হ্যা!এই কোরান আল্লাহর বাণী,আল্লাহ এই কুরানকে হেফাজত করছেন কোরানের হাফেজ সাহেবদের অন্তরের মাধ্যমে।মানে তাদেরকে আল্লাহ অনেক বড় নেয়ামত দিয়েছেন।এই নেয়ামতের যতাযত কদর করতে না পারলে অবশ্যই গোনাহগার হবে।আর যদি একেবারেই কেউ ভুলে যায়,তবে তো তার জন্য আল্লাহর শাস্তির কথা রয়েছে।তবে কেউ অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে কিছু অংশ ভুলে গেলে তার জন্য উচিত ক্ষমা চাওয়া,এবং নিয়মিত আমাল করা(কেরান পড়া!) এতে আল্লাহ তাকে অবশ্যই ক্ষমা করবে,এবং সে পুনঃ কুরানের নিয়ামত অর্জন করবে।
নিঃসন্দেহে কোরআন মুখস্থ করার পর যদি ভূলে যায় তাহলে তার গুনাহ হবে। তাই রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বহু হাদিসে ভুলে যাওয়ার আশংকা রোধ করার জন্য নিয়মিত তেলাওয়াত করার প্রতি উদ্বুদ্ধ করেছেন। যেমন, এক হাদিসে তিনি বলেছেন, কোরআনের তেলাওয়াতকারী হাফেজ লিপিকর সম্মানিত ফেরেশতার মত। অতি কষ্ট হওয়া সত্ত্বেও যে ব্যাক্তি বারবার কোরআন তেলাওয়াত করে, সে দ্বিগুণ পুরস্কার পাবে। (বুখারীঃ ৪৫৭৩) কোরআন ভুলে যাওয়ার হুকুম কি এ ব্যাপারে আলেমগণ মতানৈক্য করেছেন। ইবনু তাইমিয়া (রহঃ) বলেন কোরআন ভুলে যাওয়া গুনাহ। (মাজমুউল ফাতাওয়াঃ ১৩/৪২৩) শায়খ জাকারিয়া আল আনসারি (রহঃ) বলেন, অবহেলা ও অলসতার কারণে কোরআন ভুলে যাওয়া কবিরা গুনাহ। কেননা, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, আমার উম্মাতের গুনাহসমূহ আমাকে দেখানো হয়েছে। আমি তাতে কোরআনের কোন সূরাহ বা আয়াত শেখার পর তা ভুলে যাওয়ার চাইতে বড় গুনাহ আর দেখি নি। ( আবু দাউদঃ ৪৬১ তিরমিযীঃ ১৯৭৬ ইবনু খুযাইমাহঃ ১৯১৬) সাহাবী আবূ আলিয়্যাহ (রাঃ) বলেন, আমরা সবচাইতে বড় গুনাহ বলে আখ্যায়িত করতাম কোন ব্যক্তির কোরআন শিক্ষা গ্রহণের পর অবহেলাবশত তা ভুলে গেলে। (ফাতহুল বারীঃ ১১/২৮৫) কারো কারো মতে, এটি এমন একটি মুসিবত যা বান্দার অন্তর ও দ্বীনদারিকে আক্রান্ত করে। এর ফলে বান্দার কোন কোন আমলের উপর আল্লাহর শাস্তি নামতে পারে। যদিও এটি কবিরা গুনাহ নয় বা পাপ নয়। কেননা, আল্লাহ তাআলা বলেছেন, তোমাদের উপর যেসব বিপদ-আপদ পতিত হয়, তা তোমাদের কর্মেরই ফল এবং তিনি তোমাদের অনেক গোনাহ ক্ষমা করে দেন। (সুরা শূরা ৩০)