ইসলামের মূলভিত্তি পাঁচটি, কালেমা, নামায রোযা, হজ্জ, যাকাত -- নামায গুরুত্ববহ কারণ কালেমা পড়েই মুসলমান হতে হয়, রোযা নির্দিষ্ট সময়ে পালন করতে হয়, হজ্জ ও যাকাত বিত্তবানদের জন্য, বাকি রইলো নামায। নামায প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত সবাই আদায় করতে হবে, সর্বোপরি এটি মহান আল্লাহ তা আলার হুকুম, তাই আল্লাহর বান্দারাই এটি আদায় করতে হবে। আল্লাহ তা আলা একাধিক স্থানে নামায প্রতিষ্টার কথা বলে নামাযের গুরুত্বারোপ বুঝাতে চেয়েছেন। হাদিসে আছে নামায বেহেস্তের চাবি স্বরুপ, সুতরাং নামায না পড়লে বেহেস্তের চাবি পাওয়া যাবেনা। অপর হাদিসে আছে নামায মুমিনদের জন্য মেরাজ স্বরুপ।
নামাজ সম্পর্কে কিছু হাদিস:
☆ হযরত জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে যে, "রাসুল(সাঃ) বলেছেন, বেহেশতের চাবি হল নামাজ, আর নামাজের চাবি হলো ওযূ।" (মুসনাদে আহমাদ)
☆ হযরত আনাস (রাঃ) বর্ণনা করেন, "রাসূল(রাঃ) এরশাদ করিয়াছেন, আমার চোখের শীতলতা নামাজের মধ্যে রাখা হয়েছে ।"(নাসায়ী)
☆ হযরত ওমর (রাঃ) বলেন ," রাসূল (সাঃ) এরশাদ করিয়াছেন যে, নামাজ দ্বীনের স্তম্ভ।" (জামে সগীর)
☆ হযরত আলী (রাঃ) হইতে বর্ণিত যে, রাসূল (সাঃ) শেষ অসিয়ত এই করিয়াছেন যে, "নামায,নামায,আপন গোলাম ও অধীনস্থের ব্যাপারে আল্লাহ তায়ালাকে ভয় কর"
☆ হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে কুরত হইতে বর্ণিত যে," রাসূল (সাঃ) এরশাদ করিয়াছেন যে, কিয়ামতের দিন সর্বপ্রথম নামাজের হিসাব করা হবে । যদি নামাজ ঠিক থাকে তবে বাকি আমলও ঠিক হবে । আর যদি নামাজ খারাপ হয়ে থাকে তবে বাকি আমলও খারাপ হইবে ।"(তাবারানী,তারগীব)
☆ হযরত রুআইবাহ (রাঃ) বলেন," আমি রাসূল (সাঃ) কে এরশাদ করিতে শুনছি যে, ব্যাক্তি সূর্য উদয়ের পূর্বে ও সূর্যাস্তের পূর্বে নামাজ আদায় করিবে ~অর্থ্যাৎ ফজর ও আসরের নামাজ আদায় করবে , সে জাহান্নামে প্রবেশ করিবে না।"(মুসলিম)
☆ হযরত উম্মে ফারওয়া (রাঃ) বলেন, "রাসূল (সাঃ) কে জিজ্ঞেস করা হলো যে, সবচেয়ে উত্তম আমল কী ? তিনি এরশাদ করিলেন, ওয়াক্তের শুরুতে নামাজ আদায় করা।"
☆ হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে যে, "রাসূল (সাঃ) এরশাদ করিয়াছেন যে ব্যাক্তি নামাজ ছাড়িয়ে দেয় সে আল্লাহর সহিত এমনভাবে সাক্ষাত করিবে, আল্লাহ্ তায়ালা তাহার প্রতি অত্যাধিক নারাজ থাকিবেন।"