১. নারকেল এবং লেবু ঃ তাজা নারকেলের দুধের সাথে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস ভালো ভাবে মিশিয়ে নিন। তারপর এই মিশ্রণটিকে কয়েক ঘণ্টার জন্য ফ্রিজে সংরক্ষন করুন। একটি ঘন ক্রিমি লেয়ার দেখা যাবে পাত্রের উপরে। এই লেয়ারটাই দরকার চুল সোজা করার জন্য। পুরো চুলে এটি লাগিয়ে নিন এমনকি স্কাল্পেও লাগাবেন। ১৫-২০ মিনিট ধরে চুল টিকে স্টিম করুন। সব শেষে ধুয়ে ফেলুন সমস্ত চুল। এভাবে নিয়মিত করতে থাকলে আপনি ধীরে ধীরে দেখবেন আপনার চুল সোজা হতে শুরু করেছে। ২. ক্যাস্টর অয়েল ঃ ক্যাস্টর অয়েলে আছে চুলের গ্রোথ আর চুল সোজা করার গুনাগুণ। এই তেল চুলের স্কাল্পে ভালো ভাবে ম্যাসাজ করুন, তারপর চিরুনি দিয়ে চুল বরাবর আঁচড়াতে থাকুন। যখন চুল আঁচড়াবেন তখন ব্লো ড্রাই করুন হাই হিটে। ব্লো ড্রাই করার পর চুলে যেন তেলতেলে ভাব না থাকে, চুল হতে হবে শুষ্ক। তারপর একটি ভেজা তোয়ালে দিয়ে চুল জড়িয়ে রাখুন আধা ঘণ্টা ধরে। এটা চুলকে অতিরিক্ত হিট থেকে soothe করবে আর স্ট্রেইটনেস বজায় থাকবে।
প্রাকৃতিকভাবে চুল সোজা করার কিছু উপায়। ১.ডিম ও অলিভ ওয়েলঃ একটি বাটিতে ২টি ডিম ভালোভাবে ফেটে নিন।তার মধ্যে ২ চা চামচ অলিভ ওয়েল মিশিয়ে মিশ্রণটিকে ভালোভাবে কিছুক্ষণ নাড়তে থাকুন। মাথায় মিশ্রণটি দেয়ার আগে মাথা থেকে চুলের জট ছাড়িয়ে নিন।এরপর হেয়ার ব্রাশের মাধ্যমে মিশ্রণটি ভালোভাবে মাথায় লাগিয়ে নিন যাতে কোন চুল বাদ না পরে।এরপর চুলের মধ্যে মিশ্রণটিকে শুকানোর অপেক্ষা করুন।শুকিয়ে গেলে চুল ভালোভাবে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। এই মিশ্রণের ফলে আপনার চুল সোজা এবং সিল্কি হয়। ২.চুল সোজা করায় দুধের ব্যবহারঃ একটি পাত্রে সমপরিমাণ পানি ও দুধ একসাথে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এরপর মিশ্রণটিকে একটি স্প্রে করা যায় এমন বোতলে ঢেলে নিন।মাথায় মিশ্রণটি দেয়ার আগে অবশ্যই চুলের জট ছাড়িয়ে নিন।এরপর স্প্রে করে মাথার চুলে ভালোভাবে মিশ্রণটি লাগিয়ে নিন খেয়াল রাখবেন যাতে কোন চুল বাদ না যায়।আর স্প্রে করার মাঝে মাঝে চিরুনি দিয়ে চুল আছড়ে নিন।দেয়া শেষ হলে চুল শুকানোর জন্য অপেক্ষা করুন।চুল শুকিয়ে গেলে চুলে শ্যাম্পু করুন এবং কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।চুল শুকানোর পর দেখবেন আপনার চুল সোজা হয়ে গেছে।আর যাদের চুল একটু বেশি কোঁকড়া হলে মিশ্রণটির সাথে ২ টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে নিন।এভাবে চুল সোজা করলে পরবর্তী পানি না লাগানো পর্যন্ত চুল সোজা থাকে।