আপনি প্রশ্ন করলেন হস্তমৈথুন বাদ দিলে ঘন ঘন স্বপ্নদোষ হয়।
আসলে আপনি অতিরিক্ত হস্তমৈথুন করেছিলে এবং তা ১০ বছর স্থায়ী ছিলো আর এতো দিন হস্তমৈথুন করার কারনে আপনার অন্ডকোষ বীর্য তৈরি ঠিকি করে কিন্তু বীর্যথলীতে বীর্য ধরে রাখার ক্ষমতা কমে গেছে ফলে হস্তমৈথুন করা ছেড়ে দেওয়াতে বীর্যথলীর বীর্য গুলো লিঙ্গ সামান্য উত্তেজনায় ও রাতে ঘুমের ঘোড়ে বীর্যপাত হচ্ছে । যার প্রভাবে শরীর শুকিয়ে যাচ্ছে,মাথা ব্যথা করে সামান্য একটু বেশি কথা বললেই,বসে থেকে উঠলেই মাথা ঘোড়ে,শরীর দুর্বল লাগে ইত্যাদি সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। ইহা এক প্রকার রোগ বলতে পারেন যা হলো মেহ অথবা ধাতুদূর্বলাতা যার কারণে আপনার এই সমস্যা ।
আপনি হস্তমৈথুন করা ছেড়ে দিয়েছেন ভালো কথা তবে পর্নোগ্রাফি দেখা বন্ধ করতে হবে এবং এ অবস্থায় যতই ঘন ঘন স্বপ্নদোষ হোক না কেনো কোন সমস্যা নেই আর হস্তমৈথুন করার ইচ্ছা জাগলেও তা করবেন না তখন অন্য দিকে মনযোক দিবেন । এছাড়াও কিছু নিয়ম মেনে চলবেন প্রতিদিন যা হলো।
-
হস্তমৈথুন করবেন না। ব্যায়াম করবেন।
-
লিঙ্গ উত্তেজিত হলে লিঙ্গে হাত দিবেন না। বা লিঙ্গ উত্তেজিত হলে হাটাহাটি করবেন।
-
একাই রাতে ঘুমাবেন না।
-
পর্নগ্রাফী দেখবেন না ।
-
যৌন বিষায়ক চিন্তাভাবনা করবেন না।
-
বন্ধুত্ব পূর্ণ সুস্থ সুন্দর সম্পর্ক সৃষ্টি করবেন।
-
কোন পর্নগ্রাফী দেখবেন না শোয়ার আগে বা শোয়ার সময়।
-
ঢিলাঢালা পোশাক পড়বেন সব সময়।
-
টাইট আন্ডারওয়ার পরবেন না।
-
দুঃশ্চিন্তা কমাবেন ।
-
পর্যাপ্ত পরিমানে ঘুম ও বিশ্রাম নেবেন।
-
বেশি করে পানি পান করবেন।
-
সকালে খালিপেটে ইসুবগুলের ভুসির শর্বত খাবেন যা আগেই রাতে ভিজিয়ে রাখবেন।( অবশ্যই ভুসিটি প্যাকেটজাত করা ক্রয় করবেন)
-
নিয়মিত স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর খাদ্যখাবেন।
-
আপনার smoking বা alcohol এর অভ্যাস থাকলে তা পরিহার করুন আস্তে আস্তে।
-
ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলুন।
-
রাতে বেশি পানি পান করবেন না।
-
শুধু বাম কাদ ও ডান কাদ হয়ে ঘুমাবেন।
-
লিঙ্গ বিছানার সাথে ঘসানোর চেস্ট করবেন না।
-
রাতে কম খাবার খাবেন খাবার খাওয়ার পর হাটাহাটি করুন। খাওয়ার সাথে সাথে ঘুমাতে যাবেন না।
-
ঘুমাতে যাবার আগে প্রস্রাব করে নিন। এবং ঘুমানোর আগে প্রস্রাবের চাপ আসলে প্রস্রাব করে নিবেন।
-
রাতে মাছ,মাংস,দুধ,শিদ্ধডিম খাবেন না। ইহা দুপুরবেলা খাবেন অবশ্যই ।
উপরোক্ত নিয়ম গুলো মেনে চলবেন ।যদি উপরোক্ত নিয়ম গুলো আপনার বিয়ের করার পূর্বমুহূর্ত পর্যন্ত হস্তমৈথুন করা বন্ধ রাখবেন । তবে যেহেতু এখন ঘন ঘন স্বপ্নদোষ হচ্ছে তাহলে একজন হামদার্দ ডাক্তারের চিকিৎসা নিবেন আর উপরোক্ত নিয়ম গুলো অবশ্যই মেনে চলবেন এবং হামদার্দ ডাক্তারের চিকিৎসা গ্রহন করতে হবে। শুধু ঔষধ খাওয়ার মাধ্যমেই মেহ বা স্বপ্নদোষ থেকে মুক্তি পাবেন না যদি উক্ত নিয়ম গুলো মেনে না চলেন। তবে হামদার্দ এর ইনস্পার্ম ট্যাবলেট টি সকালে ও রাতে নিয়মিতভাবে ২ মাস খেলে ঘন ঘন স্বপ্নদোষ হবে না ইনশাআল্লাহ ।
আশা করি বুঝতে পারছেন।
ধন্যবাদ ।