সহীহ হাদিস অনুযায়ী ইশার নামাজ প্রধানত মোট ৬ রাকায়াত।
ইশার ৪ রাকায়াত ফরজ। তারপর ২ রাকায়াত সুন্নাত এই ২ রাকায়াত সুন্নাত হল সুন্নাতে মুয়াক্কাদা।
তবে ইশার নামাজ সসর্বমোট ১৫ রাকায়াত পড়া উত্তম। যথাঃ
১. ৪ রাকায়াত সুন্নাতে যায়েদা।
২. ৪ রাকায়াত ফরজ।
৩. ২ রাকায়াত সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ।
৪. ২ রাকায়াত নফল।
৫. ৩ রাকায়াত বেতর।
অনেকে বেতেরের ৩ রাকায়াত ওয়াজিব নামাজকে ইশার নামাজেরর সাথে এক করে ফেলেন। বেতেরের নামাজ কোনভাবেই ইশার নামাজের অংশ নয় এটার সাথে এশার নামাজের কোন সম্পৃক্ততা নেই।
যেভাবে ইশার সুন্নাত, ফরজ, নফল নামাজ আদায় করবেনঃ
অন্তরে নিয়ত করে তাকবির আল্লাহু আকবার বলে নামাজ শুরু করা। উভয় হাতকে কানের লতি বরাবর ওঠিয়ে নাভির ওপর হাত বাঁধা এবং চোখের দৃষ্টিকে সিজদার স্থানে স্থির রাখা।
এরপর সানা পড়া।
প্রথম রাকাআতে সানার পর আউজুবিল্লাহ ও বিসমিল্লাহর সহিত সুরা ফাতিহা পড়া। ফাতিহা পাঠ করার পর আমিন বলা।
সুরা মিলানো : সুরা ফাতিহার পর কুরআন থেকে যে পরিমাণ সহজসাধ্য হয় পাঠ করবে। ন্যূনতম তিন আয়াত অথবা তিন আয়াতের সমকক্ষ এক আয়াত পরিমাণ তিলাওয়াত করা।
রুকূ : সুরা মিলানোর পর আল্লাহু আকবার বলে রুকূতে যাওয়া। মাথাকে পিঠ সমান্তরালে রাখা। উভয় হাতের আঙ্গুল দিয়ে হাঁটুকে ধরবে। রুকূতে ইতমিনান বা স্থিরতা অবলম্বন করবে। তারপর কমপক্ষে তিনবার তাসবিহ পড়া।
রুকূ থেকে সোজা হয়ে দাঁড়ানো : সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ বলে রুকূ থেকে উঠে দাঁড়াবে। ইমাম বা একাকী উভয়ই দোআটি পাঠ করবে। একাকী আদায় কালে রব্বানা লাকাল হামদ বলা।
সিজদাহ : অতপর আল্লাহু আকবার বলে সিজদায় যেয়ে সিজদার তাসবিহ পড়া। সিজদায় কমপক্ষে তিনবার তাসবিহ পড়া।
সিজদা থেকে উঠা : আল্লাহু আকবার বলে সিজদাহ থেকে মাথা উঠানো। বাম পা বিছিয়ে দিয়ে তার উপর বসবে এবং ডান পা খাড়া করে রাখবে। দুইই হাত তার উভয় রান ও হাঁটুর সংযোগস্থালের উপর রাখা।
দুই সিজদার মধ্যে দোয়া পড়া।
দ্বিতীয় সিজদাহ : আল্লাহু আকবার প্রথম সিজদার ন্যায় দ্বিতীয় সিজদাহ করা। এভাবে দুই রাকাত পূর্ণ করা।
তাশাহহুদ বা বৈঠক : দুই রাকাআত বিশিষ্ট নামাজ পূর্ণ হওয়ার পর তাশাহহুদ, দরূদ, দোয়া পড়া। হাত উভয় রান ও হাঁটুর সংযোগস্থলের উপর রাখা। ডান হাতের শাহাদাত আঙ্গুলি দিয়ে দোয়া ও আল্লাহর নাম উল্লেখ করার সময় তাওহিদের ইশারা করা।
তিন বা চার রাকআত বিশিষ্ট নামাজে শুধু তাশাহহুদ পড়ার পড় আল্লাহু আকবার বলে দাঁড়িয়ে বাকি নামাজ আদায় করে তাশাহহুদ, দরূদ, দোয়া পড়ে নামাজ শেষ করা।
প্রকাশ থাকে যে, ফরজ নামাজের বেলায় পরবর্তী এক বা দুই রাকাআতে সুরা ফাতিহার সঙ্গে কোনো সুরা মিলানো লাগবে না। কিন্তু সুন্নাত নামাজের ক্ষেত্রে সুরা ফাতিহার সঙ্গে চার রাকাআতেই সুরা মিলাতে হবে।
সালাম ফিরানোর মাধ্যমে নামাজ শেষ করা।