শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
F.Rahman

Call

আপনার প্রশ্নের জন্য ধন্যবাদ। মোটামুটি সাতটি বিষয় সম্পর্কে আমি এখানে উল্লেখ করবো যার ব্যাখ্যা আমাদের আধুনিক বিজ্ঞান এখনো দিতে পারেনি।

1.Dark Energy:

আমরা এটি দেখতে পারি না এবং আমরা এটি অনুভব করতে পারি না, তবে আমরা পরীক্ষা করতে পারি।প্রকৃতপক্ষে এটি কী তা কেউ জানে না। তা স্বত্ত্বেও বিজ্ঞানীরা মনে করেন যে

মহাবিশ্বের প্রায় 70% Dark Energy তৈরী করে।এটিকে একটি বিদ্বেষপূর্ণ মাধ্যাকর্ষণ হিসাবে বিবেচনা করা হয় যা পদার্থকে ধাক্কা দেয়।প্রকৃতপক্ষে এটি কীভাবে কাজ করে তা এখনও একটি রহস্য।

2. Dark Matter :

আমাদের মহাবিশ্বের "Dark Matter " ও "Dark Energy" এর মতো পদার্থকে দেখা বা অনুভব করা যায় না।

এই অধরা পদার্থগুলোর কিছুটা পার্থক্য রয়েছে।

কারণ আমরা "Dark Matter" এর মাধ্যাকর্ষণ প্রভাবগুলি পরিমাপ করতে পারি,তবে এটি কীভাবে তৈরি হয় তা কেউ জানে না।

3.আলো :

আলো একটি তরঙ্গ আবার এটি একটি কণা!

আলোর রশ্মিগুলির একটি বিভক্ত প্রতিনিধিত্ব থাকে। সাধারণত তারা উৎস থেকে তৈরি হয়ে তরঙ্গ বৈশিষ্ট্য প্রদর্শন করে।যেকোনো সাপেক্ষ বস্তুর পৃষ্ঠতলের প্রতিফলন হতে একই সময়ে প্রস্তাব করা যায় যে আলো একটি তরঙ্গ বা কণা, বা উভয়।

আলোর উপস্থিতিতে ইলেকট্রন মুক্ত করে ব্যবহার করা যেতে পারে।তাদের এমন কিছু বৈশিষ্ট্য আছে যা ইঙ্গিত দেয় যে তারা কণা। তবে আলো কীভাবে তা নির্ধারণ করে এবং কণা বা তরঙ্গ হিসাবে কাজ করে তার ব্যাখ্যা এখনও অসম্পূর্ণ।

4.সময়:

আমরা জানি,সময় ফোর্থ ডাইমেনশনের একটি ভ্যারিয়েবল।সাম্প্রতিক ধারণায় ব্ল্যাকহোলের কেন্দ্রে এই ফোর্থ ডাইমেনশনের চাক্ষুষ উপস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা যাবে যেখানে স্পেস এবং সময় পরস্পর জায়গা বদল করবে ফলে থার্ড ডাইমেনশনের চলক গুলো (যেমনঃ সরণ,বেগ,ত্বরণ,বল ইত্যাদি) একমুখী হবে কিন্তু সময় দিকপরিবর্তন করে আগেপিছে আসতে পারবে। আমাদের থার্ড ডাইমেনশনে সময় যত এগিয়ে যায় আমরা ততই কেবল বড় হয়ে উঠি কিন্তু আমরা কম বয়সী হইনা। গাছগুলি কেবল লম্বা হয় কিন্তু তারা সময়ের প্রভাবে কখনও বীজ অবস্থায় ফিরে আসে না। আমাদের সূর্য কেবল ফিউশন বিক্রিয়ায় এর জ্বালানী ব্যবহার করে,কিন্তু কখনই শীতল গ্যাসীয় অবস্থায় ফিরে আসে না এক্ষেত্রে হাইড্রোজেন গ্যাস সময়ের প্রবাহে কেবল একদিকে যায়... তবে কেন আমাদের পক্ষে চতুর্থ ডাইমেনশন তৈরী করে সময়ের বিপরীত প্রবাহ তৈরী করা অসম্ভব?

5. ম্যাটার এবং অ্যান্টিম্যাটারঃ

আমরা অনেকেই হয়তো ম্যাটার এবং অ্যান্টিম্যাটারের সম্পর্কে জানি।

মহাবিশ্বের সকল উপস্তিত বস্তু হল ম্যাটার।বিজ্ঞানীরা একটি ধারণা দিয়েছেন যে মহাবিশ্বে সমানুপাতে ম্যাটার এবং অ্যান্টিম্যাটার রয়েছে। এই দুটি পদার্থের কিছু পার্থক্য আছে। সমান পরিমাণে সাধারণ ম্যাটার এবং

অ্যান্টিম্যাটারে একই ভর ও কণা থাকে কিন্তু এরা বিপরীত চার্জবিশিষ্ট হয়।বর্তমানে নতুন এন্টিম্যাটার যাতে প্রকাশিত হতে পারে এজন্য সিইআরএন-তে লার্জ হ্যাড্রন কলাইডার আপগ্রেড করা হয়েছে।তবুও মহাবিশ্বের এই অজানা পদার্থ এখন পর্যন্ত রহস্য।

6.কেন আমরা চারটি মাত্রা(ফোর্থ ডাইমেনশন) কল্পনা করতে পারি না?

খুব অল্প মানুষই একটি বিশ্ব কল্পনা করার চেষ্টা করে যেখানে

চারটি স্থানিক মাত্রা থাকবে। কিছু তত্ত্ব (যেমন

স্ট্রিং তত্ত্ব) আছে যেখানে এগারোটি মাত্রা অনুমান করা সম্ভব। স্ট্রিং তত্ত্ব যদি প্রমাণিত হয় তবে আমাদের খুঁজে বের করতে হবে যে ছয়টি অনুপস্থিত মাত্রা আমাদের বাস্তবতার সাথে জড়িয়ে আছে।

7.কেন আলোর সর্বজনীন গতির সীমা থাকে?

C, আলোর গতির ধ্রুবক যার গতি প্রতি সেকেন্ডে 3x10^8 মিটার। তবে কেন শুধু এই মান এবং অন্য মান কেন নয়(যেমনঃ 4x10^8 মি/সে)?এটি কি কোনো এলোমেলো হিসাব?যখন নতুন কোনো মহাবিশ্বের বিষ্ফোরণ হবে তখন সেক্ষেত্রে কি এই মান প্রদত্ত মহাবিশ্বের জন্য পরিবর্তিত হবে?

বর্তমানে আলোর গতি জানা সম্ভব হওয়ার একমাত্র কারণ যে আমরা জানি আমাদের মহাবিশ্বে আলোর গতির এই সীমা ছাড়া আমাদের মহাবিশ্বের অস্তিত্ব থাকতে পারে না।কিন্তু আমাদের মহাবিশ্ব ছাড়া অন্য কোনো মহাবিশ্বের ক্ষেত্রে এই মান কি হবে তা সম্পর্কে আমরা এখনো কিছু জানিনা।

এই হলো আমার কিছু অজানা প্রশ্ন যার ব্যাখ্যা বর্তমান বিজ্ঞান দিতে পারে না। তবে আশা করি সময়ের সাথে সাথে আমাদের আধুনিক বিজ্ঞান এই সমস্যাগুলোর সমাধান করতে পারবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ