ঘুমের মধ্যে বীর্যস্থলন একটি অতি সাধারন বিষয়, যা সব পুরুষের জীবনের যেকোন পর্যায়ে স্বপ্নদোষের মাধ্যমে হতে পারে।
যদিও এটা স্বাভাবিক ঘটনা তবুও স্বপ্নদোষের কারনে পুরুষের মানসিক ও শাররীক সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। গবেষনায় পাওয়া গেছে কিশোর বয়েসে শারীরবিত্তিয় হরমোনজনিত পরিবর্তনের কারনে এ সমস্যাটি বেশি পরিলক্ষীত হয়। তবে প্রাপ্তবয়স্কদের মাঝেও স্বপ্নদোষের হার অনেক।
হস্তমৈথুন এবং স্বপ্নদোষ আনুপাতিক হারে বিপরীতমুখী। অর্থাৎ হস্তমৈথুন করলে অনেকের স্বপ্নদোষ হ্রাস পায়। তবে অতিরিক্ত হ্স্তমৈথুনের ফলেও কিছু শাররীক, মানসিক এবং হরমোনজনিত সমস্যা সৃষ্টি হয় যা এই ধরনের স্বপ্নদোষকে পুরুষের স্থায়ী পুরুষত্বহীনতা এবং লিঙ্গত্থান(ইরোটিক্যাল ডিসফাংশান) এর মত মারাত্মক জটিল রোগের সৃষ্টি করতে পারে।
সাধারনত যৌনস্বপ্ন অথবা যে পুরুষ অনেকদিন যাবৎ শাররীক মিলন করেননি কিংবা যিনি অতিরিক্ত যৌনচিন্তা করেন তাদের দোষ হয়ে থাকে।
বীর্য পুরুষের শরীরে প্রাকৃতিক ভাবে সৃষ্টি হয় যা পরবর্তীতে শাররীক মিলন কিংবা হস্তমৈথুনের সময় চরম তৃপ্তির পর্যায়ে শরীরথেকে নির্গত হয়ে যায়। কিন্তু অতিরিক্ত হস্তমৈথুনের ফলে টেষ্টষ্টোরেন হরমোন অধিক পরিমান (প্রয়োজনের অতিরিক্ত) বীর্য তৈরি করে এবং একই সাথে স্পিংটার পেশী এবং স্নায়ু দুর্বল করে দেয় যার ফলে বীর্য যৌনতন্ত্রে আটকে যায়। পরবর্তীতে আটকে থাকা বীর্য প্রস্রাবের সাথে কিংবা কোন রকম খারাপ স্বপ্ন ছাড়া ঘুমের মাঝে শুধুমাত্র বিছানার ঘর্ষনের ফলে নিজ থেকে বেরিয়ে যায়।
বীর্য আটকে থাকার কারনে এবং তা থেকে স্বপ্নদেষের সৃষ্টির কারেনে ক্রমশ নিম্নের সম্যসাগুলো সৃষ্টি হতে পারেঃ
স্বপ্নদোষ থেকে রক্ষা পাবার উপায় সমুহঃ
বয়োসন্ধিক্ষণের পরে শরীরে আর সব উপাদানের মতোই নিয়মিত বীর্যরস তৈরি হয়। স্বাভাবিকভাবেই যৌনানুভূতি প্রবল হতে শুরু করে। কিন্তু সামাজিক আর ধর্মীয় অনুশাসন তো ছেলেমেয়েদের অবাধ যৌনমিলন অনুমোদন করে না। তাহলে কোথায় যাবে বীর্যথলি বা অণ্ডকোষে জমা হওয়া বীর্যকণাগুলো? নিশ্চয় সেগুলো এমনি এমনি শরীর থেকে লোপাট হয়ে যাবে না। অনবরত জমা হতে থাকলে অণ্ডকোষের ধারণ ক্ষমাতাও ফুরিয়ে যাবে একসময়। ফলে তখন আরো তীব্র হবে যৌনানুভূতি। তখন হয় তাকে হস্তমৈথুন করে বের করতে হবে, নয়তো রাত্রে ঘুমের ঘোরে স্বপ্নদোষের মাধ্যম্যে বেরিয়ে যাবে।