শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
shohanrand1

Call

কৃত্রিম দাঁত দুই ধরনের হয়ে থাকে। একটি হলো এমন দাঁত, যা স্থায়ীভাবে লাগিয়ে দেওয়া হয় এবং পরে তা সহজে বের করে আনা সম্ভব হয় না। এ ধরনের কৃত্রিম দাঁত আসল দাঁতের মর্যাদা রাখে। মূল দাঁতের মতো হওয়ায় এর জন্য নতুন কোনো বিধান বা নির্দেশনা নেই। অজুর ক্ষেত্রে এসব দাঁত পর্যন্ত পানি পৌঁছানো সুন্নত এবং গোসলের ক্ষেত্রে ফরজ। কষ্ট করে দাঁত বের করা এবং নিচ পর্যন্ত পানি পৌঁছানো আবশ্যক নয়। বিজ্ঞ আলেম ও ফেকাহবিদরা এ ধরনের কৃত্রিম দাঁত লাগানো এমনকি এসব দাঁত সোনা-রুপার তার দ্বারা বাঁধাই করার অনুমতি দিয়েছেন। দ্বিতীয় প্রকার হলো এমন দাঁত, যা বানানোই হয়ে থাকে এমনভাবে, যাতে প্রয়োজন অনুসারে তা ব্যবহার করা যায় এবং প্রয়োজনের ভিত্তিতে সহজে খুলেও নেওয়া যায়। এ ধরনের দাঁত প্রকৃত দাঁতের মর্যাদা পায় না। শরীরে তা ‘বাড়তি বস্তু’ বলে গণ্য হয়। তাই এ ধরনের দাঁতের হুকুম হলো, গোসলের ক্ষেত্রে দাঁতগুলো বের করে এনে মূল শরীরে অর্থাৎ দাঁতের নিচের অংশে পানি পৌঁছাতে হবে। এমন না করলে গোসল সহিহ হবে না। অজুর ক্ষেত্রে কুলি করা সুন্নত। এই কুলি করার উদ্দেশ্য হলো, পুরো মুখের ভেতর পানি পৌঁছানো। তাই অজুতেও এসব দাঁত বের করে কুলি না করলে অজুর সুন্নত আদায় হবে না। (সূত্র : জাদিদ ফিকহি মাসাইল, পৃষ্ঠা ৭৮) উত্তর দিচ্ছেনঃ মাওলানা সাদ আবদুল্লাহ মামুন

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ