দুনিয়ার নীতি অনুযায়ী, যখন কোন মন্ত্রী কোন যায়গায় সমাবেশ করতে যায়। তখন ভূমিকা সরূপ এক দল কর্মকর্তা পাঠান, দেখার জন্য সেখানে কোন সমস্যা আছে কি না । ঠিক তেমনিভাবে আল্লাহ তায়ালা কবরের মধ্যে, ভূমিকা সরূপ জান্নাতী অথবা জাহান্নামী কে শাস্তি অথবা শান্তি দেন। যাতে করে সে বুঝতে পারে,জান্নাত অথবা জাহান্নামের শাস্তি অথবা শান্তি কেমন হবে।
হাশরের মাঠে বিচারকার্য শুরু হবার আগেই কবরের মধ্যে শাস্তি দেয়া হবে কেন? এর তিনটি জবাব হতে পারে। ১. দুনিয়াতে ব্যক্তি ভাল-মন্দ কাজ করার দ্বারাই উক্ত ব্যক্তির পরিণাম নির্দিষ্ট হয়ে যায়। ভাল কাজ করে থাকলে আরামের আর মন্দ কাজ করে থাকলে শাস্তির অধিকারী হয়ে যায়। সেই হিসেবে কবরে গমণ করার দ্বারা দুনিয়াতে করা কৃতকর্মের শাস্তি পাওয়া এটি কোন অযৌক্তিক বিষয় নয়। ২. এটি আসলে মূল শাস্তি নয়। বরং দুনিয়াতে যেমন ফাঁসি বা অন্যান্য শাস্তি প্রদান করার আগে ব্যক্তিকে কয়েদ করে রাখা হয়, যা এক প্রকার শাস্তি। কবরের আজাবও তেমনি। মূল শাস্তির আগে লঘু শাস্তি প্রদান করা হয়। এটি দোষণীয় নয়। ৩. এটি বান্দার উপকারের জন্য করা হয়। হাশরের ময়দানের ফায়সালার পর যে শাস্তি রয়েছে তা খুবই ভয়াবহ। সেই তুলনায় কবরের শাস্তি কিছুই নয়। (আহলে হক মিডিয়া)