে। ১০.এলার্জি যুক্ত, চর্বি ও চিনিযুক্ত খাবার কম খান। ১১. দৈনিক কমপক্ষে ৮ গ্লাস পানি পান করতে হবে। পানি দেহ থেকে বর্জ্য পদার্থ নিঃসরণে সাহায্য করে। আপনার মুখের ব্রণঃ সারাতে, স্কায়ার কোম্পানির ক্লিনফেস জেল ক্রীম টি ব্যবহার করুণ, এটি ব্রণঃ এর জন্য নিদর্শিত জেল রাতে লাগানোর আগে ভালো ভাবে মৃদু গরম পানি দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিতে হবে, হাতের আঙুলে নিয়ে আলতো করে ত্বকে লাগাবেন, সকালে ব্যবহার এর সময়ে মুখে সানস্ক্রিন ক্রীম লাগাতে হবে, টানা ১৫থেকে২০ দিন পর্যন্ত ব্যবহারে ব্রণঃ একদম ভালো হয়ে যায়। এরপরও যদি ব্রণের প্রকোপ দেখা দেয় তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
আপনি রোজ রাতে ঘুমোনোর আগে, মুখে লেবুর রস তুলো দিয়ে ঘসে লাগিয়ে রাখতে পারেন এবং সকালে ঘুম থেকে ওঠার সময় আপনি কোনো ভালো একটি facewash দিয়ে মুখটা পরিষ্কার করে দেন। আপনার ব্রণ আস্তে আস্তে একেবারেই কমে যাবে, দাগ গুলিও মুছে যাবে। ( যদি দেখেন আপনার মুখ জ্বলছে লেবুর রস লাগানোর সময়, তাহলে লেবুর রসের সঙ্গে একটু মধু মিশিয়ে নেন, এতে আপনার মুখ জ্বলাটাও কমবে, আবার মুখ আরও ফর্সা হবে)