শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

না। এটা সূরা ফাতিহার কোনো আয়াত নয়। কোনো কিছু শুরু করার আগে এটা বলতে হয়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Habib96

Call

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম এটি সূরা ফাতিহার আয়াত কিনা এ নিয়ে ওলামায়ে কিরামের মাঝে মতপার্থক্য রয়েছে৷

জমহুর (অধিকাংশ গ্রহণযোগ্য) ওলামায়েকেরামের মত অনুযায়ী এটি সূরা ফাতিহার আয়াত নয়৷তবে কোরআনের একটি আয়াত৷

আরো বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন৷

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

না এটি সূরা ফাতিহার আয়াত না। আল কুরআনে ১১৪ টি সূরা আছে তার মধ্য শুধু সূরা তাওবার আগে এটা পরতে হয়না। বিসমিল্লাহির রাহমানির রহিম এর অর্থ হলোঃ পরুম করুনাময় মহান আল্লাহ তায়ালার নামে শুরু করছি। মুসলিমরা কোনো ভালো কাজ করার আছে এটি পড়েন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

'বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম' সূরা ফাতিহার একটি আয়াত। হাদিসে সুপষ্টভাবে বর্নিত সুরা ফাতিহার আয়াত সংখ্যা সাতটি। সূরা ফাতিহার অনেক নাম রয়েছে তন্মধ্যে একটি হচ্ছেঃ আস্সাবউল মাসানী। আস্সাবউল মাসানী বা সাতটি অধিক পঠিতব্য আয়াত। (তিরমিযীঃ ৩১২৪, আবূ দাঊদঃ ১৪৫৭, সহীহ)। আবূ সাঈদ রাফে ইবনে মুআল্লা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেন, মসজিদ থেকে বের হবার পূর্বেই তোমাকে কি কুরআনের সবচেয়ে বড় 'মাহাত্ম্যপূর্ণ' সূরা শিখিয়ে দেব না? এই সাথে তিনি আমার হাত ধরলেন। অতঃপর যখন আমরা বাইরে যাওয়ার ইচ্ছা করলাম, তখন আমি নিবেদন করলাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আপনি যে আমাকে বললেন, তোমাকে অবশ্যই কুরআনের সবচেয়ে বড় 'মাহাত্ম্যপূর্ণ' সূরা শিখিয়ে দেব? সুতরাং তিনি বললেন, 'তা হচ্ছে' আলহামদু লিল্লাহি রব্বিল আলামীন। (সূরা ফাতিহা)। এটি হচ্ছে ‘সাবউ মাসানী’ (অর্থাৎ নামাযে বারংবার পঠিতব্য সপ্ত আয়াত) এবং মহা কুরআন; যা আমাকে দান করা হয়েছে। (রিয়াযুস স্বা-লিহীন, হাদিস নম্বরঃ ১০১৬ সহীহুল বুখারীঃ ৪৪৭৪, ৪৬৪৭, ৪৭০৩, ৫০০৬, নাসায়ীঃ ৯১৩, আবূ দাউদঃ ১৪৫৮, ইবনু মাজাহঃ ৩৭৮৫, আহমাদঃ ১৫৩০৩, ১৭৩৯৫, দারেমীঃ ১৪৯২, ৩৭১ হাদিসের মানঃ সহিহ)। এ ব্যাপারে কারো কোন দ্বিমত নেই যে, সূরা ফাতিহার মোট সাতটি আয়াত রয়েছে। এ জন্য কোরআন এবং হাদীস শরীফে একে সাতটি পুনরাবৃত্তিমূলক আয়াতের সূরা বলা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, আমি তো আপনাকে দিয়েছি পুনঃ পুনঃ পঠিত সাতটি আয়াত ও মহান কুরআন। (সূরা আল- হিজরঃ ৮৭) এ কারণে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন জেগেছেঃ সূরার পূর্বে যে “বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম” উল্লেখিত হয়েছে তা সূরা ফাতিহার মধ্যে গণ্য আয়াত ও এর অংশ, না তা হতে সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র কোন জিনিস? এর উত্তরে বলা যায়, কোন কোন সাহাবী “বিসমিল্লাহ”কে সূরা ফাতিহার অংশ মনে করতেন। পক্ষান্তরে অপর সাহাবীদের মতে এটি এ সূরার অংশ নয়। তবে মদীনা শরীফে সংরক্ষিত কুরআনে এটিকে সূরা আল- ফাতিহার অংশ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। তাছাড়া অধিকাংশ কেরাআতেও এটিকে সূরার প্রথমে একটি আয়াত ধরা হয়েছে এবং সিরাতল্লাযীনা আনআমতা আলাইহিম গইরিল মাগদূবি আলাইহিম ওলাদ দ্বলীন পর্যন্ত পুরোটাকে একই আয়াত ধরা হয়েছে। আর যারা বিসমিল্লাহকে সূরার আয়াত হিসেবে গণ্য করেননি তারা, সিরাতল্লাযীনা আনআমতা আলাইহি। পর্যন্ত এক আয়াত, আর তার পরের অংশ, গইরিল মাগদূবি আলাইহিম ওলাদ দ্বলীন। কে আলাদা আয়াত সাব্যস্ত করে সাত আয়াত পূর্ণ করেছেন। (বাগভী)।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ