সহীহ হাদিসে বর্নিত যে, আল্লাহর নিরানব্বই নাম মুখস্ত করলে জান্নাতে যাওয়া যাবে। কিন্তু যে হাদীসটিতে নাম সমূহের উল্লেখ আছে তা যঈফ।
আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তাআলার নিরানব্বইটি নাম আছে অর্থাৎ এক কম একশত। যে লোক এই নামসমূহ মুখস্থ করবে বা পড়বে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।
(সূনান আত তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩৫০৬ হাদিসের মানঃ সহিহ)।
ইবরাহীব ইবনে ইয়াকূব (রহঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহর নিরানব্বইটি, অর্থাৎ এক কম একশত টি নাম রয়েছে। যে সেগুলি পাঠ করবে সে জান্নাতে দাখিল হবে।
সেগুলো হলঃ আল্লহ-তিনি ছাড়া কোন ইলাহ নেই,
আর-রাহমান-দয়াময়,
আর-রহিম-দয়ালু,
আল-মালিক-অধিপতি,
আল-কুদ্দুস-নিষ্কলুষ,
আস-সালাম-শান্তিময়,
আল-মুমিন-নিরাপত্তাবিধায়ক,
আল-মুহায়মিন-রক্ষাব্যাবস্থাকারী,
আল-আযীয-প্রবল,
আল-জাব্বার-পরাক্রমশালী,
আল-মুতাকাব্বির-অহংকারের অধিকারী,
আল-খালিল-সৃষ্টিকর্তা,
আল-বারী-উন্মেষকারী,
আল-মুসাওবির-রুপদাঙ্কারী,
আল-গাফফার-মহাক্ষমাশীল,
আল-কাহহার-মহাপরাক্রান্ত,
আল-ওয়াহহাব-মহাবদান্য,
আর-রাযযাক-জীবিকাদাতা,
আল-ফাততাহ-মহাবিজয়ী,
আল-আলিম-মহাজ্ঞানী,
আল-কাবিয-সংকোচঙ্কারী,
আল-বাসিত-সম্প্রসারণকারী,
আল-খাফিয-অবলম্বঙ্কারী,
আর-রাফি-উন্নয়নকারী,
আল-মুইয্য-সম্মান্দাতা,
আল-মুযিল্ল-অপমানকারী,
আস-সামী-সর্বশ্রোতা,
আল-বাসীর-সর্বদ্রষ্টা,
আল-হাকাম-মিগোশতাকারী,
আল-আদাল-ন্যায়নিষ্ঠ,
আল-লাতীফ-সূক্ষ্ম দক্ষতাসম্পন্ন,
আল-খাবীর-সর্বজ্ঞ,
আল-হালীম-সহিষ্ণু,
আল-আযীম-মহিমাময়,
আল-গাফুর-ক্ষমাশীল,
আশ-শাকূর-গুনগ্রাহী,
আল-আলি-অতুচ্চে,
আল-কাবির-মহত,
আল-হাফীয- মহারক্ষক,
আল-মুকিত-আহার্যদাতা,
আল-হাসীব-মহাপরিক্ষক,
আল-জালীল-প্রতাপঅশালী,
আল-কারীম-মহামান্য,
আর-রাকীব-নিরীক্ষনকারী,
আল-মুজীব-প্রতুত্তরদাতা,
আল-ওয়াসি-সর্বদানী,
আল-হাকীম-বিচক্ষন,
আল-ওয়াদূদ-প্রেমময়,
আল-মাজীদ-গৌরবময়,
আল-বাইছ-পুনরুত্থানকারী,
আশ-শাহীদ-প্রত্যক্ষকারী,
আল-হাক্ক-সত্য,
আল-ওয়াকীল-তত্বাবধায়ক,
আল-কাবী-শক্তিশালী,
আল-মাতীন-দৃঢ়তাসম্পন্ন,
আল-ওয়ালী-অভিভাবক,
আল-হামীদ-প্রশংসিত,
আল-মুহসী-হিসাব গ্রহনকারী,
আল-মুবদী-আদি স্রষ্টা,
আল-মুঈদ-পুনঃসৃষ্টিকারী,
আল-মুহঈ-জীবদাতা,
আল-মুমীত-মরণদাতা,
আল-হায়্যু-চিরঞ্জীব,
আল-কায়্যুম-স্বয়ং স্থিতিশীল,
আল-ওয়াজিদ-অবধায়ক,
আল-মাজিদ-মহান,
আল-ওয়াহিদ-একক,
আস-সামাদ-অভাবমুক্ত,
আল-কাদির-ক্ষমতাশালী,
আল-মুকতাদির-প্রবল,
আল-মুকাদ্দিম-অগ্রবর্তীকারী,
আল-মুয়াখখির-পশ্চাৎকারী,
আল-আওয়াল-অনাদি,
আল-আখির-অনন্ত,
আয-যাহির-প্রকাশ্য,
আল-বাতিন-গুপ্ত,
আল-ওয়ালী-কার্যনির্বাহক,
আল-মুতাআলি-সুউচ্চ,
আল-বারর-ন্যায়বান,
আত-তাওওয়াব-তাওবা কবূলকারী,
আল-মুন্তাকিমু-প্রতিশোধগ্রহনকারী,
আল-আফুউ-ক্ষমাকারী,
আর-রাউফ-কোমল হৃদয়,
মালিকুল মূলক-রাজ্যের মালিক,
যুলজালালি ওয়াল ইকরাম-মহামান্বিত, মহাত্বপূর্ণ,
আল-মুকসিত-ন্যায়পরায়ণ,
আল-জামি-একত্রীয়ণকারী,
আল-গানী-অভাবমুক্ত,
আল-মুগনী-অভাবমোচনকারী,
আল-মানিউ-প্রতিরোধকারী,
আয-যার-অকল্যানকর্তা,
আন-নাফি-কল্যানকর্তা,
আন-নূর-জ্যোতি,
আল-হাদী-পথপ্রদর্শক,
আল-বাদী-অভিনব সৃষ্টিকারী,
আল-বাকী-চিরস্থায়ী,
আল-ওয়ারিছ-উত্তরধিকারী,
আর-রাসীদ-সত্যদর্শী,
আস-সাবূর-ধৈর্যশীল।
(সূনান তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩৫০৭ হাদিসের মানঃ যঈফ)।
হাদীসটি গরীব। একাধিক রাবী এটিকে সাফওয়ান ইবন সালিহ (রহঃ)-এর বরাতে বর্ণনা করেছেন।সাফওয়ান ইবন সালিহ (রহঃ) –এর সূত্র ছাড়া এটি সম্পর্কে আমাদের কিছু জানা নেই।তিনি হাদীস বিশেষজ্ঞগণের দৃষ্টিতে নির্ভরযোগ্য। এই হাদীসটি সূত্রে আবূ হুরায়রা (রাঃ) –এর বরাতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত আছে। এটি ছাড়া আরো বেশী রিওয়াতে এই নামসমূহের উল্লেখ আছে বলে আমাদের জানা নেই। আদম ইবন আবূ ইয়াস অপর এক সনদে আবূ হুরায়রা (রাঃ) –এর বরাতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে একটি হাদীস বর্ণনা করেছেন যাতে আসমাউল হুসনা-এর উল্লেখ আছে। তবে এর কোন সহীহ সনদ নেই।