* পুষ্টিকর খাদ্য খান : একটি পরিমিত খাদ্য তালিকা আপনার হার্ট ও রক্ত সঞ্চালনের জন্যে অতীব জুরুরী। এই খাদ্য তালিকাটি হবে ফল ও শাকসবজি সমৃদ্ধ খোসা সমেত চাল বা আটা, পাতলা মাংস (ফ্যাটমুক্ত), মাছ, ডাল, নিয়ন্ত্রিত লবণ, মিষ্টি ও চর্বিজাতীয় খাদ্য সম্বলিত।
* প্রতিদিন শারীরিক শ্রম : প্রতিদিন ৩০ মিনিট করে ব্যায়াম বা হাঁটা বা শারীরিক শ্রম আপনার হার্টকে সবল রাখে।
* ধূমপান ত্যাগ করুন, সকল প্রকার তামাক আপনার হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক। যেই মাত্র আপনি ধূমপান ত্যাগ করলেন, আপনার হার্ট এ্যাটাকের ঝুঁকি কমতে থাকে এবং ১ বছর পর তা অর্ধেকে নেমে আসে।
* রক্তচাপ মাপুন : হার্ট ও স্ট্রোক কমাতে আপনার ব্লাডপ্রেসার মাপুন।
উচ্চ রক্তচাপ আপনার হার্ট এ্যাটাকের ঝুঁকিকে বাড়িয়ে দেয়
৫টি অভ্যাস ত্যাগ করলে হার্ট এ্যাটাকের ঝুঁকি ফোর ফিফথ বা পাঁচ চতুর্থাংশ বা পাঁচ ভাগের চার ভাগ হার্ট এ্যাটাকই প্রতিরোধ করা যায়। যদি গাণিতিক হিসাবে বলি তাহলে বলতে হয় শতকরা ৮০ ভাগ হার্ট এ্যাটাকই প্রতিরোধ যোগ্য। যদি আমরা মাত্র পাঁচটি অভ্যাস বদলাতে পারি। আর এই পাঁচটি অভ্যাস হচ্ছে, ধূমপান একেবারেই বর্জন করতে হবে, মদ্যপান পরিহার সম্ভব না হলে মডারেট ড্রিংকিং করা যেতে পারে, প্রতিদিন নিয়মিত ব্যায়াম বা শরীর চর্চা করতে হবে, প্রতিদিন কম চর্বিযুক্ত স্বাস্থ্যসম্মত ও পুষ্টিকর খাবার আহার করতে হবে এবং সবশেষে পেটের চর্বি বা বেলিফ্যাট স্বাভাবিক রাখতে হবে। ড. অ্যাকেসন মনে করেন মানুষ তার লাইফ স্টাইল পরিবর্তন করে উল্লেখযোগ্যভাবে হার্ট এ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে পারে। এটা কোনো বিস্ময়কর তথ্য নয়। এই মহিলা হূদরোগ বিশেষজ্ঞের দল সুইডেনে ২০ হাজার পুরুষের ওপর ১১ বছর ধরে গবেষণা করেছেন। তিনি উল্লেখ করেছেন শুধু ধূমপান পরিত্যাগ করে শতকরা ৩৬ ভাগ হার্ট এ্যাটাক প্রতিরোধ করা যায়। যারা নিয়মিত সাইক্লিং, সুইমিং, ওয়াকিং বা অন্যকোনো প্রকার ব্যায়াম করেন তাদের শতকরা ৩ ভাগ, যাদের কোমরের মাপ ৩৭ ইঞ্চির কম তারা শতকরা ১২ ভাগ এবং যারা দিনে ২ প্যাকের বেশি ড্রিংক না করেন তাদের ক্ষেত্রে হার্ট এট্যাকের ঝুঁকি ১১ ভাগ হ্রাস করা সম্ভব। পাশাপাশি যারা প্রচুর পরিমাণ শাকসবজি, ফল আহার, চর্বিযুক্ত ডেয়ারি প্রডাক্টস পরিহার এবং ফিস আহারে হার্ট এ্যাটাকের ঝুঁকি শতকরা ১৮ ভাগ হ্রাস করা সম্ভব। ড. অ্যাকেসন এবং তার গ্রুপ আমেরিকান জার্নাল অব কার্ডিওলজিতে উল্লেখ করেছেন গবেষণায় প্রতীয়মান হয়েছে হূদরোগ প্রতিরোধে পরিপূর্ণভাবে লাইফ স্টাইল পরিবর্তন করেছেন এমন মাত্র শতকরা একভাগ লোকের সন্ধ্যান পেয়েছেন তারা। আর হার্ট এ্যাটাক প্রতিরোধে সকলকে পরিপূর্ণভাবে ঝুঁকিসমূহ পরিহারে পরামর্শ মেনে চলতে হবে। অন্যথায় হার্ট এ্যাটাক প্রতিরোধ করা যাবে না। প্রতিহত করা যাবে না কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনাও।