জামাতে নামাজ আদায় করলে যে রাকাতে ইমাম দোয়া জোরে পাঠ না করেন তখন কি নিজেদের পাঠ করতে হয়।
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
RAyhanAR

Call

সূরা ফাতিহা নামাজে অবশ্যই পরতে । ঈমাম এর সাথে সূরা ফাতিহা পড়তে হয়।(আহলি হাদিস মাজহাবের নিয়ম )

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

মুক্তাদী যখন ইমামের পিছনে নামায আদায় করবেন তখন সুরা কিরাত পাঠ করতে হবে কি না তা নিয়ে উলামাদের মাঝে মতবিরোধ আছে। ইমামের পিছনে মুক্তাদীর কেরাত এর বিষয়টি অনেক গুরুতর! কারণ কারো মতে ইমামের পিছনে মুক্তাদীর কেরাত ফরজ, কারও মতে ওয়াজিব, আবার কারও মতে মাকরুহে তাহরিমী আর কারও মতে হারাম। ইমাম মালিক ও ইমাম আহমদ তাদের উভয়েরই মত হলঃ ইমাম যখন কেরাত শব্দ করে জোরে জোরে পড়েন যথাঃ ফজর, মাগরিব, এশার ক্ষেত্রে মুক্তাদীর ইমামের পিছনে সুরা ফাতিহা পাঠ করার দরকার নেই। কিন্তু ইমাম যখন কেরাত চুপে চুপে পড়েন, যোহর, আসর এর ক্ষেত্রে সুরা ফাতিহা পাঠ করতে হবে। ইমাম শাফেয়ী উনার প্রসিদ্ধ মত হচ্ছে, ইমাম যখন কেরাত শব্দ করে জোরে জোরে পড়েন এবং ইমাম যখন কেরাত চুপে চুপে পড়েন উভয় ক্ষেত্রেই মুক্তাদীর সুরা ফাতিহা পাঠ করতে হবে। ইমাম আবু হানিফা, আবু ইউসুফ এবং মুহাম্মদ তারা সবাই তাদের মতামতে এক তাঁরা বলেছেন, ইমামের পিছনে মুক্তাদীর পবিত্র কোরআনের যে কোন অংশ তিলাওয়াত করা, সেটি সুরা ফাতিহা হোক বা অন্য কোন আয়াত হোক, জায়েজ নেই, যে নামাযে ইমাম কেরাত শব্দ করে জোরে জোরে পড়েন এবং কেরাত চুপে চুপে পড়েন তা উভয় নামাযের ক্ষেত্রে। হাদিসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেনঃ যে ব্যক্তি নামাযে সূরা ফাতিহা পাঠ করে না তার নামায ক্রটিপূর্ণ, তার নামায ক্রটিপুর্ণ, তার নামায ক্রটিপূর্ণ, অসম্পূর্ণ। রাবী বলেন, পরবর্তীকালে আমি আবূ হুরায়রা (রাঃ) কে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করি যে, আমি যখন ইমামের পিছনে থাকি, তখন সূরা ফাতিহা পাঠ করব কি? তিনি আমার বাহু চাপ দিয়ে বলেন, হে ফারসী। তখন তুমি তোমার মনে মনে তা পাঠ করবে। কেননা আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি মহান আল্লাহ বলেন, আমি নামাযকে অর্থাৎ সূরা ফাতিহাকে আমার ও আমার বান্দার মধ্যে বিভক্ত করেছি। এর অর্ধেক আমার জন্য এবং বাকী অর্ধেক আমার বান্দার জন্য এবং আমার বান্দা আমার নিকট যা কামনা করে তাই তাকে দেয়া হয়। (সূনান আবু দাউদ হাদিস নম্বরঃ ৮২১) আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ ইমাম এজন্য নিযুক্ত করা হয় যে, তার অনুসরণ করা হবে, তোমরা কখনো তার উল্টো করো না। সে যখন আল্লাহু আকবার বলে, তোমরাও আল্লাহু আকবার বলো। সে যখন রুকু করে, তোমরাও তখন রুকূ।করো। সে যখন সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ বলে তোমরাও তখন আল্লাহুম্মা রব্বানা- লাকাল হামদ বলো। সে যখন সাজদায় যায়, তোমরাও তখন সাজদায় যাও। সে যখন বসে সালাত আদায় করে, তোমরাও সবাই মিলে বসে সালাত আদায় করো। (সহীহ মুসলিম হাদিস নম্বরঃ ৮১৬) জনাব! ইমাম আবু হানিফা তথা হানাফি মাযহাবের মতে, জামাতে নামাজ আদায় করলে যে রাকাতে ইমাম কিরাত জোরে পাঠ করেন না তখন নিজেদের তা পাঠ করতে হবে না। তবে জামাতে নামাজ আদায় করলে দোয়া সমুহ অবশ্য-ই পড়তে হবে। যেমন, তাকবিরে তাহরীমা ''আল্লাহু আকবার'' বলা, সানা পড়া, রুকু থেকে উঠিবার সময় ''সামিয়াল্লাহ হুলিমান হামিদাহ'' বলা। রুকু এবং সিজদার তাসবীহ তিন বার পড়া, তাশাহুদ পড়া ওয়াজিব। দরুদ শরীফ পড়া সুন্নাত। দোয়া মাসুরা পড়া সুন্নাত। সালাম দিয়ে নামাজ শেষ করা ওয়াজিব।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ