কেউ যদি কারো সম্পর্কে জানতে চায় আর আমি যদি ঐ লোকের অনুপস্থিতিতে সত্য কথা বলি তাহলে এটি কি গীবত হবে? আবার কারো অনুপস্থিতিতে যদি তার সম্পর্কে বা তার কর্ম সম্পর্কে সত্য কথা কাউকে বলা প্রয়োজন বা জরুরী হয়ে পড়ে তখন সেটি কি গীবত হবে?


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

প্রথমে জানতে হবে গীবত কাকে বলে। কারো সম্পর্কে কি বললে সেটা গীবত করা হয়। গীবত কাকে বলে: গীবত শব্দটি ইসমে মাছদর অভিধানে বিভিন্ন অর্থে ব্যাবহৃত হয়। ১.পরনিন্দা করা ২.কুৎসা রটনা করা ৩. গোপনে সমালোচনা করা ৪. দোষ বর্ননা করা। কারো অনুপস্থিতে অন্যের কাছে এমন দোষ বর্ননা করা যা সে শুনলে খারাপ লাগে, অপছন্দ করে বা অসন্তুষ্ট হয় তাকেই গীবত বলে। চাই মুখে হোক আর লেখনীতে হউক। কোন মুসলমানের নিকট হউক আর অমুসলিমের নিকট হউক। বর্ণিত দোষ যদি ঐ ব্যক্তির মধ্যে থাকে তবে তা গীবত হবে। আর যদি না থাকে মিথ্যা বানিয়ে বর্ণনা করা হয় তাহলে তা হবে অপবাদ। গীবতের সংজ্ঞা অনেকের জানা না থাকার কারনে এবং গীবতের পরিণাম ও ভয়াবহতা সম্পর্কে ধারনা না থাকার কারনে আজকাল অনেকেই অহরহ গীবত করে চলেছেন। কেহ অন্যের দোষ বর্ণনা করেন আবার বলেন- আমি সামনে বলতে পারবো বিধায় এটা গীবত নয়। অথচ শরীয়তে কারো অবর্তমানে দোষ বর্ণনা করাকেই গীবত বলা হয়েছে। আবার কিছু লোক বলেন মিথ্যা দোষ বর্ণনা করা গীবত,সত্য দোষ বর্ণনা করা গীবত নয়। আবার কারো কারো ধারনা একজন ব্যক্তির যে দোষ সবাই জানে সেটা বর্ননা করা গীবত নয় তাদের ভাষ্য হল- যে দোষ লোকজন জানে না সেটা বর্ণনা করলে গীবত। তারা বলে আমি যে দোষ বর্ণনা করছি তা তো সবাই জানে। রাসুলুল্লাহ (সঃ) একদিন সাহাবায়ে কেরামদের জিজ্ঞেস করলেন তোমরা জান গীবত কাকে বলে? সাহাবায়ে কেরাম বললেন আল্লাহ ও তার রাসুল (সঃ) ভাল জানেন জবাবে রাসুল (সঃ) ইরশাদ করলেন ‘‘জিকরুকা আখাকা বিমা ইয়াক্রাহু” গীবত হচ্ছে তোমার অপর ভাইয়ের এমন দোষ বর্ণনা করা যা সে শুনলে অসন্তুষ্ট হবে। সাহাবায়ে কেরাম বললেন ইয়া রাসুলাল্লাহ বর্ণনাকৃত দোষ যদি তাহার মাঝে থাকে তবে কি গীবত হবে। রাসুল (সঃ) বললেন- যার দোষ বর্ণনা করা হবে তাহার মাঝে যদি এ দোষ বিদ্যমান থাকে তবে তা গীবত হবে আর যদি না থাকে তবে অপবাদ হবে। (মুসলিম) আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামীন পবিত্র কালামে এরশাদ করেন ‘‘ওলা ইয়াখতাব বা’য়দুকুম বা’য়দা’’ –তোমরা একে অপরের গীবত করোনা ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ