আল্লাহ তায়ালা বিয়ের জন্য যে জোড়া ঠিক করে রেখেছেন তার সাথেই তার বিয়ে হবে এটাই তাকদীর। আসমান ও যমীনের সৃষ্টির পঞ্চাশ হাজার বছর পূর্বে আল্লাহ তায়ালা সকল কিছুর তাকদীর নির্ধারণ করেছেন। সুরাকাহ ইবনু জুশুম (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! কার্যকলাপ কী তাই যা পূর্বেই লিপিবদ্ধ করা হয়েছে এবং তদনুযায়ী তাকদীর নির্ধারিত হয়েছে, না ভবিষ্যতে যা করা হবে তা? তিনি বলেনঃ বরং তাই যা পূর্বে লিপিবদ্ধ হয়ে গেছে এবং তদনুযায়ী তাকদীর নির্দিষ্ট হয়েছে। যাকে যে জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে তার জন্য তা সহজসাধ্য করা হয়েছে। (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নম্বরঃ ৯১ হাদিসের মানঃ সহিহ) শুধু বিয়ে নয়, আল্লাহ তায়ালা আল্লাহর বান্দাদের যত কাজ আছে, সব আল্লাহর মূল যে কিতাব রয়েছে সেই কিতাবের মধ্যে লিখে রেখেছেন। এটা আল্লাহ জানেন বলেই লিখে রেখেছেন। কিন্তু তার অর্থ এই নয় যে, ওই লেখা অনুযায়ী আপনি সব কাজ করছেন। মানুষের প্রচেষ্টা, আমল এর সাথে সম্পৃক্ত, চেষ্টার ফলেই মানুষের কাজগুলো সম্পন্ন হবে। কিন্তু আল্লাহ তায়ালা সবটাই জানেন, সবটাই আল্লাহর কাছে লিখিত, লিপিবদ্ধ এবং এগুলো আল্লাহ তায়ালার কাছে এমনভাবে থাকে যে, সেগুলো অপরিবর্তনীয়। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘আমার কাছে কোনো ধরনের পরিবর্তন নেই।’ কিন্তু এই পরিবর্তন, পরিবর্ধন সবকিছুই আমাদের জন্য। এটাকে দলিল হিসেবে পেশ করার কোনো সুযোগ নেই। দলিল হিসেবে পেশ করার অর্থই হচ্ছে, হ্যাঁ আমার ভাগ্যে এই ছিল, এই জন্য আমার এমন হয়েছে। আল্লাহর বান্দা চেষ্টা করবেন, চেষ্টার পরে আল্লাহ তায়ালা তার জন্য যেটা বরাদ্দ রেখেছেন, তিনি সেটা পাবেন।