তারাবীহ নামাযের প্রতি চার রাকাত পর নির্দিষ্ট কোন দুআ দরূদ পড়ার কথা বিশুদ্ধ সূত্রে হাদীসে বর্ণিত হয়নি।
বা তারাবীহর নামাযের চার রাকাআত পড়ে পঠনীয় নির্দিষ্ট কোন দুআ নেই। এ স্থলে যে দুআ পড়া হয় সুবহানাজিল মুলকি এই দুআ সশব্দে বা নিঃশব্দে, একাকী বা সমবেত সুরে পড়লে বিদআত বলে গন্য হবে।
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি আমার এই দ্বীনে (নিজের পক্ষ থেকে) কোন নতুন কথা উদ্ভাবন করল, যা তার মধ্যে নেই, তা প্রত্যাখ্যানযোগ্য।
মুসলিমের অন্য এক বর্ণনায় আছে, যে ব্যক্তি এমন কাজ করল, যে ব্যাপারে আমাদের নির্দেশ নেই তা বর্জনীয়।
আমাদের সমাজে চার রাকাত পর ‘সুবাহানজিল মুলকি’ পড়া হয় এর কোন দলীল নেই।
সহীহ সুত্রে হাদীসে যত দুআ পাওয়া যায় তার মধ্যে এর কোন অস্তিত্ব নেই।
তারাবীহ নামাজের পর মুনাজাতের জন্য নির্দিষ্ট কোনো দুআ নেই। তবে গোনাহমুক্ত জীবন লাভে তাওবা-ইসতেগফারের বিকল্প নেই। অথবা মনের একান্ত কথাগুলো যেভাবে ইচ্ছা আল্লাহর কাছে তুলে ধরায় কোনো অসুবিধা নেই।