রসুনেরও আছে নানা অপকারিতা? হ্যাঁ, ঠিক মতন বা সঠিক উপায়ে রসুন সেবন না করলে তা ডেকে আনতে পারে ভয়ানক বিপদ। এমনকি তা ডেকে আনতে পারে আপনার জন্য স্বাস্থ্য হানির ঝুঁকিও। আসুন, জেনে নেয়া যাক রসুন সেবনের সতর্কতা সম্পর্কে।
-যাদের শরীর থেকে রক্তপাত সহজে বন্ধ হয় না, অতিরিক্ত রসুন খাওয়া তাদের জন্য বিপজ্জনক। কারণ, রসুন রক্তের জমাট বাঁধার ক্রিয়াকে বাধা প্রদান করে। ফলে রক্তপাত বন্ধ হতে অসুবিধা হতে পারে।
- কোনও কিছুই অতিরিক্ত ভালো নয়। অতিরিক্ত রসুন শরীরে এলার্জি ঘটাতে পারে। যাদের নানান রকম এলারজিক সমস্যা আছে তারা অতিরিক্ত রসুন না খাওয়াই উত্তম।
- রসুন খাওয়ার ফলে পাকস্থলীতে অস্বস্তি বোধ করলে রসুন খাওয়া বন্ধ রাখুন।
- শিশুকে দুগ্ধদানকারী মায়েদের রসুন না খাওয়াই ভালো। কারণ রসুন খাওয়ার ফলে তা মায়ের দুধের মাধ্যমে শিশুর পাকস্থলীতে ঢুকে শিশুর পেট ব্যথার কারণ ঘটাতে পারে।
-কাঁচা রসুন বেশি খাওয়া উচিত নয়। বেশি খেলে অনেক সময় মাইগ্রেনের সমস্যা বাড়তে দেখা যায়।
- কাঁচা রসুন সেবনে অনেকের চামড়ায় চুলকানি দেখা দিতে পারে।
রসুন নরম হয়ে গেলে বা সবুজ রঙ দেখা দিলে সেই রসুন কিনবেন না। কারণ এসব রসুনের কার্যগুন নষ্ট হয়ে যায়। কেনার সময় মাঝারি আকারের রসুন কিনুন।
আপনার প্রশ্ন টি হল রসুনের উপকারিতা কি?
অন্যান্য শাকসবজির মত রসুনের রয়েছে অনেক উপকারিতা -
১" এটি দ্বারা আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থাকলে গ্যাস্ট্রিক কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসবে। এবং ২" আপনার যদি কোন যৌন সমস্যা থাকে তাহলে এটি খুবই উপকারে আসবে আপনার জন্য। ৩" বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত যে রাতে ঘুমানোর আগে বালিশের নিচে এক কোয়া রসুন রেখে যদি ঘুমাতে পারেন, তাহলে এটি আপনার মস্তিষ্কের জন্য অনেক উপকারে আসবে। এবং আপনার ঘুম ভালো হবে। ৪" হজম শক্তি বৃদ্ধি ও কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ হতে মুক্তি পাওয়া যায়। ৫" অতিরিক্ত রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে।
#ধন্যবাদ