ওযুর সহিত মাসজিদে প্রবেশ করে কারো
সাথে কথাবার্তা না বলে বসার পূর্বে দুই রাকআত
নামাজ পড়া সুন্নাত। এই নামাজকে 'দুখুলুল মাসজিদ' বলে।
সাধারণ সুন্নাত ও নফল নামাজের ন্যায় সাভাবিক নিয়মে যেকোন
সূরা-কিরাত দ্বারা আদায় করা যায়। উভয়
রাকাআতেই সূরা ফাতিহার পর অন্য সূরা মিলাতে হবে
এবং আখেরী বৈঠকে আত্তাহিয়্যাতু, দরুদ শরীফ ও
দোয়ায়ে মাছূরা পড়ে সালাম ফিরাতে হবে।
হযরত আব্দুল্লাহ বিন বারিদাহ তার পিতা থেকে
বর্ণনা করেন যে, রাসূল (সাঃ) ইরশাদ করেছেন,
প্রতিটি দুই আজান (আজান ও ইকামত) এর মাঝে
(নফল) নামাজ আছে মাগরিব নামাজ ছাড়া।
[মুসনাদুল
বাজ্জার, হাদীস নং-৪৪২২,আলমুজামুল
আওসাত,হাদীস নং-৮৩২৮, সুনানে দারা কুতনী,
হাদীস নং-১০৪০, সুনানে কুবরা বায়হাকী,
হাদীস নং-৪১৭২]
তাউস (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, উমার (রাঃ)- কে মাগরিবের নামাজের পূর্বে দুই রাকআত নামাজ আদায় সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেনঃ রাসূলুলল্লাহ সালল্লালল্লাহু আলাইহি ওয়াসালল্লামের যুগে আমি কাউকেও তা আদায় করতে দেখিনি এবং আমি কাউকেও আসরের পরে দুই রাকআত নামাজ আদায়ের ব্যাপারে অনুমতি দিতে দেখিনি।
[সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-১২৮৪, মুসনাদে
আবদ বিন হুমাইদ, হাদীস নং-৮০৪, সুনানে কুবরা
বায়হাকী, হাদীস নং-৪১৮৪]
আল্লামা বদরুদ্দীন আইনী (রহঃ) বলেন,
হাদীসটির সনদ সহীহ।
[উমদাতুল
কারী-৭/৩৫৮]
আল্লামা ইবনুল মুলাক্কিন (রহঃ) বলেন, এটি হাসান।
[আলবাদরুল মুনীর-৪/২৯২]
সুতরাং
মাগরিবের আজানের পর ফরজ নামাজের আগে
কোন নফল নামাজ পড়া নিষিদ্ধ। তবে প্রত্যেক
নামাজের আজান ও ইকামতে মাঝামাঝি সময়ে দুই
রাকাত নামাজ পড়া নফল। আবশ্যক নয়। শুধু মাগরিব
নামাজের ক্ষেত্রে হাদীসে নিষেধাজ্ঞা
এসেছে। অর্থাৎ মাগরিবের আজান দিলে
ফরজের আগে অন্য কোন নামাজ নেই।