মাগরিবের নামাজ ৫ রাকায়াত। যথাঃ
১। প্রথমে ৩ রাকায়াত ফরজ।
২। এরপর ২ রাকায়াত সুন্নাতে মুয়াক্কাদা।
২ রাকায়াত সুন্নাতে মুয়াক্কাদা আদায়ের পর ২ রাকায়াত নফল আদায় করে নিতে পারেন। তবে এই ২ রাকায়াত নফল নামাজ মাগরিবের নামাজের সাথে সম্পর্কিত নয়।
যেভাবে মাগরিবের ৩ রাকায়াত ফরজ নামাজ আদায় করবেনঃ
নিয়ত মানে মনের সংকল্প। আর তার স্থান হল অন্তর; মুখ নয়। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম ও তার সাহাবাদের কেউই কোন নির্দিষ্ট শব্দ মুখে উচ্চারণ করতেন না। তাই তা মুখে উচ্চারণ করা বিদআত। তাছাড়া নিয়তের জন্য কোন বাঁধা-ধরা শব্দাবলীও নেই।
তাকবির আল্লাহু আকবার বলে নামাজ শুরু করা। উভয় হাতকে কানের লতি বরাবর ওঠিয়ে নাভির ওপর হাত বাঁধা এবং চোখের দৃষ্টিকে সিজদার স্থানে স্থির রাখা।
সানা পড়া।
প্রথম রাকাআতে সানার পর আউজুবিল্লাহ ও বিসমিল্লাহর সহিত সুরা ফাতিহা পড়া। ফাতিহা পাঠ করার পর আমিন বলা।
সুরা মিলানো : সুরা ফাতিহার পর কুরআন থেকে যে পরিমাণ সহজসাধ্য হয় পাঠ করবে। ন্যূনতম তিন আয়াত অথবা তিন আয়াতের সমকক্ষ এক আয়াত পরিমাণ তিলাওয়াত করা।
রুকূ : সুরা মিলানোর পর আল্লাহু আকবার বলে রুকূতে যাওয়া। মাথাকে পিঠ সমান্তরালে রাখা। উভয় হাতের আঙ্গুল দিয়ে হাঁটুকে ধরবে। রুকূতে ইতমিনান বা স্থিরতা অবলম্বন করবে। তারপর কমপক্ষে তিনবার তাসবিহ পড়া।
রুকূ থেকে সোজা হয়ে দাঁড়ানো : সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ বলে রুকূ থেকে উঠে দাঁড়াবে। ইমাম বা একাকী উভয়ই দোআটি পাঠ করবে। একাকী আদায় কালে রব্বানা লাকাল হামদ বলা।
সিজদাহ : অতপর আল্লাহু আকবার বলে সিজদায় যেয়ে সিজদার তাসবিহ পড়া। সিজদায় কমপক্ষে তিনবার তাসবিহ পড়া।
সিজদা থেকে উঠা : আল্লাহু আকবার বলে সিজদাহ থেকে মাথা উঠানো। বাম পা বিছিয়ে দিয়ে তার উপর বসবে এবং ডান পা খাড়া করে রাখবে। দুইই হাত তার উভয় রান ও হাঁটুর সংযোগস্থালের উপর রাখা।
দুই সিজদার মধ্যে দোয়া পড়া।
দ্বিতীয় সিজদাহ : আল্লাহু আকবার প্রথম সিজদার ন্যায় দ্বিতীয় সিজদাহ করা।
এভাবে দুই রাকাত পূর্ণ করে অন্যান্ন ফরজ নামাজের ন্যায় দুই রাকাআত নামাজ পড়ে প্রথম বৈঠকে বসে তাশাহহুদ পড়া। তারপর তৃতীয় রাকআত পড়ার জন্য উঠে সুরা ফাতিহা পাঠ করা। সঙ্গে অন্য কোনো সুরা বা আয়াত মিলাতে হবে না।
পূর্বের ন্যায় রুকু, সিজদার পর শেষে তাশাহহুদ, দরূদ, দোয়া মাছুরা পড়ে ছালাম ফিরানোর মাধ্যমে নামাজ সমাপ্ত করতে হয়।
দুই রাকায়াত সুন্নাত এভাবেই পড়তে হবে, দুই রাকাআত বিশিষ্ট নামাজ পূর্ণ হওয়ার পর তাশাহহুদ, দরূদ, দোয়া পড়া।