প্রথমে নিয়ত করুন, "আমি ফজরের দুই রাকয়াত ফরজ নামাজ এই ইমামের পিছনে আদায় করছি" আল্লাহু আকবার বলে হাত বাঁধুন, তার পর ছানা পড়ুন, তারপর আর কিছু পড়ার প্রয়োজন নাই, চুপ করে ইমামের কিরাআত শুনুন, ইমামের সাথে সাথে রুকু-সিজদাহ করুন, রুকু-সিজদাহে নির্ধারীত তাসবীহ পাঠ করুন, আখেরী বৈঠকে তাশাহুদ,দরূদ শরীফ,দোয়ায়ে মাসুরা পাঠ করুন,ইমামের সাথে সালাম ফিরিয়ে নামাজ শেষ করুন, যদি না বোঝেন ,তবে ঠিক কোনটা জানতে চান কমেন্টস করুন
ঈমাম যখন তাকবীরে তাহরিমা বলবে তারপর তাকবীর আল্লাহু আকবার বলে হাত বেঁধে নামাজ শুরু করা। এজন্য উভয় হাতকে কানের লতি বরাবর উঠিয়ে নাভির উপর বা নীচে হাত বাঁধা এবং চোখের দৃষ্টিকে সিজদার স্থানে স্থির রাখা। এরপর সানা পড়তে হবে। সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা, ওয়া তাবারাকাসমুকা, ওয়া তা'আলা জাদ্দুকা ওয়া লা-ইলাহা গইরুক। সানা পড়ে চুপ থাকতে হবে। কেননা ইমাম যখন কিরাআত পড়েন তখন তোমরা নীরব থাকো। আর মুক্তাদির জন্যে ইমামের কিরাআতই যথেষ্ট। জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যাদের ইমাম আছে ইমামের কিরাআতই তার কিরাআত। (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নম্বরঃ ৮৫০ হাদিসের মানঃ হাসান)। এরপর ঈমাম যখন আল্লাহু আকবার বলে রুকূতে যাবে মুক্তাদিকেও আল্লাহু আকবার রুকূতে যেতে হবে। যেয়ে কমপক্ষে তিনবার সুবহানা রব্বিয়াল আজিম এই তাসবিহ পড়া। রুকূ থেকে সোজা হয়ে দাঁড়ানোর সময় ঈমাম যখন সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ বলে। তোমরা তখন রব্বানা ওয়া লাকাল হামদ বল। (সূনান আত তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩৬১) এরপর সিজদাঃ অতপর আল্লাহু আকবার বলে সিজদায় যেয়ে সিজদার তাসবিহ পড়া। সিজদায় কমপক্ষে তিনবার সুবহানা রব্বিয়াল আলা এই তাসবিহ পড়া। এরপর সিজদা থেকে আল্লাহু আকবার বলে মাথা উঠানো। দ্বিতীয় সিজদাঃ আল্লাহু আকবার বলে প্রথম সিজদার ন্যায় দ্বিতীয় সিজদা করা। এভাবে প্রথম রাকাআত পূর্ণ করা। দ্বিতীয় রাকাআতে ঈমাম যখন কিরাআত পড়েন তখন তোমরা নীরব থাকো। আর মুক্তাদির জন্যে ইমামের কিরাআতই যথেষ্ট আগেই বলা হয়েছে। এরপর পূর্বের ন্যায় রুকূ সিজদা করে তাশাহহুদ বা বৈঠক করাঃ দুই রাকাআত বিশিষ্ট নামাজ পূর্ণ হওয়ার পর তাশাহহুদ, দরূদ, দোয়া পড়ে সালাম ফিরিয়ে নামাজ শেষ করা।