যদি মুক্তাদি নিশ্চিতভাবে জেনে থাকেন
যে ইমাম তারাবীহ নামাজে অতিরিক্ত এক রাকাতের জন্য দাঁড়িয়ে গেছেন তবে ইমামকে সতর্ক করা তার উপর ওয়াজিব ছিল।
যদি ইমাম ভুল করে তিন রাকাত সালাত আদায় করে তবে তার সালাত শুদ্ধ এবং যে
মুক্তাদিরা ভুলবশত অথবা অজ্ঞতাবশত তাকে অনুসরণ করেছে তাদের সালাতও শুদ্ধ ছিল।
পক্ষান্তরে এই ইমাম অতিরিক্ত রাকাত আদায় করার ক্ষেত্রে ওজরগ্রস্ত।কারণ তিনি
ভুল করেছেন। তাই তার সালাত বাতিল হবে
না।
ইমাম যদি ভুলবশত তিন রাকাত সালাত আদায় করে এবং ঐভাবেই সালাত শেষ
করে দেয়ার পর স্মরণ হয় যে, সালাতে বৃদ্ধি হয়ে গেছে, তবে শুধুমাত্র সাহু সিজদা করবে। তাহলেই সালাত বিশুদ্ধ হয়ে যাবে।
কিন্তু সালাতরত অবস্থায় যদি উক্ত বৃদ্ধি স্মরণ হয়, যেমন দুই রাকাত শেষ
করে তিন রাকাতের জন্য দাঁড়িয়ে গেছে তবে সে ফিরে আসবে এবং শেষে সিজদায়ে সাহু করবে।
দলীল:
আবদুল্লাহ বিন মাসঊদ (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যোহরের নামাজ পাঁচ রাকাত পড়লেন। তাকে প্রশ্ন করা হল, নামাজ কি বৃদ্ধি করা হয়েছে? তিনি
বললেন, কিভাবে? তারা বললেন, আপনি আজ পাঁচ রাকাত পড়েছেন। তখন তিনি দুইটি সিজদা করলেন।
অন্য রেওয়ায়াতে এসেছে, তখন তিনি পা গুটিয়ে ক্বিবলামুখি হলেন, দুইটি সিজদা করলেন অত:পর সালাম ফেরালেন।
তারাবীহ নামাজ ভুলে তিন রাকাত পড়ে ফেললে ইমামের করণীয়ঃ
(১) যদি ইমাম সালাতরত অবস্থায় নিজের ভুল সম্পর্কে নিশ্চিত হন কিংবা সরবে ‘তাকবীর’ বলার মাধ্যমে লোকমা দিয়ে মুক্তাদীগণ ভুল ধরিয়ে দেন, তবে তিনি শেষ বৈঠকের তাশাহ্হুদ শেষে তাকবীর
দিয়ে পরপর দুইটি ‘সিজদায়ে সাহু’ দিবেন। অতঃপর সালাম ফিরাবেন।
(২) যদি রাকাত বেশী পড়ে সালাম ফিরিয়ে দেন, অতঃপর ভুল ধরা পড়ে, তখন (পূর্বের ন্যায় বসে) তাকবীর দিয়ে ‘সিজদায়ে সাহু’ করে সালাম ফিরাবেন।
(৩) সালাতের কমবেশী যাই-ই হৌক সালামের আগে বা পরে দুইটি ‘সিজদায়ে সাহু’ দিতে হবে।
মোট কথা ‘সিজদায়ে সাহু’ সালামের পূর্বে ও পরে দুই ভাবেই জায়েয আছে।
তারাবীহ নামাজ তিন রাকাত যদি ইচ্ছাকৃত করে তবে সালাত বাতিল হয়ে যাবে। আর যদি ভুলক্রমে হয়, কিন্তু অনেক পরে তার এ ভুলের কথা মনে পড়ল তবে নামাজ পুনরায় ফিরিয়ে পড়বে।
[۞ বিস্তারিত ইমাম সাহেবকে থেকে জেনে নিতে পারেন আর এটাই উত্তম ছিল। কারন তিনিই সব ভাল যানেন। ۞]