শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

অর্শ্ব বা পাইলস : মলাদ্বারের নিম্নাংশ বা মলদ্বারের শিরাগুলো ফুলে গেলে সেগুলোকে সাধারণত অর্শ্ব বা পাইলস বলে। এই অর্শ্ব মলদ্বারের অভ্যন্তরেও হতে পারে আবার বাইরেও হতে পারে।
আক্রান্ত ব্যক্তির পায়খানের সাথে রক্ত বের হয়। কখনো কখনো একদিন রক্ত দেখা দিলে আবার ছয় মাস পর রক্তের দেখা মেলে। 

কোষ্ঠকাঠিন্য : একটি অস্বাভাবিক শারীরিক অবস্থা যখন একজন ব্যক্তি সহজে মলত্যাগ করতে সক্ষম হন না। সাধারণত: এক-দুই দিন পরপর মলত্যাগের বেগ হওয়া এবং শুষ্ক ও কঠিন মল নিষ্কাশন কোষ্ঠকাঠিন্য বলে পরিচিত।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Jamiar

Call

ধন্যবাদ প্রশ্ন করার জন্য।

প্রথমে আপনাকে অর্শ্ব বা পাইলস সম্পর্কে ধারনা দিবো অর্শ্ব বা পাইলস হচ্ছে   পায়ূ পথে বিদ্যমান অঙ্গ রক্তনালী যা মল নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।ফোলা বা প্রদাহ থেকে এগুলো রোগ সংক্রান্ত বিষয় বা পাইলস এ পরিণত হয়। শারীরবৃত্তীয় পর্যায়ে এগুলো ধমনী-শিরা পথ এবং যোজক কলা দ্বারা গঠিত কুশনের ন্যায় কাজ করে।সাধারণত অভ্যন্তরীণ হেমোরয়েডস এর ক্ষেত্রে মলদ্বারে রক্তপাত লক্ষ করা যায় যা বেদনাবিহীন, আর বাহ্যিক হেমোরয়েডস হলে কয়েকটি উপসর্গ দেখা দিতে পারে,মল শক্ত ও কষা হলে বা কোষ্ঠকাঠিন্য হলে পায়ু পথের চারিদিকে ফেটে যায়।অর্থাৎ মানুষের মুখের ঠোট শীত কালে ঠোট ফাটে আর এই ফাটা ঠোট নিয়ে বড় করে হাাাাাাাাা করলে ঠোটের ফাটা অংশ দিয়ে রক্ত আশে। ঠিক তেমনি পায়ু পথের ব্যাপার টি যা মল কষা ও শক্ত হলে তখন পায়ু পথের চামরা ফেটে যায় ফলে বুঝা যায় যে হয়তো কেউ বা ব্লেড দিয়ে চিরে দিয়েছে যা জ্বালাপোড়া সহ ব্যথা হয়।এটিই মুলত অর্শ্ব। আর পাইলস যখন বলা যাবে তখন এই অর্শ্বের কারনে বা কোষ্ঠকাঠিন্য কারনে পায়ুপথের নিম্ন অংশের শিড়া ফুলে যায় যা একটু ভিতরে বা বাহিরে গোটা হয় যা ব্যথা ও চুলকানি হীন সেটাই পাইলস  এছাড়াও ফিসার আছে যা আলাদা তবে এনাল ফিসার নিয়ে প্রশ্ন করিয়েন ইনশাআল্লাহ উত্তর দেওয়ার চেস্টা করবো।

কোষ্ঠকাঠিন্য একটি অস্বাভাবিক শারীরিক অবস্থা যখন একজন ব্যক্তি সহজে মলত্যাগ করতে সক্ষম হন না। সাধারণত: এক-দুই দিন পরপর মলত্যাগের বেগ হওয়া এবং শুষ্ক ও কঠিন মল নিষ্কাশন কোষ্ঠকাঠিন্য বলে পরিচিত। ডাক্তারদের মতে কেউ যদি পর্যাপ্ত পরিমাণ আঁশযুক্ত খাবার গ্রহণ করার পরও প্রতি সপ্তাহে তিনবারের কম পায়খানায় যায় তখনই এই অবস্থাকে কোষ্ঠকাঠিন্য বলা হয়। এ অবস্থায় পায়খানায় দীর্ঘক্ষণ বসে থেকেও মল পরিষ্কার হয় না। মল নরম করতে অনেকসময় রোগী জোলাপ ব্যবহার করেন। রোগীরা যতগুলো জোলাপ নেয় তার মধ্য Actilac খুব জনপ্রিয়। ডাক্তার বলেন যে কোষ্ঠকাঠিন্য হলে তা সারাই করার পরিবর্তে কোষ্ঠকাঠিন্য যাতে না হয় সেভাবে চলাই শ্রেয়। এর কিছু লক্ষন আছে যা হলো মল শুষ্ক, শক্ত ও কঠিন মল, মলত্যাগে অনেক বেশি সময় লাগা, মল ত্যাগের জন্য অনেক বেশি চাপের দরকার হওয়া, অধিক সময় ধরে মলত্যাগ করার পরও অসম্পূর্ণ মনে হওয়া, মলদ্বারের আশপাশে ও তলপেটে ব্যথা অনুভব, এবং সাপোজিটরি বা অন্য কোনো উপায়ে মল নিষ্কাশনের প্রচেষ্টা। আর এই কোষ্ঠকাঠিন্য কারনেই কিন্তু বেশির ভাগই অর্শ্ব বা পাইলস হয় তবে এছাড়াও ফাঙ্গাস/ ব্যাক্টেরিয়া সংক্রামন এর কারনেও পাইলস বা এনাল ফিসার হতে পারে।

যাইহোক যদি আপনার মাঝে এরকম কোন সমস্যা দেখায় যায় তাহলে অতি দ্রুত ডাক্তার দেখাবেন। অর্শ্ব পাইলস এসবের কবিরাজি চিকিৎসা করবেন না প্লিজ।

আশা করি বুঝতে পারছেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ