ইমাম আবু হানীফা (রহ) এর মতে বিতর নামায ওয়াজিব।
ইমাম মালেক, শাফেয়ী ও আহমদ
(রহঃ) সহ অধিকাংশ ইমাম, মুহাদ্দিস ও আলেমের মতে
বিতর নামায ওয়াজিব নয় বরং তা সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ।
ইমাম আবু হানীফা যে সকল হাদীসের
আলোকে বিতর নামাযকে ওয়াজিব বলেন, তা
অধিকাংশ যঈফ বা দূর্বল অথবা তা দিয়ে এ নামাযকে
ওয়াজিব সাব্যস্ত করা যায় না। তাই তার প্রসিদ্ধ দুইজন ছাত্র
ইমাম ইউসুফ ও ইমাম মুহাম্মাদ ইবনুল হাসান (রহঃ)
ইমামের সাথে একমত না হয়ে অধিকাংশ ইমামের ন্যায়
এ নামাযকে সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ হিসেবে আখ্যা
দেন।
বিতরের নামায ফরয নয় বরং তা সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ। যা এশার ফরয সালাতের পর হতে ফজর পর্যন্ত সুন্নাত ও নফল সালাত সমূহের শেষে আদায় করতে হয়।
আমাদের দেশের বেশির ভাগ মানুষ বিতর নামাযকে ওয়াজিব মনে করেন কিন্তু বিতর নামায আসলে সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ। ফরজ বা ওয়াজিব নয়।
যে সমস্ত হাদীস ওয়াজিব সাব্যস্ত করার জন্য পেশ করা হয় তা দূর্বল কিংবা অস্পষ্ট। নিম্নোক্ত হাদীসের মত স্পষ্ট নয়।
এছাড়া রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ফরয সালাত কখনোই সওয়ারীর পিঠে চড়ে পড়তেন না, শুধু নফল সালাত পড়তেন। কিন্তু তিনি বিতর সালাত সওয়ারীর উপর পড়েছেন। এ থেকে প্রমানিত হয় বিতর সালাত ফরয বা ওয়াজিব নয়। (বুখারী, মুসলিম, দারা কুতনীঃ ১৬১৭)
বিতর নামায আদায় করতে মহানবী (সাঃ) উম্মতকে উদ্বুদ্ধ ও অনুপ্রাণিত করতেন।
হযরত আলী (রাঃ) বলেন, বিতর ফরয নামাযের মত অবশ্যপালনীয় নয়; তবে আল্লাহর রাসূল (সাঃ) তাকে সুন্নতের রুপদান করেছেন; তিনি বলেছেন, অবশ্যই আল্লাহ বিতর, তিনি বিতর পছন্দ করেন।
সুতরাং হে কুরআনের বাহকগণ! তোমরা বিতর আদায় কর।
(তিরমিযীঃ ৪৫৩ ইবনে মাজাহঃ ১১৬৯, সহিহ তারগিবঃ ৫৮৮)
বিশেষ দ্রঃ এখানে বিভিন্ন মতালম্বীর সদস্য
রয়েছেন। কেউ বিতর নামায ওয়াজিব মনে করেন আবার কেউ সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ। কেননা এটি একটি ইখতিলাফি মাসআলা তাই যে যেই মাযহাব মানেন তিনি সেই মাযহাব মতে বিতর নামায ওয়াজিব বা সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ বলতে পারেন। এটা নিয়ে বাড়াবাড়ি তর্ক বিতর্ক করবেন না।