প্রকৃত মুসলমান হতে গেলে ইমানের প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস থাকতে হবে।ইমনের সাতটি বিষয় জানতে হবে এবং পালন করতে হবে।এই বিষয় গুলো হলো - আল্লাহ তায়ালার প্রতি বিশ্বাস,ফেরেশতাগনের প্রতি বিশ্বাস,আসমানি কিতাবের প্রতি বিশ্বাস,নবি-রাসুলগনের প্রতি বিশ্বাস,আখিরাতের প্রতি বিশ্বাস,তাকদিরে এব্র মৃত্যুর পর পুনরুথানের প্রতি বিশ্বাস।এই বিষয়গুলো বিশ্বাস ব্যাতিত কেউ মুমিন বা প্রকৃত মুসলিম হতে পারে না।
ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﻫﺮﻳﺮﺓ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻋﻦ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺁﻟﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ:ﺗﺮﻛﺖ ﻓﻴﻜﻢ ﺃﻣﺮﻳﻦ ﻟﻦ ﺗﻀﻠﻮﺍ ﻣﺎ ﺗﻤﺴﻜﺘﻢ ﺑﻬﻤﺎ: ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﻠﻪ ﻭﺳﻨﺔ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺁﻟﻪ ﻭﺳﻠﻢ)ﺭﻭﺍﻩ ﺍﻹﻣﺎﻡ ﻣﺎﻟﻚ - অর্থাৎ " আমি তোমাদের নিকট দুটি জিনিস রেখে যাচ্ছি। তোমরা কখনই পথভ্রষ্ট হবে না যতক্ষণ তোমরা এই দুটোকে আঁকড়ে ধরে থাকবে। ( জিনিস দুটি হল) আল্লাহর কিতাব ( কুরআন মাজিদ) এবং নবীর সুন্নাত ( হাদিস)। " - সুতরাং, উপরোক্ত হাদিস থেকে বোঝা যায় যে, ভাল মুসলিম হতে হলে আমাদেরকে অবশ্যই নিয়মিত কুরআন এবং হাদিস অধ্যয়ন এবং অনুশীলন করতে হবে।
প্রকৃত মুসলমান কে, তাদের পরিচয়ই-বা কী_ এটা বেশ কঠিন বিষয়। কাউকে এক বাক্যে এ গুণের অধিকারী বলে দেওয়া যেমন দুরূহ, তেমনি শুধু শুধু অনুমানের ভিত্তিতে কাউকে ইসলামের গণ্ডি থেকে বের করে দেওয়াও মারাত্মক গোনাহের কাজ। তবে হাদিসে প্রকৃত মুসলমানের পরিচয় বলে দিয়েছেন শেষ নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)। এ প্রসঙ্গে হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) বলেন, যার জিহ্বা ও হাত থেকে অন্য মুসলিমরা নিরাপদ, সে-ই প্রকৃত মুসলিম। আর যে আল্লাহর নিষিদ্ধ বিষয়গুলো পরিত্যাগ করে, সে-ই প্রকৃত হিজরতকারী। হাদিসটি ইমাম বোখারি (রহ.) বর্ণনা করেছেন। ইসলাম শুধু বাহ্যিক আচার-অনুষ্ঠানের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং ইসলামের শিক্ষা মানুষের পারস্পরিক সম্পর্ক ও লেনদেনের গভীরতম বিষয়গুলোকে স্পর্শ করে। তাই সেভাবে জীবন পরিচালনা করতে হবে। কথা কিংবা কাজের দ্বারা মুসলমানদের কষ্ট দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। যার মধ্যে এই বৈশিষ্ট্য নেই, তার ইমান অপূর্ণ। সেই সঙ্গে কথার ব্যাপারে খুব সতর্ক ও সচেতন হতে হবে এবং ইসলামের বাহ্যিক আচার-অনুষ্ঠান(ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নত, মাকরুহ ও হালাল, হারাম ইত্যাদি) যথার্থভাবে আদায়ের চেষ্টার পাশাপাশি অন্তরের অবস্থার দিকেও মনোযোগী হতে হবে।তবেই আপনি একজন পরিপূর্ণ মুসলমান হয়ে উঠতে পারেন৷