বাস বা প্রাইভেট কারে যাতায়াত করলে বমি ভাব দূর করব কিভাবে?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

যানবাহনে বমির থেকে রক্ষা পেতে * ভ্রমণের সময় জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে থাকলে সমস্যা কিছুটা কম হয়। * এ সময় খোলা জানালা দিয়ে লম্বা লম্বা শ্বাস নিতে পারেন। * বমি ভাব দূর করতে সবচেয়ে কার্যকরী ভেষজ ওষুধ আদা। আদা কুচি করে কেটে মুখে নিয়ে চিবুতে পারেন। এতে করে আপনার বমি ভাবটি দূর হয়ে যাবে। যারা আদার ঝাঁজ সহ্য করতে পারেন না, তারা একটু গরমপানিতে আদা সিদ্ধ রসটি মুখে নিয়ে কুলি করলে মুখ থেকে বমির বিচ্ছিরি গন্ধও দূর হয়ে যাবে। * যখনই বমি ভাব দেখবেন তখনি মুখে এক টুকরা লবঙ্গ রেখে দিন। ধীরে ধীরে চিবুতে থাকুন দেখবেন আপনার মুখ থেকে বমিভাব চলে গিয়েছে। * পুদিনাপাতা বমিভাব দূর করতে দারুণ কার্যকর। পুদিনার রস গ্যাস্ট্রিকজনিত বমিভাব দূর করতে বেশি কার্যকরী। তাই গ্যাস্ট্রিকজনিত বমিভাবে পুদিনা পাতা মুখে দিয়ে চিবুতে থাকুন। * অনেকেই দারুচিনি চিবুতে পছন্দ করেন। দারুচিনি ভারী খাবারের পর খেলে হজমে খুব সাহায্য করে। তাই হজমের সমস্যাজনিত কারণে বমিভাব হলে খেতে পারেন এক টুকরা দারুচিনি। * টক জাতীয় খাবারের ফলে শরীরের বমিভাব দূর হয়। লেবুর রসে রয়েছে সাইট্রিক এসিড যা বমিভাব দূর করতে বেশ কার্যকরী। কিন্তু গ্যাস্ট্রিকজনিত বমির ভাব হলে লেবু না খাওয়াই ভালো। তা ছাড়া বমি ভাব হলে লেবুপাতার গন্ধ উপকারে আসতে পারে। কারণ লেবুর পাতা শুকলে বমি বমি ভাব দূর হয়। * ভ্রমণে যাদের বেশি সমস্যা হয় তারা গাড়িতে ওঠার আধঘন্টা আগে ডমপেরিডন জাতীয় ওষুধ খেয়ে নিতে পারেন। * জানালার কাছে সিট নিন। জানালাটা খুলে দিন। খোলা বাতাসে মন-প্রাণ থাকবে চনমনে। * গাড়িতে আড়াআড়ি বা যেদিকে গাড়ি চলছে সেদিক পেছন দিয়ে বসবেন না। * যাত্রা শুরুর একটু আগে ভরপেট খাবেন না বা পান করবেন না। * সুপারি বা শুধু পান কিংবা চুইংগাম চিবানোতেও উপকার পাওয়া যেতে পারে। বাহনে উঠার আগে কি খাওয়া উচিত এবং উচিত নয় সেদিকে নজর দিন। অতিরিক্ত সফট ড্রিংকস, ঝাল-মশলাযুক্ত খাবার একেবারেই খাবেন না। যারা এই সমস্যায় ভোগেন তারা প্রয়োজনে কিছু না খেয়েই বাহনে উঠুন। অনেক দূরের পথ হলে হালকা শুকনো কিছু খেয়ে নিন অতিরিক্ত ঘ্রাণ বা সুগন্ধযুক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। বাহন চলাকালীন সময়ে কিছু খেতে চাইলে শুকনো চিপস ধরণের খাবার অল্প পরিমাণে খাবেন। পানি পান করবেন। বাহন যেদিক মুখ করে সামনে এগুচ্ছে তার উলটো দিকে কখনোই বসবেন না। এতে উলটো মোশনের কারণে বমিভাব প্রবল হয়। বাহন যেদিকে এগুচ্ছেন সেদিক মুখ করে বসুন। বাসে বসার ক্ষেত্রে পেছনের দিকের সিটে বসার ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। পেছনের দিকে ঝাঁকুনি বেশী লাগে যা অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যতোটা সম্ভব চলার পথের সমতলে নজর রাখুন। বাইরের দৃশ্য দেখায় মনোযোগ দিন। নিচের দিকে বা উপরের দিকে তাকিয়ে বসে থাকলেও বমিভাব ও অস্বস্তি হয়। যাদের মোশন সিকনেস রয়েছে তারা বাহনে উঠে চলার সময় কোনো বই পড়া বা মোবাইল ফোন বা ল্যাপটপে কিছু দেখার চেষ্টা করবেন না। এতে আরও অস্বস্তি হতে থাকবে। বদ্ধ স্থানে আরও বেশী সমস্যা হয়। তাই বাস বা ট্রেনে উঠলে জানালার পাশে বসে তাজা বাতাস গ্রহন করতে পারলে এই বমিভাব আপনা থেকেই কেটে যায়। বিমানের জন্য বা বড় ফিক্সড জানালার এসি বাসের জন্য এটি প্রযোজ্য নয়। চলার পথে অন্যান্য যাত্রীদের কাউকে অসুস্থ হয়ে বমি করতে দেখলে অবস্থা আরও বেশী খারাপ হয়ে যায়, তাই যাত্রীদের দিক থেকে মনোযোগ সরিয়ে বাইরের দিকে মনোযোগ দিন অথবা চোখ বন্ধ করে গান শুনতে থাকুন। ঘুমিয়ে পড়া হচ্ছে সবচাইতে বুদ্ধিমানের কাজ। ঘুমিয়ে পড়তে পারেন এই অস্বস্তিকর অনুভূতি থেকে বাঁচতে। ভালো কাজে দেবে। বমিভাব দূর করার জন্য বাহনে উঠার আগেই এই জাতীয় ঔষধ খেয়ে নিতে পারেন। যদি আপনার খুব অল্প দূরত্বের জন্য এবং ঘন ঘন এই সমস্যা হতে থাকে তাহলে সরাসরি ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ খাবেন। (কপিরাইট)

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
SindidHasan

Call

বাসে ওঠার পর এই মাথাব্যথা কিংবা বমির কারণটা কী? কেতাবি ভাষায় এটাকে বলে ‘মোশন সিকনেস’। এটা কাটানোর কিছু বুদ্ধি বাতলে দিয়েছে মার্কিন ওয়েবসাইট বিজনেস ইনসাইডার। নিয়মগুলো মেনে চলুন, কাজে দেবে। তার আগে জেনে নিন কেন ‘মোশন সিকনেস’ হয়। বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘদিন গবেষণা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের রবার্ট স্টার্ন। তাঁর ভাষায়, ‘মোশন সিকনেস হয় “সেনসোরি মিসম্যাচের” কারণে। মানবদেহের ভেস্টিবিউলার সিস্টেম (যেটা আমাদের স্পেস-সংক্রান্ত সতর্কতা নিয়ন্ত্রণ করে) এবং ভিশন (দৃষ্টি) সিস্টেম মস্তিষ্কে যখন মিশ্র সংকেত পাঠায়, তখন সে অবস্থাকে বলা হয় “সেনসোরি মিসম্যাচ”। আমরা যখন পেছনের আসনে বসে থাকি, তখন মনে হয় গাড়িটার গতি বেড়ে গেছে। কিন্তু চোখ দেখে সামনের আসনটা অনড়, গতিহীন। গতির কারণে আমাদের গা গুলায় না, গন্ডগোলটা বাধে আমাদের ভিশন সিস্টেমে। মোটকথা, আমরা গতি অনুভব করি, কিন্তু চোখে দেখতে পাই না। ফলে মোশন সিকনেসে আক্রান্ত হই।’ তাহলে কী করলে মোশন সিকনেসের চক্করে পড়ব না আমরা? পড়ুন সেই নিয়মগুলো— ১. সামনের আসনের দিকে না তাকিয়ে রাস্তার দিকে তাকান। প্রকৃতির শোভা উপভোগ করুন। গাড়ির গতির সঙ্গে সঙ্গে পথঘাট-গাছপালাও চলমান মনে হবে। ভিশন সিস্টেম উল্টোপাল্টা সংকেত পাঠাবে না মস্তিষ্কে। ২. এই নিয়ম কেবল বাসের বেলায় নয়, যেকোনো গাড়ি, উড়োজাহাজ এবং নৌকায় উঠলেও মেনে চলুন। (সাবমেরিনে উঠে মোশন সিকনেস হলে কী করতে হবে, এটা নিয়ে এখনো গবেষণা হয়নি!) ৩. মোশন সিকনেসের সঙ্গে বাহনের ভেতরের উৎকট গন্ধ যোগ হলে ব্যাপারটা আরও বিভীষিকাময় হয়ে ওঠে! তাই বাস বা যেকোনো বাহনের ভেতরের উৎকট গন্ধ দূর করার উদ্যোগ নিন। এ ক্ষেত্রে ভালো মানের এবং অবশ্যই ভালো ঘ্রাণের এয়ারফ্রেশনার কাজে দেবে। ৪. বাসে উঠলে আপনার পছন্দের এয়ারফ্রেশনার স্প্রে না করতেই পারে। অপছন্দের এয়ারফ্রেশনার স্প্রে করা হলে বেশির ভাগ সময় হিতে বিপরীত হয়। তাই বাসে অসুস্থ বোধ করলে সুপারভাইজারকে বলুন, ওই এয়ারফ্রেশনার যেন আর স্প্রে না করেন। ৫. ব্যক্তিগত গাড়িতে উঠলে সুযোগ বুঝে চলতি পথে কিছুক্ষণের জন্য বিরতি নিতে পারেন। ৬. মোবাইল ফোন বা ট্যাবের দিকে তাকিয়ে থাকলেও মোশন সিকনেসে কাবু হওয়ার আশঙ্কা অনেক বেশি। তাই প্রয়োজনের বাইরে সেগুলো ব্যবহার না করাই উত্তম। সূত্র: বিজনেস

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Yakub Ali

Call

অনেকেরই গাড়িতে বা বাসে ভ্রমণ করলে বমি বা বমির ভাব হয়, মাথা ঘোরে বা মাথা ব্যথা করে। এ কারণে ভ্রমণের আনন্দটি মাটি হয়ে যায়। এই বিরক্তিকর সমস্যার জন্য অনেকে গাড়িতে বা বাসে চড়তেই ভয় পান। একে ‘মোশন সিকনেস’ বলে। গতি ও জড়তার ফলে মস্তিষ্কে সমন্বয়হীনতার কারণে এটি হয়ে থাকে। যাঁরা এই বিরক্তিকর সমস্যায় আক্রান্ত, তাঁদের ভ্রমণটাকে আনন্দপূর্ণ করতে কিছু পরামর্শ।

* গাড়ি/বাসের সামনের দিকে বসুন, চেষ্টা করুন জানালার পাশে বসতে। বাইরে দৃষ্টি প্রসারিত করুন। রাতের বেলায় ভ্রমণে চোখ বুজে থাকুন। ভ্রমণের আগে অবশ্যই রাতে পর্যাপ্ত ঘুমাবেন।

*যাত্রার আগে অতিরিক্ত খাবার বা গুরুপাক খাবার খাবেন না। যাত্রাপথে বাইরের খাবার অথবা বারবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

* ভ্রমণের সময় ধূমপান করবেন না। আদা বা লেবুর চা খেতে পারেন। আদা, মৌরি ও লবঙ্গ চিবোতে পারেন।

* চলন্ত অবস্থায় বই পড়া, মোবাইলে গেম খেলা বা নেট ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। এর ফলে সমস্যা বেড়ে যেতে পারে।

* মনকে শান্ত রাখুন, ভ্রমণের সময় ভুলে যান আপনি মোশন সিকনেসের বিরক্তিকর সমস্যায় আক্রান্ত। মনকে প্রফুল্ল রাখতে গান শুনতে পারেন।

সমস্যা বেশি হলে বমি নিরোধক

যেমন Stemetil 5mg অথবা

Maclixine, প্রভৃতি ভ্রমণের আগের রাতে ১টি এবং যাত্রার ৩০ মিনিট আগে ১টি সেবন করতে পারেন, বমি হবেনা।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ