আসসালামু 'আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারকাতুহ, আমি যে এলাকায় থাকি, ওখানে সবাই বেরলভী (মাযার পূজারী) আকিদায় বিশ্বাসী! আমার এলাকায় আমার বাসার আশে পাশে প্রায় সকল মসজিদ-এ ইমাম এই আকীদায় বিশ্বাসী । তারা বলে নবী (সা) নূরের তৈরী, উনি আল্লাহ প্রদত্ত ইলমে গায়েব জানেন ইত্যাদি ইত্যাদি...! এখন প্রশ্ন হলো আমি কিভাবে জামাতে নামাজ পড়ব?? জামাতে নামাজ পড়া তো ওয়াজিব, আমি কি এখন এই ইমামের ইক্তিদা করবো?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call
যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে কোন ইবাদতে অন্য কোন সৃষ্টিকে শরীক করে, যেমন, মাযার পূজা, মাযারে গিয়ে সিদজা করা ইত্যাদি।

আবার যে ব্যক্তি গায়েবী (অদৃশ্যের খবর জানার) দাবি করে ও লোকেরা হাত বা ভাগ্য-ভবিষ্যৎ বলে দেয় এমন শ্রেণীর ইমামের নামায শুদ্ধ নয়, ইমামতি শুদ্ধ নয় এবং তার পশ্চাতে নামাযও শুদ্ধ নয়।

কোরআনের বহু আয়াত আছে যেগুলো থেকে এটা স্পষ্ট যে রাসূল (সাঃ) গায়েব জানতেন না। বরং গায়েবের বিষয়ে তিনি যা বলতেন, তা তিনি ওহীর মাধ্যমে বলতেন। পবিত্র কোরআনও এটাই বলে, আর তিনি নিজ ইচ্ছায় কিছু বলেন না, যতক্ষণ না তার নিকট ওহী নাযিল হয়। (সূরা আন- নাজমঃ ৩-৪)

আপনি যদি উক্ত ইমামকে বাদ দিয়ে অন্য কোন ইমামের পিছনে নামায পড়ার সুযোগ থাকে তাহলে সেটাই করতে হবে।

কিন্তু উক্ত ইমামের পিছনে নামায বর্জন করতে গিয়ে জামাত বর্জন করা জায়েয হবে না। আলেমগণ লিখেছেন, এলাকাতে যদি শুধু একজন ইমাম থাকেন তাহলে তার পিছনেই জামাতে নামাযগুলো আদায় করতে হবে। কেননা জামাতে নামায আদায় করা, একাকী নামায আদায় করার চেয়ে উত্তম; এমনকি ইমাম ফাসেক কিংবা বিদআতী হলেও।

কারণ সাহাবায়ে কেরাম জুমআর নামায, জামাতে নামায ফাসেক ইমামের পিছনেও আদায় করেছেন; তবুও তারা জামাত বর্জন করেন নি।

যেমন আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাঃ) হাজ্জাজের পিছনে নামায পড়েছেন। আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) ও অন্যান্য সাহাবী ওয়ালিদ ইবনে উকবার পিছনে নামায পড়েছেন। ওয়ালিদ বিন উকবা মদ্যপ ছিল। তবুও তারা জামাত ত্যাগ করেন নি।

সার কথা হচ্ছেঃ যদি আপনি এমন কোন মসজিদে যেতে পারেন যেই মসজিদের ইমাম আপনার ভাল লাগে। যিনি বিশুদ্ধ আক্বীদাহ ও সহীহ আমলের উপর প্রতিষ্ঠিত।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ