শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

বেশি লবণ খাওয়ার কারণে হওয়া সমস্যাগুলো সম্পর্কে জানিয়েছে স্বাস্থ্যবিষয়ক এক ওয়েবসাইট।

শরীর ফোলা: অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার কারণে দেহে সোডিয়ামের পরিমাণ বেড়ে যায়। ফলে শরীর বেশি পানি শোষণ করে এবং ফুলে ওঠে। তাই লবণ খাওয়া কমাতে হবে।

উচ্চ রক্তচাপ: লবণ বেশি তো সোডিয়াম বেশি, আর সোডিয়াম বেশি তো রক্তচাপও বেশি। গবেষণা অনুযায়ি, দৈনিক লবণ খাওয়ার পরিমাণ মাত্র ৪.৬ গ্রাম কমলেই রক্তচাপ কমে আসে।

হৃদরোগের ঝুঁকি: সোডিয়াম শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় একটি উপদান। তবে অতিরিক্ত সোডিয়াম সঙ্গে আনে বিভিন্ন ক্ষতিকর প্রভাব, যেমন- হৃদরোগ।

হৃদযন্ত্রের রক্তনালীতে ব্লক, হৃদযন্ত্রের কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়া, স্ট্রোক ইত্যাদি রোগের আশঙ্কা দ্বিগুণ করে দেয় অতিরিক্ত লবণ। ধূমপায়ী, বৃদ্ধ, ডায়বেটিসে আক্রান্ত রোগী এবং উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত ব্যক্তিদের হৃদরোগ বেশি হয়। তাই এসব সমস্যা থাকলে লবণ খাওয়ার প্রতি সতর্ক থাকতে হবে।

বুদ্ধিমত্তা কমে যাওয়া: রক্তচাপ বাড়লে মস্তিষ্কেও সমস্যা দেখা দিতে পারে। যারা বেশি লবণ খায় এবং অধিকাংশ সময় বসে সময় পার করেন তাদের বুদ্ধিমত্তা হ্রাস পায় ক্রমেই। তাই অতিরিক্ত লবণযুক্ত খাবার খাওয়া কমাতে হবে এবং প্রতিদিন কমপক্ষে এক ঘণ্টা ব্যায়াম করতে হবে।

বৃক্কজনীত সমস্যা: রক্ত থেকে বর্জ্যপদার্থ দূর করতে বৃক্ক গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। বৃক্কে সমস্যা হলে রক্তে তরল্যের ভারসাম্য নষ্ট হয়। আর রক্তচাপ বাড়লে রক্তনালীতে চাপ পড়ে। ফলে বৃক্ক নষ্টও হয়ে যেতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, যাদের বৃক্কে সমস্যা আছে, তারা লবণ খাওয়া কমালে বৃক্কের উন্নতি ঘটে। অর্থাৎ লবণ খাওয়া কমালে বৃক্ক ভালো থাকে।

লবণের নেশা: যাদের বেশি লবণ খাওয়ার অভ্যাস আছে তাদের লবণ খাওয়ার আলাদা আগ্রহ তৈরি হতে পারে। এই আগ্রহ সামাল দিতে সরাসরি লবণ না খেয়ে লবণের বিকল্প যেমন মরিচের গুঁড়া খেতে পারেন। সালাদে লবণের পরিবর্তে মরিচের গুঁড়া ব্যবহার করলে বাড়তি সোডিয়াম গ্রহণ থেকে রক্ষা পাবেন।

স্ট্রোকের সম্ভাবনা: বেশি লবণ গ্রহণ করা মানেই শরীরে অতিরিক্ত সোডিয়াম। যা থেকে হতে পারে উচ্চ রক্তচাপ। আর সেখান থেকে স্ট্রোক। তাই লবণ খাওয়া কমিয়ে শরীরে সোডিয়ামের মাত্রা ঠিক রেখে স্ট্রোকের ঝুঁকি কমানো যায়।

ত্বক: ভাবতে পারেন লবণ কীভাবে চামড়ার ক্ষতি করে! তবে সত্যি হল অতিরিক্ত লবণ খেলে চামড়ায় ‘অ্যাডিমা’ হতে পারে। অর্থাৎ বাহু, পা বা গোড়ালির ত্বক ফুলে যেতে পারে, যা দেখতে বিশ্রি লাগে। আপনি নিশ্চই চান না আপনাকে দেখতে কদাকার লাগুক।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
RushaIslam

Call

কোনো কারণে শরীর অতিরিক্ত মাত্রায় পানিশূন্য হয়ে পড়লে বা কখনও কখনও বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রোলাইটিকের মাত্রা বেড়ে গেলে ভারসাম্যহীনতা থেকে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। সাধারণত সোডিয়াম, পটাশিয়াম বা ক্যালসিয়ামজনিত ভারসাম্যহীনতা হতে দেখা যায়। 

১.আপনাকে প্রচুর জল পান করতে হবে।

২.প্রচুর শারীরিক শ্রম করুন।

৩.ব্যায়াম করুন।

৪.প্রতিদিন কিছুসংখ্যক আঙুর খাবেন।

৫.শাক-সবজি ও ফলমূল সমৃদ্ধ সুষম খাদ্য গ্রহণ করুন।

৬.টমেটো /কলা খাবেন রোজ একটি করে।


ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ