হ্যা, যখন সুর্য উদয় আরম্ভ হয়, তখন থেকে সুর্য উপরে উঠা পর্যন্ত শুধু ফজরের সুন্নত ও ফরজ ব্যাতিত অন্য কোন নামাজ পড়া যাবে না। কেননা, সুন্নত নামাজের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ফজরের দুই রাকাত সুন্নত। হাদিস শরিফে এর প্রভূত ফজিলত সম্পর্কে বিভিন্ন বর্ণনা এসেছে। এছাড়াও এর প্রতি যেরূপ তাগিদ দেওয়া হয়েছে, যা অন্য সুন্নতের ক্ষেত্রে ততটুকু দেওয়া হয়নি। এ প্রসঙ্গে আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদিস শরিফে এসেছে, রাসুল (সাঃ) ইরশাদ করেছেন, তোমরা ফজরের সুন্নত ছেড়ে দিয়ো না। যদিও শত্রুবাহিনী তোমাদেরকে তাড়া দেয়। (আবু দাউদ, হাদিসঃ ১২৫৮) আরেক হাদিসে আছে, নবী (সাঃ) ফজরের দুই রাকাত (সুন্নত) নামাজে এত গুরুত্ব দিতেন যে, অন্য কোনো নফল (বা সুন্নত) নামাজে ততটুকু দিতেন না। (বুখারি হাদিসঃ ১১৬৩; মুসলিম হাদিসঃ ৭২৪) সুতরাং ফজরের জামাত শুরু হয়ে গেলেও সুন্নত পড়ে যদি জামাতের সঙ্গে অন্তত দ্বিতীয় রাকাতও পাওয়া যায়, তাহলে সুন্নত নামাজ পড়ে নিতে হবে। আর দ্বিতীয় রাকাত পাওয়ার সম্ভাবনা না থাকলে সুন্নত পড়বে না; বরং জামাতে শরিক হয়ে যাবে এবং সূর্যোদয়ের পর সুন্নত পড়ে নেবে। কেননা আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সাঃ) বলেন, যে ফজরের দুই রাকাত (সুন্নত) পড়তে পারে না, সে যেন তা সূর্যোদয়ের পর পড়ে নেয়। (তিরমিজি, হাদিসঃ ৪২৩) হুমায়দ ইবনে মাসআদা (রহঃ) উকবা ইবনে আমির (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিনটি সময়ে আমাদেরকে সালাত আদায় ও মৃত ব্যাক্তিকে দাফন করতে নিষেধ করতেন। (১) যখন সুর্য উদয় আরম্ভ হয়, তখন থেকে সুর্য উপরে উঠা পর্যন্ত। (২) ঠিক দ্বিপ্রহরের সময়, পশ্চিম আকাশে সুর্য ঢলে না পড়া পর্যন্ত। (৩) যখন সুর্য অস্তমিত হওয়ার উপক্রম হয়, তখন থেকে সুর্য অস্তমিত না যাওয়া পর্যন্ত। (সূনান নাসাঈ, হাদিস নম্বরঃ ৫৬৫ সহিহ মুসলিম (ইসলামিক সেন্টার) হাঃ ১৮০৬ হাদিসের মানঃ সহিহ।