। # নিয়মিত ব্যায়াম করুনঃ উচ্চতা বাড়ানোর অন্যতম ভাল উপায় হল নিয়মিত ব্যায়াম করা। ব্যায়াম বা খেলাধূলা করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। প্রথমে শুরু করতে পারেন বেশ কিছু স্ত্রেচিং দ্বারা। ধীরে ধীরে ব্যায়ামের মাত্রা বাড়িয়ে নিন। নিয়মিত ব্যায়াম করলে শরীরের বিভিন্ন জোড়াগুলোতে ভাল প্রভাব পড়ে ফলে উচ্চতা দ্রুত বৃদ্ধি পায়। # শ্বাসপ্রশ্বাসের চর্চা করুন: স্বাভাবিক নয়, শ্বাস নিন গভীরভাবে। বৈজ্ঞানিক পরীক্ষায় দেখা গেছে যে, গভীরভাবে শ্বাসপ্রশ্বাস গ্রহন ও বর্জন করলে তা শারীরিক নানা জটিলতা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে অনেকাংশেই। যেহেতু সব সময় গভীরভাবে শ্বাস নেয়া সম্ভব নয় তাই দিনের যেকোনো একটি সময় নির্বাচন করে গভীরভাবে শ্বাস প্রশ্বাস নেয়ার ব্যায়াম করুন। চাইলে মেডিটেশন করতে পারেন কারণ মেডিটেশনও একই ফল দেয়। # পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমান (proper sleep): আমরা যখন ঘুমিয়ে থাকি বা বিশ্রাম নিই তখন শরীরের টিস্যু পুনরুৎপাদন হয় এবং আকার বৃদ্ধি পায়। গবেষণায় জানা গেছে হিউম্যান গ্রোথ হরমোন (HGH) আমাদের শরীরে প্রাকৃতিক ভাবে উৎপন্ন হয় তখনই যখন আমরা ঘুমিয়ে থাকি। তাই উচ্চতা বৃদ্ধির জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম (proper sleep) অপরিহার্য। কৈশোর থেকেই দৈনিক ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা ঘুমানোর অভ্যাস করুন।
অাসলে উচ্চতাটা হলো প্রাকৃতিক ও বংশগত । প্রাকৃতিক ভাবেই মানুষের উচ্চতা বৃদ্ধি পায় এবং এর বংশগত প্রভাবও বিদ্যমান রেয়েছে । তবুও এ দুটি প্রভাব স্বাভাবিক থাকা স্বত্বেও অনেকের উচ্চতা বৃদ্ধি স্বাভাবিক নয় অর্থাৎ, সঠিক বৃদ্ধি না হওয়ার কারণ হরমোন জনিত তারতম্য বা প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাব । সেজন্য অাপনাকে হরমোনজনিত সমস্যার জন্য ভালো হরমোন বিশেষজ্ঞের সরণাপন্ন হতে হবে এবং পুষ্টিকর খাবার গ্রহন অব্যাহত রাখতে হবে । পাশাপাশি নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম করতে পারেন । তাহলে আপনি আরো লম্বা হবেন।