আমি ইমরুল কায়েস বাসায় ভোলা চরফ্যাশন, বর্তমান পড়াশোনা বরিশাল কলেজে, অনার্স দ্বিতীয় বর্ষ। আমি লিখতে খুব ভালোবাসি, বিশেষ করে ব্লগ, গল্প, কবিতা এবং মোটিভেশনাল হিস্টরি। আমি চাইবো এই প্ল্যাটফর্ম এর মাধ্যমে আমার লেখাগুলো সকলের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য, ধন্যবাদ।
আসসালামু আলাইকুম! সিনিয়রদের পরামর্শ চাই: ১" আমি কী ইলেকট্রিক্যাল থেকে ডিপ্লোমা শেষ করে সিএসই ডিফারেন্টে পড়াশোনা করতে পারবো? ২" যদি সম্ভব হয়, তাহলে কোন কোন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের এপ্লাই করতে পারবো। এবং ৩" ইলেট্রিক্যাল থেকে সিএসিই তে পড়াশোনা করলে আমার কি কি সুবিধা ও অসুবিধা হতে পারে জানাবেন প্লিজ।
##বিঃদ্র- খুব কনফিউজড আছি অনেক দিন ধরে, ভাইয়া হেল্প মি, প্লিজ!!
জীবনে কোনকিছুই চিরস্থায়ী নয়। না আপনি, না আমি। রাস্তা দিয়ে হাটছি আর, আচমকা একটা ট্রাক এসে চাপা দিয়ে চলে গেলে! যেখানে নিজের জীবনেরই কোন গ্যারান্টি নেই, সেখানে কেউ একজন আমার জীবনে সারাজীবন পশে থাকবে, কখনো হারিয়ে যাবে না- সেটার কি গ্যারান্টি? আমরা সবাই একদিন মারা যাবো, তাই বলে সেই ভয়ে যেমন প্রতিদিন মুষড়ে না থেকে যতটা সময় বেঁচে আছি প্রাণ খুলে বাঁচার চেষ্টা করা উচিত। ট্রাকচাপা খাওয়ার ভয়ে যেমন রাস্তায় চলা বন্ধ করে দেওয়া অমূলক, তেমনি হারানোর ভয় নিয়ে কাউকে ভালোবাসাটাও অমূলক। কপালে যা লিখা আছে সেটা হবেই। তাই হারানোর ভয়টা মন থেকে সরিয়ে প্রাণ খুলে ভালোবাসতে শিখুন। সঙ্গীর সাথে প্রতিটা মুহূর্ত উপভোগ করুন। একে অপরকে বুঝতে সময় দিন। নিজেদের ভালোবাসার সম্পর্ক যতটা মজবুত বানাতে পারবেন, ততটাই স্থায়ী হবে সম্পর্ক। হারানোর ভয় যতদিন মনে বাসা বেধে থাকবে ততদিন কাউকে প্রাণ খুলে ভালোবাসতে পারবেন না।
আমাদের জীবনে চলার পথে অনেক বাধা এবং বিভ্রান্তির সমূখীন হতে হয়,, এই বাধা এবং বিভ্রান্তি গুলোর কারনেই মূলত আমাদের ভিতরে ডিপ্রেশন এর সৃষ্টি হয়। ডিপ্রেশন এমন একটি রোগ যা এক বার আপনার ভিতরে প্রবেশ করলে আপনার সমস্ত সুখ নষ্ট করে দিবে। এবং এর এনার্জি আপনার আসে পাশেও ছড়িয়ে পরতে পারে। ডিপ্রেশন আপনার ভবিষ্যাত কে তো নষ্ট করেই সাথে আপনার বর্তমানকেও নষ্ট করে দিবে। এ
ডিপ্রেশন নির্ভর করে আপনার কাজের ওপর, এ ডিপ্রেশন নির্ভর করে আপনার চিন্তা ভাবনার ওপর। একবার আপনি আপনার চিন্তা ভাবনা পরিবর্তন করুন দেখুন, আপনার চিন্তা ভাবনা আপনাকে পরিবর্তন করে দিবে। তবে ভাবনা চিন্তা হতে হবে ইতিবাচক, কেননা নেতিবাচক চিন্তা ভাবনাই আপনার ভিতর বিভ্রান্তর জায়গা করে নেয়।
আর এই বিভ্রান্তি থেকে হতে পারে আপনার মানুষিক অশান্তি। মানুষিক অশান্তি সম্পূর্ণ আপনার মনের ওপর নির্ভরশীল। আপনি আপনার মনকে নিয়ন্ত্রণ করে ইতিবাচক শক্তি অর্জন করতে পারেন, যা আপনার মানুষিক শক্তিকে দ্বিগুন বাড়িয়ে দিবে। অপর দিকে নেতিবাচক প্রভাবের ফলে আপনার মানুষিক অস্থিরতা বেড়ে যাবে, যা আপনার চলার পথে বিঘ্ন ঘটায়।
মানুষিক সুখ যদিও সম্পূর্ণ আপনার নিজের ওপর নির্ভর, যদি অন্য কেউ ডিসাইড করে দেয় যে আপনার ভিতরে কি ঘটবে। তাহলে আপনার ভালো থাকা অসম্ভব হয়ে পরবে। তাই প্রথমেই দরকার আপনার নিজের মনকে নিয়ন্ত্রণ করতে শেখা, দ্বিতীয় কথা হচ্ছে আপনার ভিতরে পজিটিভিটি বাড়াতে হবে। ভবিষ্যতে কি হতে পারে তা নিয়ে চিন্তা করে বর্তমান সময় টাকে নষ্ট করবেন না, এটা আপনার সৃষ্টিকর্তার উপর ছেড়ে দিন, কারণ ভবিষ্যতে কি হতে পারে এটা শুধু আপনার সৃষ্টি কর্তা ভালো জানেন। তাই প্রার্থনা করুন- প্রার্থনা করলে মন একটা আয়না হয়ে উঠবে এবং এটা শুধু আপনাকে প্রতিবিম্ব দেখিয়ে দিবে।
# ব্লগ টি ভাল লাগলে লাইক করুন এবং কমেন্ট এ আপনার মূল্যবান মতামত জানিয়ে দিন। ধন্যবাদ।
লেখাঃHimu66