হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘নামাজের প্রথম সারি হলো ফেরেশতাদের সারির মতো। তোমরা যদি প্রথম সারির মর্যাদা সম্পর্কে জানতে, তবে তা পাওয়ার জন্য ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়তে। মনে রেখো, একা নামাজ পড়ার চেয়ে দুই ব্যক্তির একত্রে নামাজ পড়া উত্তম। আর দুই ব্যক্তির একত্রে নামাজ পড়ার চেয়ে তিন ব্যক্তির একত্রে নামাজ পড়া উত্তম। এভাবে যত বেশি লোকের জামাত হবে, তা আল্লাহর কাছে তত বেশি প্রিয় হবে।’ আশা করি আপনি আপনার প্রশ্নের উত্তর পেয়েছেন।(দুজন থাকলেও জামাআত হবে)
জামাআতে নামাজের ক্ষেত্রে দুইজন মানুষ লাগে। আর কেবল ইমাম আর মুয়াযজিন থাকলেও জামাআতের সহিত নামাজ পড়া যাবে। ইমাম ছাড়া কম পক্ষে একটি মুসল্লি হলেই জামাআত গঠিত হবে। মহানবী (সাঃ) ইবনে আব্বাসকে নিয়ে জামাআত করে নামাজ পড়েছেন। আবূ মূসা আল-আশআরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ দুই বা ততোধিক ব্যাক্তি সমন্বয়ে একটি জামাআত হতে পারে। (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নম্বরঃ ৯৭২)। মালিক ইবনে হুওয়ায়রিস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, দুইজন লোক সফরে যাওয়ার ইচ্ছা ব্যক্ত করার জন্য নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এলো। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের বললেনঃ তোমরা উভয়ে যখন সফরে বেরুবে ''নামাজের সময় হলে'' তখন আজান দিবে, অতঃপর ইকামাত দিবে এবং তোমাদের উভয়ের মধ্যে যে বয়সে বড় সে ইমামতি করবে। (সহীহ বুখারী হাদিস নম্বরঃ ৬৩০ হাদিসের মানঃ সহিহ)।