স্বপ্নদোষ যেন না হয় এর করণীয়ঃ
১) ঘুমানোর আগে ওযু করে পবিত্র হয়ে ঘুমাতে হবে ।ওযু করলে শয়তান দূরে থাকে । এতে করে স্বপ্নদোষ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না ।
২) ঘুমাতে যাওয়ার আগে “আল্লাহুম্মা বিসমিকা আমুতু আহইয়া অর্থাৎ হে আল্লাহ্! আপনার নামে মৃত্যুবরণ করছি এবং আপনার নামেই পুর্নজীবিত হই । (বুখারী, হা/6312)
৩) দুই হাতের তালু একত্রে করে এর মধ্যে সুরা ইখলাস, ফালাক ও নাস তিনবার করে পাঠ করে ফু দিবে.পরে পুরো শরীর মুছে দিবেন, যতদুর সমভব (মাথা ও মুখ মনডল সহ) (বুখারী,হা/5017)
৪) আয়াতুল কুরসী পাঠ করা । (বুখারী,হা/3275) ফজিলত – একজন ফেরেশতা নিয়োগ করে দেন বান্দার উপকারে ।এতে করে শয়তান কোনো ক্ষতি করতে পারে না ।
৫) ডান কাতে শুয়ে ও ডান হাত গালের নিচে দিয়ে নিচের দোয়াটি পড়বেন. আল্লাহুম্মা কিনি’ইআযা- বাকা ইয়াওমা তাবআসু ইবাদাকা অর্থাৎ হে আল্লাহ! যেদিন আপনি আপনার বান্দাগণকে পুর্নজীবিত করবেন. সে দিনের (পরকালীন) আযাব হতে আমাকে বাচান ।তিনবার পড়তে হবে । (আবু দাউদ,/5045; তিরমিযী,হা/3398) [বিঃদ্রঃ উপুড় হয়ে ঘুমালে স্বপ্নদোষ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে ।এজন্য কাত হয়ে
ঘুমাতে হবে ।]
৬) সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াত (২৮৫ ও ২৮৬) পাঠ করবেন । বুখারী ও মুসলিমে আছে, যে বেক্তি এই দুই আয়াত পাঠ করবে, তার জন্য এই আয়াত দুটোই যতেষ্ট হবে । মানে বিপদাপদ ও শয়তানের অনিষ্ঠ থেকে রক্ষা পাবে । (বুখারী,হা/5009 ও মুসলিম,হা/807)
আপনি ডিপ্রেশন এ ভুগতেছেন অর্থাৎ আপনার মনের মাঝে এই স্বপ্নদোষ কথা টি বার বার প্রতিফলিত হচ্ছে আপনি ভয় পাচ্ছেন এই বুঝি হবে,আজ বুঝি হবে,হলে কি করবো, নানান কিছু চিন্তাভাবনা করেন ঘুমের মাঝে বা ঘুমানোর আগে যার কারনে স্বপ্নদোষ থেকেই যাচ্ছে। আর আপনি বললেন না যে মাসে ঠিক কত বার স্বপ্নদোষ হয়?
যাইহোক আপনি অনেক কিছুই করছেন চিকিৎসা, কবিরাজ, সব কিছুই করছেন ভালো কথা কিন্তু এসব কিছু করে লাভ কি যদিনা নিয়ম মেনে না চলেন। আপনি স্বাভাবিক ভাবে জীবন যাপন করবেন আর নিম্নের নিয়ম গুলো ফলো করুন প্রতিদিন।
উপরোক্ত নিয়ম গুলো অবশ্যই মেনে চলবেন তাহলে ইনশাআল্লাহ স্বপ্নদোষ কম হবে। আর আপনি হিসাব করে রাখবেন মাসে মোট কত বার স্বপ্নদোষ হলো।
ধন্যবাদ।