মনে কোনো পাপ না রেখে যদি ভালো উদ্দেশ্য এর জন্য ও মনে নোংরামি না রেখে ভালোবাসার হারানো মানুষটির জন্য দোয়া করা হয় ও তাকে ফিরত চাওয়া হয় আল্লাহ কি দোয়া কবুল করেন?নাকি এটা হারাম?হারাম হলে ভালোবাসার মানুষ ফিরানোর যে আমল আছে সে গুলা কেন করা হয়?এবং সে গুলা পরীক্ষিত। আমাকে কেউ প্লিজ সঠিক উত্তর দিন।এবং আমল থাকলে দিন
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

বর্তমান যুগের ভালোবাসা কেমন তা তো জানেনই.. আর ইসলামের দৃষ্টিতে প্রেম অবৈধ... ।আমি আপনাকে বলব যে, আপনি আল্লাহ কাছে আপনার ভালোবাসাকে না চেয়ে আপনি এমন কিছু চান.. যা করলে আপনি নয়.. সে আপনাকে ফিরে পেতে চাইবে...!! অবশ্য এটা করতে খুবই কষ্ট হবে....!! আমি ও এমন এক পরিস্থিতে তে পরেছিলাম... যেদিন ঝামেলাল হল... ঐদিন বৃহস্পতিবার ঈশার নামাজ পড়ে ঘুমানোর সময় প্রচুর কান্না করেছিলাম। পর দিন জুম্মার নামাজ শেষে আল্লাহর কাছে একে বারে মোন থেকে একটাই দোয়া চেয়ে ছিলাম যে, "আল্লাহ্ ওকে আমার মোন থেকে মুছে দাও.." বিশ্বাস করুন আমি এটা করার সময়ও প্রচুর কান্না করেছিলাম। ঐ দিনও তার কথা আমি ভুলতে পারিনা। কিন্তু অবিশ্বাস্য...  পরের দিন কেমন যেনো লাগছে... তার প্রতি আমার কোনো ইন্টারেস্ট নেই..। আজ ও না...দীর্ঘ ৪ বসর হয়েছে।  আর আপনাকে এটা বলার একটাই উদ্দেশ্য.. আপনার মনে সাহস দেওয়া আর কিছুইনা। আর আপনার কথা শুনে আমার পেছনের দিন গুলোর কথা মনে একটু নারা দিলো। তবে আমি ১০০% সিওর যে, আপনি অবশ্য তাকে না... এমন কিছু চান যা করলে সে আপনাকে পেতে চায়.... আল্লাহ্ কবুল করবেন। আর "আল্লাহ ধৈর্যশীলকে ভালোবাসেন এবং তাদের কে পছন্দ করেন"

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
HMMOBAROKBD

Call

ইসলামে বিবাহ পূর্ব প্রেম-ভালোবাসা সম্পূর্ণ হারাম ও অবৈধ। এমনকি বিবাহের উদ্দেশ্যেও যদি ভালোবাসা হয় তবুও এই প্রেম ভালোবাসা হারাম। সুতরাং হারাম প্রাপ্তির জন্য দোয়াও হারাম,কবুল হবে না। যে সব আমলের কথা বলা হয়, আমার জানা মতে সহিহ হাদিস এর দলীলে এমন কোন আমল নেই। 

এখন আপনার করণীয় হলো আল্লাহর কাছে নিজের মনোবল বৃদ্ধির দোয়া করা,আল্লাহর কাছে হারামের প্রতি আকর্ষণ কমে যাওয়ার দোয়া করা। আল্লাহর কাছে এমন দোয়া করা, (হে আল্লাহ আপনি আমার অন্তরে আপনার ভালোবাসা বাড়িয়ে দিন,তাদের প্রতি ভালোবাসা সৃষ্টি করে দিন যারা আপনাকে ভালোবাসে)। তবুও আপনার ভালোবাসা যদি তিব্র পর্যায়ে হয়,তবে আপনি তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিন,আপনার পরিবারকে নিয়ে তার পরিবারের সাথে কথা বলুন। যদি তা সম্ভব না হয়, তবে আপনি ধরে নিন আপনি যা করছেন হালাল বা বৈধ হওয়ার কোন পথ নেই।সুতরাং আপনি নিজের আত্মশুদ্ধির দোয়া করুন,ক্ষমা প্রার্থনা করুন।অপেক্ষা করুন আর আল্লাহর উপর ভরসা রাখুন, আল্লাহ যা করবে আপনার ভালর জন্যই করবে। আল্লাহ আপনার মনের কথাও জানে।তিনি সর্বজ্ঞানী।                                         

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ