জুমার নামাজে ইমামের পেছনে এক রাকাত পেলে জুমার নামাজ হবে। তবে দ্বিতীয় রাকাতে রুকু পেতে হবে। জুমার নামাজ পড়তে হলে ন্যূনতম এক রাকাত নামাজ পেতে হবে। আর রাকাত পাওয়াটি যেহেতু রুকু থেকে সাব্যস্ত হয়, অতএব কারো যদি দ্বিতীয় রাকাতে রুকু ছুটে যায়, তাহলে তিনি হয়তো সামিল হবেন, এরপর তিনি জোহরের পূর্ণাঙ্গ চার রাকাত নামাজ আদায় করবেন।
অথবা যদি একান্তই নামাজ না পান, তাহলে তিনি আলাদা জোহরের নামাজ পড়ে নেবেন। একাকী জুমার নামাজ তিনি পড়তে পারবেন না।
মহানবী (সাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি জুমার এক রাকাত নামাজ পায়, সে যেন অপর এক রাকাত পড়ে নেয়। (ইবনে মাজাহ, সুনান, হাকেম, মুস্তাদরাক, ইরওয়াউল গালীল, আলবানীঃ ৬২২, জামেঃ ৫৯৯১)।
ইবনে মাসঊদ (রাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি জুমার এক রাকাত পেয়ে যায়, সে ব্যক্তি যেন আর এক রাকাত পড়ে নেয়। কিন্তু যে (দ্বিতীয় রাকআতের) রুকূ না পায়, সে যেন যোহরের ৪ রাকাত পড়ে নেয়। (ইবনে আবী শাইবা, ত্বাবারানীরানী, মু’জাম, বায়হাকী, ইরওয়াউল গালীল, আলবানীঃ ৬২১)।
মাসবুক ব্যক্তির নামাজ আদায়ের সঠিক নিয়ম হলো সে ইমামকে যে অবস্থায় পাবে সে অবস্থাতেই নামাজে শরিক হবে। সালাম ফিরানো পর্যন্ত ইমামের অনুসরণ করবে আর 'ইমামের' শেষ বৈঠকে ধীরে ধীরে তাশাহুদ পড়বে দুরুদ ও দোয়া পড়বে না। এরপর ইমাম দুই দিকে সালাম ফিরিয়ে নামাজ শেষ করার পর মাসবুক ব্যক্তি তার ছুটে যাওয়া বাকি নামাজ আদায় করবে। যেহেতু আপনার এক রাকাত ছুটে গিয়েছে। এজন্য ওই বাকি এক রাকাত নামাজ আদায় করার নিয়ম হলোঃ দাঁড়িয়ে প্রথমে সানা, আউযুবিল্লাহ, বিসমিল্লাহ পড়বেন। এবং কেরাত পড়ার ক্ষেত্রে ছুটে যাওয়া রাকাতকে প্রথম ও শুরু রাকাত ধরে ফাতেহা পড়ার পর সুরা মেলাবেন। এবং সাভাবিক নিয়মে রুকু, সিজদা, বৈঠকে তাশাহুদ, দরুদ দোয়া মাসুরা পড়ে দুই দিকে সালাম ফিরিয়ে নামাজ শেষ করবেন।