Yakub Ali

Call

স্পিচ থেরাপি নিতে পারেনঃ

তোতলানোর শুরুতেই এই রোগের চিকিৎসা করা দরকার। এ রোগ কম বয়সীদের ক্ষেত্রে দ্রুত আরোগ্য লাভ করে। বিভিন্ন রকমের তোতলানো রোগী লক্ষ্য করা যায়। কোনো কোনো রোগী এক শব্দ বারবার পুনরাবৃত্তি করেন যেমন: আমি ক-ক-ক-কলা খাব। আবার কেউ লম্বা স্বরে কথা বলেন। কিছু রোগী এমন আছে যে, কথা হঠাৎ আটকে গিয়ে আর কথা বলতে পারছেন না। সমাজ তাদের ভালো চোখে দেখে না। তোতলানো রোগীরা দ্রুত কথা বলার চেষ্টা করেন। যার ফলে কথা বেশি আটকে যায়। ধীরে ধীরে কথা বলুন। দ্রুত কথা বলার অভ্যাস পরিত্যাগ করুন। শব্দের বিরতি রেখে কথা বলুন। এক শব্দ বারবার বলার চেষ্টা করবেন না। যে শব্দে বা বর্ণে কথা আটকে যাবে সেখানেই সঙ্গে সঙ্গে থেমে যাবেন। নাক দিয়ে তলপেটে বাতাস নেবেন, মুখ দিয়ে ছেড়ে ওই শব্দটি উচ্চারণ করুন। বিভিন্ন লোকের সঙ্গে ইচ্ছা করেই কথা বলুন। চুপচাপ বসে থাকবেন না। নিজেকে অসহায় মনে করবেন না। কখনো আবেগপ্রবণ হবেন না। অর্থাৎ ভয় করা, রাগ করা, লজ্জা পাওয়া, দুশ্চিন্তা করা, হওয়া বা উত্তেজিত হওয়া যাবে না। কোনো কারণে রেগে বা উত্তেজিত হয়ে গেলে সমস্যা বৃদ্ধি পেতে পারে। তাইউত্তেজিত হবেন না, মস্তিষ্ক ঠাণ্ডা রেখে সমস্যার সমাধান করুন। আপনার এই সমস্যার জন্য নিজেকে সমাজ থেকে আলাদা করে রাখবেন না। সবার সঙ্গে মিশতে চেষ্টা করুন এবং ধীরে ধীরে কথা বলুন। তোতলানো রোগীদের কাউন্সেলিং এবং এক্সারসাইজের মাধ্যমে আরোগ্য লাভ সম্ভব।

মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীর

স্পিচ থেরাপিস্ট

তাকওয়া স্পেশালাইজড হসপিটাল

নিউ ইস্কাটন রোড,

ফোন : ০১৯১১৭৪৮০৩৭

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ