আওয়াবিন সালাত হলো সুন্নতে যায়িদা।হাদিসে এই সালাতের অনেক ফযিলত বর্ণিত আছে।এই সালাত আদায় করলে অনেক সওয়াব পাওয়া যায়। আওয়াবিনের সালাত মাগরিবের ফরজ ও দুই রাকআত সুন্নতের পর থেকে এশার ওয়াক্ত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত আদায় করা যায়।আওয়াবিনের সালাত দুই রাকআত করে ছয় রাকআত পড়তে হয়। আমরা অধিক সওয়াবের আশায় এ সুন্নত সালাত আদায় করব।
সালাতুল আওয়াবীন হচ্ছে আল্লাহকে অধিক স্বরণকারীদের সালাত। অথবা, আওয়াবীনের সালাত চাশত সালাতের অপর নাম। মহানবী (সাঃ) বলেন, চাশতের নামাজ হলো আওয়াবীনের নামাজ। অবশ্য সাধারণভাবে নফল নামাজ যেভাবে আদায় করতে হয় ঠিক তেমনিভাবে আওয়াবীনের সালাত আদায় করা যায়। দুই দুই রাকাআত করে আওয়াবীনের নামাজ আদায় করা যায়। যেকোন সূরা দ্বারা এই নামাজ পড়া যায়। উভয় রাকাআতেই সূরা ফাতিহার পর অন্য সূরা মিলাতে হবে এবং আখেরী বৈঠক আত্তাহিয়্যাতু, দরুদ শরীফ ও দোয়ায়ে মাছূরা পড়ে সালাম ফিরাতে হবে। মাগরিবের সালাতের পর ছয় রাকআত আওয়াবীন সালাত আদায়ের ফজিলত প্রসঙ্গেঃ আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যে ব্যক্তি মাগরিবের সালাতের পর ছয় রাকআত নফল সালাত পড়লো এবং তার মাঝখানে কোন মন্দ কথা বলেনি, তাকে বারো বছরের ইবাদাতের সম-পরিমাণ সওয়াব দান করা হলো। (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নম্বরঃ ১১৬৭ হাদিসের মানঃ যঈফ)।