আমি কোন কাজ করার পর ’কেমন হল? সবাই কি ভাবল? এমন না হয়ে তেমন হতে পারত, ইস্ আরেকটু এমন হত, নাহ ঠিক হল না’ ইত্যাদি ভেবে ভেবে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়ি। এই চিন্তাগুলো আমার ঐ শেষ হওয়া কাজের কোন উপকারেই আসে না বরং আমি মানসিকভাবে অতিরিক্ত চাপ অনুভব করা শুরু করি যা অনেকসময়ই অন্য কাজে নেতিবাচক প্রভাব তৈরি করে। কি কি করলে এই অতিরিক্ত চিন্তাটা আমাকে আর দুশ্চিন্তা হয়ে যন্ত্রণা দিবে না?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

কাজ করার আগে তো আমাদের একটা স্ট্রেস থাকেই। এটাকে বলে স্বাভাবিক স্ট্রেস। যা কাজকে গতি দেয়। তবে যদি সেটা অতিরিক্ত হয়ে যায় অবশ্যই স্ট্রেস থেকে আপনাকে বের হয়ে আসতে চেষ্টা করতে হবে। আসুন জেনে নেই কাজ শেষ হওয়ার পর কি কি করলে এই অতিরিক্ত চিন্তাটা আমাদের আর দুশ্চিন্তা হয়ে যন্ত্রণা দিবে না। ১. কাজ শুরুর আগে তালিকা তৈরি করুন (make a plan before start)সপ্তাহ বা দিন বা মাস হিসেবে কাজের তালিকা বা কর্মপরিকল্পনা করুন। এটা আপনাকে কাজ নিয়ে এলোমেলো বা অহেতুক দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত রাখবে। ২. কাজ শেষে নিজের গঠনমূলক সমালোচনা করুন (criticize yourself )গঠনমূলক সমালোচনা কিভাবে করতে হয় সেটা জানতে হবে। প্রত্যেকটা কাজের ভাল-মন্দ দুটি দিক আছে। তাই খারাপ দিক থাকলে যেমন নিজেকে শুধরে নিবেন একই ভাবে ভাল দিকটির জন্য নিজেকে প্রশংসা করুন। শুধুমাত্র নেতিবাচক বা ইতিবাচক না ভেবে দুটো দিক নিয়েই ভাবুন। ভাবনা শেষে নিজেকে ধন্যবাদ জানান কারণ গঠনমূলক সমালোচনা সঠিকভাবে খুব কম মানুষই করতে পারে। ৩. যে কাজটি শেষ করেছেন সেটার ফলোআপ নিন (follow up the works you have done)আমরা কাজ করে এর প্রভাব সম্পর্কে জানতে চাই না। এটা নিজের একটি চরম দুর্বল দিক। এতে করে যেটা হয় যে যারা কাজ অবহেলা করি তারা সবসময় অবহেলা করতেই থাকি আর যারা এটাকে সংশোধনের বা নতুন কিছু সংযোজনার চিন্তা করি তারা অতিরিক্ত দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে যাই। সুতরাং কাজটির যদি নিয়মিত ফলোআপ নিতে পারেন সেটি আপনাকে বাড়তি দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি দিবে। ৪. কর্মতালিকার অন্যান্য কাজের দিকে নজর দিন (focus on the task list)মনে করে দেখুন কাজ শুরুর পূর্বে আপনার একটি তালিকায় আরও কাজ ছিল। এবার সেগুলো নিয়ে কাজ শুরুর পালা। আর সব শেষ কাজটি হয়ে গেলে যে নতুন কাজের পরিকল্পনা করতে হবে। ৫. কাজের পাশাপাশি নিয়মিত হালকা ব্যায়াম করুন (regular light exercise)কাজ এর পাশাপাশি হালকা ব্যায়াম, হাটা চলা করুন। মুক্ত বাতাসে কিছুক্ষণ সময় কাটান। বাড়ির ছাদে বা বারান্দায় দাঁড়িয়ে বুক ভরে নিঃশ্বাস নিন। ৬. কাজের ফাঁকে করুন একটু বিনোদন (entertain yourself)একটি কাজ শেষ করেই অন্য কাজ শুরু করার আগে হয়ে যাক খানিক বিনোদন। একটু গলা ছেড়ে গান গাইতে পারেন কিংবা হেডফোনে গান শুনে খানিক নাচতে পারেন। এটি শুনতে হাস্যকর মনে হলেও এই বিনোদন আপনাকে দিবে নতুন করে কাজ করার প্রাণোদ্যম। ৭. ধূমপান পরিহার করুন (quit smoking)আমাদের একটা ভুল ধারণা তামাক বাজারজাতকারী কোম্পানিগুলো ঢুকিয়ে দিয়েছে যে কাজের দুশ্চিন্তায় ধূমপান আপনাকে সহযোগিতা করবে। এটা মারাত্মক একটি ভুল তথ্য বা ধারণা। বরং এই ধূমপানের ফলে আপনার মস্তিষ্কের উর্বর কোষগুলো হয়ে যাবে রুগ্ন এবং কাজ শেষে উদ্বিগ্নতা বৃদ্ধির এটি প্রধানতম কারণ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Emrul Kayes

Call

প্রথমত আপনার আত্মবিশ্বাস এর প্রয়োজন, এবং মনকে স্থির রাখুন আর বলুন যা হবে তার জন্য আমি  সব সময় প্রস্তুত আছি। দ্বিতীয়তঃ আপনি আপনার কাজের পূর্বপরিকল্পনা করে রাখতে পারেন।  পরিকল্পনা অনুযায়ী আপনি আপনার কাজ গুলো করতে পারেন। এবং প্রতিদিন যে ভুলগুলো হবে আপনার আগামীতে তা সোদরে নিবেন। প্রয়োজনে আপনার ভুলগুলো এক টুকরো কাগজে  বা  মোবাইলে লিখে রাখবেন। এভাবেই আপনার কাজের ভুল গুলো আস্তে আস্তে সংখ্যায় কমতে থাকবে ও অভিজ্ঞতা অর্জন হবে। এবং কাজের প্রতিও দৃঢ় আত্মবিশ্বাস বাড়বে। # ধন্যবাদ 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ