একজন নারীর নিয়মিত মাসিক চক্র ২৮ বা ৩০ দিনের। অর্থাৎ এক মাসিকের শেষ হওয়ার ২৮/৩০ দিন পর পরবর্তী মাসিক হয়। এই সময়ের প্রথম ৭/১০ দিন এবং শেষ ৭/১০ দিন নিরাপদ সময় অর্থাৎ এই সময়ে অরক্ষিত মিলনে কোন নারী গর্ভবতী হবে না। এর মাঝামাঝি সময়ে অর্থাৎ ৮ম/১১শ দিন হতে ২০তম/২১তম দিনের মধ্যে অরক্ষিত মিলনে একজন নারী গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। তবে মাসিক অনিয়মিত হলে এই হিসাব কাজ করবেনা। আপনি আপনার স্ত্রীর সাথে আলোচনা করে ওনার মাসিকের অরক্ষিত সময়ে জেনে নিিয়ে সে সময়ে মিলিত হলে আশাকরি ভালো ফল পাবেন।
আপনার যদি ২৮ দিন অন্তর রেগুলার মাসিক হয় তাহলে মাসিক হওয়ার ১০ তম দিন থেকে ১৮ তম দিনে গর্ভধারণের চেষ্টা করলে গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা বেশী থাকে আর যাদের অনিয়মিত মাসিক হয় তারা তাদের সবচেয় কম সময় যেই মাসিক হয় সেই সময়ের সাথে ১৮ বিয়োগ করে ও সবচেয়ে বেশী সময়ে যে মাসিক হয় তার সাথে ১০ বিয়োগ করে তার ওভুলেশন ডেট গণনা করতে পারে ।যেমন কারো যদি ২৬ থেকে ৩১ দিন অন্তর অন্তর মাসিক হয় তাহলে ২৬-১৮=৮ এবং ৩১-১০=২১ অর্থাত্ তার মাসিক হবার ৮তম দিন থেকে ২১ তম দিনে গর্ভধারণের চেষ্টা করলে তা সফল হবার সম্ভাবনা বেশী থাকে ।
এগুলা করার আগে আমি মনে করি৷ আপনারা ডাক্টারের পরামর্শ নিয়ে তার পর৷ কারন বাচ্চা নিয়ার আগে অনেক কিছু চেকয়াপ করাতে হয় দুই জন এরি। আসা করি বুঝতে পেরেছেন৷ ধন্যবাদ
আপনার মাসিক নিয়মিত বা অনিয়মিতভাবে হয় কিনা সেটা বলেন নি তবে নিয়মিত মাসিকের ক্ষেত্রে মাসিক হওয়ার ৯ম দিন থেকে ২১ তম দিন পর্যন্ত সহবাস করবেন এবং যোনির গভিরে বীর্য পাত করতে হবে তাহলে প্রেগন্যান্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। অনিয়মিত মাসিকের ক্ষেত্রে মাসিক চলাকালীন ব্যতীত বাকি সময় গুলোতে সহবাস করবেন এবং যোনির গভিরে বীর্য পাত করতে হবে তাহলে প্রেগন্যান্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। বি:দ্র: মাসিক চলাকালিন সহবাস করবেন না,কেনো না মাসিক চলাকালিন সহবাস হারাম। মাসিক চলাকালিন সহবাস করলে যোনিতে ইনফেকশন হয়। এছাড়াও নানা রোগে আক্রান্ত হতে পারেন।