এতে অনেক মানুষ রাগ করে বা নিজেকে তুচ্ছ ভাবে বা আল্লাহকে এই সেই বলে দোয়া কেন কবুল হয়না ,ইসলামিক জবাব চাই রেফারেন্স সহ  আমাদের এতে কি করনীয় 
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

দোয়ার ফলাফল প্রাপ্তিতে তাড়াহুড়া না করা। তাড়াহুড়া করা দোয়া কবুলের ক্ষেত্রে বড় বাধা হয়ে যায়। হাদিসে এসেছে, তোমাদের কারো দোয়া ততক্ষণ পর্যন্ত কবুল হয় যতক্ষণ পর্যন্ত না সে তাড়াহুড়া করে বলে যে, আমি দোয়া করেছি; কিন্তু, আমার দোয়া কবুল হয়নি। (সহিহ বুখারীঃ ৬৩৪০ ও সহিহ মুসলিম ২৭৩৫) সহিহ মুসলিমে ২৭৩৬ আরও এসেছে, বান্দার দোয়া ততক্ষণ পর্যন্ত কবুল করা হয় যতক্ষণ পর্যন্ত না বান্দা কোন পাপ নিয়ে কিংবা আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করা নিয়ে দোয়া করে। বান্দার দোয়া ততক্ষণ পর্যন্ত কবুল করা হয় যতক্ষণ পর্যন্ত না বান্দা ফলাফল প্রাপ্তিতে তাড়াহুড়া না করে। জিজ্ঞেস করা হল, ইয়া রাসূলুল্লাহ! তাড়াহুড়া বলতে কী বুঝাচ্ছেন? তিনি বললেনঃ বলে যে, আমি দোয়া করেছি, আমি দোয়া করেছি; কিন্তু আমার দোয়া কবুল হতে দেখিনি। তখন সে ব্যক্তি উদ্যম হারিয়ে ফেলে এবং দোয়া ছেড়ে দেয়। মুসলমান হিসেবে আমরা কমেবেশি সবাই দোয়া করি। এটা অনেকটা স্বভাবজাত বিষয়। তবে দোয়া করার সময় বেশ কয়েকটি বিষয়ের প্রতি গভীরভাবে খেয়াল রাখা দরকার। আলেমরা এগুলোকে দোয়া কবুলের শর্ত ও আদব বলে অভিহিত করেছেন। তাই করনীয় হচ্ছে, পবিত্রতা অর্জনঃ পবিত্রতা অর্জনের পর দোয়া করলে আল্লাহ তায়ালা সেই দোয়া কবুল করবেন। বিনয়ের সঙ্গে দোয়া করাঃ বিনয়ের সঙ্গে দু’হাত তুলে দোয়া করা। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, আল্লাহ তায়ালার নিকট হাত তুলে হাতের তালু সামনে রেখে দোয়া কর। হাত উল্টো করো না। দোয়ার শেষে উত্তোলিত হাত মুখমন্ডলে বুলিয়ে নাও। (আবু দাউদ) মিনতিভরা কন্ঠে দোয়া করাঃ মিনতি ও নম্রতার সঙ্গে দোয়া করলে তা ইবাদত হিসেবে গন্য হয়। আর দীনতা ও নম্রতা দোয়ার মধ্যে যত অধিক হবে ততই মঙ্গল হবে। তাই মিনতে কণ্ঠে আল্লাহর আদেশ মেনে দোয়া করতে থাকুন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ