তিন রাকাত বিতিরের  দুই রাকাত পড়ার পরে সালাম ফিরিয়ে পরে আরো এক রাকাত পড়ার হাদিসটি আমল করতে গিয়ে প্রশ্ন জাগছে, প্রথম দুই রাকাতের কি নিয়ত হবে? আর শেষের এক রাকাত কি নিয়ত করে আদায় করব?


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Jamiar

Call

আপনি ৩ রাকাত বেতর নামায আদায়ের মধ্যে একটু ভুল ধারনা বুঝতেছেন।আসলে বেতর ৩ রাকাত এরর প্রথম ২ রাকাত আলাদা নয় আর ২ রাকাতে সালাম ফিরাবেন না।

আসলে অন্যান্য ফরজ নামাজের ন্যায় দুই রাকাআত নামাজ পড়ে প্রথম বৈঠকে বসে তাশাহহুদ পড়া। তারপর তৃতীয় রাকআত পড়ার জন্য উঠে সুরা ফাতিহার সঙ্গে অন্য কোনো সুরা বা আয়াত মিলানো। কিরাআত (সুরা বা অন্য আয়াত মিলানোর পর) শেষ করার পর তাকবির বলে দু’হাত কান পর্যন্ত উঠিয়ে তাকবিরে তাহরিমার মতো হাত বাঁধতে হয়। তারপর নিঃশব্দে দোয়া কুনুত পড়া। দোয়া কুনুত পড়ে পূর্বের ন্যায় রুকু, সিজদার পর শেষ তাশাহহুদ, দরূদ, দোয়া মাছুরা পড়ে ছালাম ফিরানোর মাধ্যমে বিতরের নামাজ সমাপ্ত করতে হয়।

আশা করি বুঝতে পারছেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

ভাই সালাত হলো এমন একটি ইবাদত যা দুনিয়ার সকল নর নারির উপর ফরজ করে দিয়েছে, এখন আসা যাক মুল কথা নিয়ে, বিতর সালাতের দুই এবং এক রাকাতের নিয়ত নিয়ে । মহান আল্লাহ তায়ালা জানেন বান্দার মনের খবর, তো এখন আপনি কি করবে তা তো মহান আল্লাহ তায়ালা যানেন। নামাজে নিয়ত পড়ার কথা কোথাও আসেনি। নিয়ত করাটাই হচ্ছে নামাজের বিধান। নিয়ত পড়াটাই হচ্ছে নামাজের মধ্যে যেটা আসেনি, সেটা আমরা করছি। নামাজের মধ্যে নিয়ত পড়াটা প্রায় সব ওলামায়ে কেরামের ঐকমত্যে বিদআত।

কারণ, নিয়তের জন্য কোনো শব্দ রাসূল (সা.) শিক্ষা দিয়ে যাননি। হাদিসের মধ্যে কোনো শব্দ সাব্যস্ত হয়নি। এমন কোনো বিধান নেই যে এই বাক্যগুলো পড়ে নিয়ত করতে হবে। নিয়তটা হচ্ছে অন্তরের সংকল্পের বিষয়, মুখে উচ্চারণ করার বিষয় না। সালাতের ইচ্ছাপোষণ করা যে, ফজর হলে ফজর, জোহর হলে জোহর, আসর হলে আসর ইত্যাদি, এটাই নিয়ত। এটা হলো একেবারে অন্তরের বিষয়, এটি মুখে উচ্চারণ করার বিষয় নয়। এটা মুখে প্রকাশ করার বিষয় নয়।

সুতরাং প্রকাশ করার দরকার নেই। নিয়ত আপনি অন্তরের মধ্যে করবেন আর মুখে যেটা বলার বিষয়, সেটা হলো আল্লাহু আকবার, তাকবিরে তাহরিমা পড়েই সালাতের মধ্যে ঢুকবেন।

এর জন্য আল্লাহর নবী (সা.) সুনানে তিরমিজি সহিহ হাদিসের মধ্যে এরশাদ করেছেন, ‘সালাতের মধ্যে প্রবেশ করার পদ্ধতিই হচ্ছে তাকবিরের মাধ্যমে।’

এ কথা বলা হয়নি যে এই দোয়া পড়ে সালাতের মধ্যে আসবে। আল্লাহু আকবার বলে ঢোকাটাই হচ্ছে সালাতের মূল কাজ। এ জন্য এর নামই হচ্ছে ‘তাকবিরাতুল ইহরাম’ অথবা ‘তাকবিরাতুল তাহরিম’, যার মাধ্যমে সালাতের মধ্যে মানুষ প্রবেশ করবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ