রমজান মাসের তারাবীহ নামাজ জামাআতে পড়া বিধেয়। তবে একাকী পড়াও বৈধ। তবে মসজিদে জামাআত সহকারে এই নামাজ আদায় করাই অধিকাংশ উলামার মতে উত্তম। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবাদেরকে নিয়ে তারাবীহ নামাজ জামাআত সহকারে আদায় করেছেন। অবশ্য তা ফরয হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় তিনি জামাআত করে পড়া বর্জন করেছিলেন। আব্দুর রহমান বিন আব্দ আলক্বারী বলেন, একদা রমজানের রাত্রে উমর বিন খাত্তাবের সাথে মসজিদে গেলাম; দেখলাম, লোকেরা ছিন্ন ছিন্ন বিভিন্ন জামাআতে বিভক্ত। কেউ তো একাকী নামাজ পড়ছে। কারো নামাজের ইক্তিদা করে কিছু লোক জামাআত করে নামাজ পড়ছে। তা দেখে উমর (রাঃ) বললেন, আমি মনে করি, যদি ওদেরকে একটি ক্বারী (ইমামের) পশ্চাতে জামাআতবদ্ধ করে দিই, তাহলে তা উত্তম হবে। অতঃপর তিনি তাতে সংকল্পবদ্ধ হয়ে উবাই বিন কাবের ইমামতিতে সকলকে এক জামাআতবদ্ধ করলেন। তারপর আর এক রাত্রিতে আমি তার সাথে বের হয়ে গেলাম। তখন লোকেরা তাদের ইমামের পশ্চাতে জামাআত সহকারে নামাজ পড়ছে। তা দেখে উমর (রাঃ) বললেন, এটা একটি উত্তম আবিষ্কার। জনাব! তারাবীহ জামাআতের পেছনে একা একা নামাজ আদায় করা ঠিক হবে না।