তাহলে নামাজের নিয়ত কি মনে মনে পাঠ করতে হবে?? রেফারেন্স সহ জানতে চাই??
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

নামাজে নিয়ত পড়ার কথা কোথাও আসেনি। নিয়ত করাটাই হচ্ছে নামাজের বিধান। নিয়ত পড়াটাই হচ্ছে নামাজের মধ্যে যেটা আসেনি, সেটা আমরা করছি। নামাজের মধ্যে নিয়ত পড়াটা প্রায় সব ওলামায়ে কেরামের ঐকমত্যে বিদআত। কারণ, নিয়তের জন্য কোনো শব্দ রাসূল (সা.) শিক্ষা দিয়ে যাননি। হাদিসের মধ্যে কোনো শব্দ সাব্যস্ত হয়নি। এমন কোনো বিধান নেই যে এই বাক্যগুলো পড়ে নিয়ত করতে হবে। নিয়তটা হচ্ছে অন্তরের সংকল্পের বিষয়, মুখে উচ্চারণ করার বিষয় না। সালাতের ইচ্ছাপোষণ করা যে, ফজর হলে ফজর, জোহর হলে জোহর, আসর হলে আসর ইত্যাদি, এটাই নিয়ত। এটা হলো একেবারে অন্তরের বিষয়, এটি মুখে উচ্চারণ করার বিষয় নয়। এটা মুখে প্রকাশ করার বিষয় নয়। সুতরাং প্রকাশ করার দরকার নেই। নিয়ত আপনি অন্তরের মধ্যে করবেন আর মুখে যেটা বলার বিষয়, সেটা হলো আল্লাহু আকবার, তাকবিরে তাহরিমা পড়েই সালাতের মধ্যে ঢুকবেন। এর জন্য আল্লাহর নবী (সা.) সুনানে তিরমিজি সহিহ হাদিসের মধ্যে এরশাদ করেছেন, ‘সালাতের মধ্যে প্রবেশ করার পদ্ধতিই হচ্ছে তাকবিরের মাধ্যমে।’ এ কথা বলা হয়নি যে এই দোয়া পড়ে সালাতের মধ্যে আসবে। আল্লাহু আকবার বলে ঢোকাটাই হচ্ছে সালাতের মূল কাজ। এ জন্য এর নামই হচ্ছে ‘তাকবিরাতুল ইহরাম’ অথবা ‘তাকবিরাতুল তাহরিম’, যার মাধ্যমে সালাতের মধ্যে মানুষ প্রবেশ করবে। রোজার নিয়ত করা ফরজ। নিয়ত না করলে রোজা হবে না। অন্তরের দৃঢ় সংকল্পকে নিয়ত বলা হয়। মুখে বলা জরুরি নয়। এ সম্পর্কে আল্লামা শামি (রহ.) লিখেছেন, ‘আভিধানিক সূত্রে নিয়ত হলো ‘আজম’ আর আজম বলা হয়- মনের দৃঢ় সংকল্পকে।’ -ফাতাওয়ায়ে শামি : ২/৯০ রোজার নিয়ত করা ফরজ। নিয়ত না করলে রোজা হবে না। অন্তরের দৃঢ় সংকল্পকে নিয়ত বলা হয়। মুখে বলা জরুরি নয়। এ সম্পর্কে আল্লামা শামি (রহ.) লিখেছেন, ‘আভিধানিক সূত্রে নিয়ত হলো ‘আজম’ আর আজম বলা হয়- মনের দৃঢ় সংকল্পকে।’ -ফাতাওয়ায়ে শামি : ২/৯০ নিয়ত রোজার রোকন তথা শর্ত। আর ইবাদতের সওয়াবও নিয়তের ওপর নির্ভরশীল। হাদিস শরিফে আছে, ‘সকল আমল নিয়তের ওপর নির্ভরশীল।’ -সহিহ বোখারি নিয়তের ক্ষেত্রে সাধারণত আমরা দুই ধরনের ভুলের শিকার হয়ে থাকি। যেমন- ১. কেউ কেউ নিয়তের শব্দগুলো শুধু মুখে উচ্চারণ করেন; অন্তরে সংকল্প করেন না। ২. আবার অনেকে নিয়তের শব্দগুলো মুখেও উচ্চারণ করেন না; অন্তরেও কোনো কল্পনা উপস্থিত করেন না। তার মানে নিয়ত ফরজ হওয়ার কথা তিনি জানেনই না। উপরোক্ত দুই শ্রেণির কারো রোজাই হবে না। এ সম্পর্কে আদ্দুররুল মুখতার প্রণেতার ভাষ্য হলো- ‘নিয়তের ক্ষেত্রে অন্তরের সুদৃঢ় কর্মতৎপরতা গ্রহণযোগ্য। কাজেই শুধু মুখের উচ্চারণ কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়, যদি তা অন্তরের কথার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ না হয়। কেননা, শুধু মুখের উচ্চারণকে কথা বলা হয়; নিয়ত বলা হয় না।’ –আদ-দুররুল মুখতার: ২/৯১ নির্ভরযোগ্য ফিকহি উদ্ধৃতিসহ নিয়ত সংক্রান্ত কিছু মাসয়ালা হলো- মাসয়ালা: ফরজ রোজার নিয়ত রাত বাকি থাকতেই করা উত্তম। উম্মুল মুমিনিন হজরত হাফসা (রা.) বলেন, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ফজরের আগে রোজা রাখার নিয়ত করবে না তার রোজা (পূর্ণাঙ্গ) হবে না।’ -সুনানে আবু দাউদ: ১/৩৩৩

[বিদ্র-(তথ্য সূত্র-একটি ভিডিও

আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর এর ।)]

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ