ইসলাম যে একমাত্র ধর্ম তা বোঝার বিবেক আল্লাহ সবার মাঝে দিয়েছেন। আমরা এই পৃথিবীতে লক্ষ কোটি ধর্ম পেয়ে যাব কিন্তু সেগুলোর কিছু কিছু রয়েছে যাদের কোন ধর্মগ্রন্থ নেই। আমরা যাদের ধর্মগ্রন্থ আছে তাদের কেবল ধর্মগ্রন্থ হিসাবে মেনে নিব। আল কুরআনে আল্লাহ বলেন- আমি আপনাকে সমগ্র সৃষ্টিজগতের জন্যে রহমত স্বরূপই প্রেরণ করেছি। [সূরা আম্বিয়া, ২১: ১০৭]। এখানে কিন্তু সমগ্র মানব জাতিকে উল্লেখ করে বলা আছে। আপনি যদি অন্য ধর্মগ্রন্থরদিকে তাকান তাহলে দেখবেন তারা কেবল কোন এক নির্দিষ্ট জাতির জন্য উক্ত ধর্ম স্বীকৃতি দিয়েছে। যেমন ইসলামের অন্য নবীর কিতাব দেখলে বলা যায় তৌরাত কিতাব। উক্ত কিতাবে মুসা আঃ এর মৃত্যুর বিবরণ কিছুতেই থাকতে পারে না। যদি তা বিদ্যমান থাকে, তাহলে বুঝা যাবে, তা তার উপর নাজিলকৃতি ঐশীবানীময় কিতাব নয়। বরং পরবর্তীতে লিখিত মুসা আঃ এর জীবনীগ্রন্থ। তৌরাতের বিবরণ পরিস্কার প্রমাণ করে, বর্তমানের বিদ্যমান তৌরাত মুসা আঃ এর উপর নাজিলকৃত ঐশী গ্রন্থ নয়। বরং পরবর্তী কারো লিখিত মুসা আঃ এর জীবনী গ্রন্থ। জীবনী গ্রন্থেই কেবল মৃত্যুর সময়, এবং কোথায় দাফন করা হয়েছে? মৃত্যুর পর তার উম্মতের কী করেছেন? তা বিধৃত হয়। যে মারা গেছেন, তার জীবদ্দশায় নাজিলকৃত কিতাবে এসব আসতেই পারে না।
যে ধর্মগ্রন্থে তাদের ধর্মকে সবার ধর্ম হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করেছে, আমরা কেবল সেই ধর্মই মানবো। আর বাকিগুলোর ক্ষেত্রে বুঝে যাবো, সেগুলো সবার জন্য নয়, বরং নির্দিষ্ট জাতি গোষ্ঠির জন্য সীমাবদ্ধ ধর্ম।
এ বিষয়ে একমাত্র ইসলামই টিকে যাবে। আর কোন ধর্ম টিকবে না। কারণ ইসলামের ধর্মগ্রন্থ কুরআন ছাড়া আর কোন ধর্মগ্রন্থে তাদের ধর্মকে সমগ্র মানবজাতির জন্য প্রেরণ করা হয়েছে কথাটি নেই। কেবল ইসলাম ধর্মের ধর্মগ্রন্থ কুরআনেই একথাটি বিদ্যমান।