বিস্তারিত জানতে চাই.
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
HMMOBAROKBD

Call

একথা সত্য নয়। এ ধরনের কোনো হাদিস সাব্যস্ত হয়নি। হাফেজকে মূলত আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা কেয়ামতের দিন যে মর্যাদা দেবেন এ মর্মে হাদিস সাব্যস্ত হয়েছে। হাফেজকে মর্যাদা দেওয়া হবে এবং হাফেজের পিতামাতাকেও মর্যাদা দেওয়া হবে যদি তাঁরা মর্যাদার উপযুক্ত হন আল্লাহর বাব্বুল আলামিনের কাছে।  কিন্তু কোনো হাফেজ অথবা কোনো আলেম জান্নাতে যাওয়ার সময় তার পরিবারের  দুই তিনজনকে নিয়ে যাবেন,এটা সত্য নয়। আল্লাহর বাব্বুল আলামিন এভাবে জান্নাত দিবেন না। আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা যাকে জান্নাত দেবেন তিনিই জান্নাতে যেতে পারবেন। কেউ কোনো ব্যক্তিকে জান্নাতে নিয়ে যেতে পারবেন না বা এটা কোনো আবদারের বিষয় নয়। আল্লাহর প্রতিটি বান্দা হিসাব-নিকাশের পরে যখন জান্নাতের জন্য উপযুক্ত হবেন তখন তাঁরা জান্নাতে যেতে পারবেন। তবে এ ক্ষেত্রে হয়তো সুপারিশ করার মতো সুযোগ কাউকে আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা দিবেন, যেমন- কোরআনে কারিম সুপারিশ করতে পারবে কেয়ামতের দিন, সিয়াম বা রোজা, ঈবাদত সুপারিশ করতে পারবে। মানুষের ইবাদতগুলো তাদের জন্য সুপারিশ করতে পারবে।  রাসুল্লাহ (স.) সুপারিশ করবেন কেয়ামতের দিন। তাঁকে অনুমতি দেওয়া হবে। তাঁরপর আল্লাহর বান্দাদের মধ্য থেকে  আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা কিছু সংখ্যক বান্দাকে অনুমতি দেবেন। তাও শর্ত রয়েছে। যাদের প্রতি আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা সন্তুষ্ট থাকবেন আল্লাহ বাব্বুল আলামিন শুধু তাঁদেরকেই  সুপারিশ করার অনুমতি দেবেন এবং তাঁরা সুপারিশ করতে পারবেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

একজন হাফেজ তার পরিবারের অনেক জনকে জান্নাতে নেওয়ার জন্য আল্লাহর কাছে সুপারিশ করতে পারবে তবে শর্ত হচ্ছেঃ ১। শাফায়াতকারীর উপর আল্লাহর সনষ্টি থাকা। ২। যার জন্য সুপারিশ করা হবে, তার উপরও আল্লাহর সনষ্টি থাকা। ৩। শাফায়াতকারীর জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে শাফায়াত করার অনুমতি থাকা। আল্লাহ তাআলা এই শর্তগুলো কুরআন মাজীদে উল্লেখ করেছেন। আল্লাহ বলেনঃ আকাশে অনেক ফেরেশতা রয়েছেন, যাদের কোন সুপারিশ ফলপ্রসু হয়না। কিন্তু আল্লাহ যার জন্য ইচ্ছা ও যাকে পছন্দ করেন এবং যাকে শাফায়াত করার অনুমতি দেন তার কথা ভিন্ন। (সূরা নাজ্‌মঃ ২৬) আল্লাহ বলেনঃ কে এমন আছে যে, সুপারিশ করবে তার কাছে তার অনুমতি ছাড়া? (সূরা বাকারাঃ ২৫৫) আল্লাহ বলেনঃ দয়াময় আল্লাহ যাকে অনুমতি দেবেন এবং যার কথায় সন্তুষ্ট হবেন সে ছাড়া কারও সুপারিশ সেদিন কোন উপকারে আসবে না। (সূরা ত্বো-হাঃ ১০৯) আল্লাহ তাআলা বলেনঃ তারা শুধু তাদের জন্যে সুপারিশ করবেন, যাদের প্রতি আল্লাহ সন্তুষ্ট। (সূরা আন্বীয়াঃ ২৮) সুতরাং শাফায়াত পাওয়ার জন্য উপরোক্ত তিনটি শর্ত থাকা আবশ্যক। সৎ বান্দাদের মধ্যে থেকে যাকে ইচ্ছা এবং যার জন্য ইচ্ছা আল্লাহ শাফায়াত করার অনুমতি দিবেন। এই ধরণের শাফায়াত আল্লাহর অনুমতি পেয়ে একজন হাফেজ তার পরিবারের অনেক জনকে জান্নাতে নেওয়ার জন্য আল্লাহর কাছে সুপারিশ করতে পারবে। তার আগে নয়। এছাড়া একজন কোরআনের হাফেজ তার গোষ্ঠীর জাহান্নামী ব্যক্তিকে শাফায়াত বা সুপারিশ করে জান্নাতে নিয়ে যাবেন এরকম হাদিস পাওয়া যায় কিন্ত হাদীসটি সহীহ নয়, খুবই দূর্বল। আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কুরআন পাঠ করেছে এবং তা হেফয রেখেছে, এর হালালকে হালাল এবং হারামকে হারাম মেনেছে, তাকে আল্লাহ তায়ালা জান্নাতে প্রবেশ করাবেন এবং তার পরিবারের এমন দশজন ব্যাক্তি সম্পর্কে তার শাফায়াত কবুল করবেন যাদের প্রত্যেকের জন্য জাহান্নাম অনিবার্য ছিল। (সূনান আত তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৯০৫ ইবনু মাজাহঃ ২১৬ হাদিসের মানঃ যঈফ)।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ