কারণ হল মানুষের দুনিয়া আসক্তি বা দুনিয়ার প্রতি মায়া।বাড়ী-গাড়ী, সন্তান-সন্ততি, আত্মীয়-স্বজন, ভক্তকুল সবাইকে রেখে সবকিছু ছেড়ে কেবল এক টুকরো কাফনের কাপড় সাথে নিয়ে কবরে প্রবেশ করতে হবে। বিলাসিতায় কাটানো সুন্দর দেহটা পোকার খোরাক হবে। জীবনের সকল আশা ও আকাংখা মুহূর্তের মধ্যে বিলীন হয়ে যাবে। সকল হাসি সেদিন কান্নায় পরিণত হবে। মানুষ তাই মরতে চায় না। সর্বদা সে মৃত্যু থেকে পালিয়ে বাঁচতে চায়। অথচ আল্লাহ বলেন,قُلْ إِنَّ الْمَوْتَ الَّذِي تَفِرُّونَ مِنْهُ فَإِنَّهُ مُلاَقِيكُمْ ثُمَّ تُرَدُّونَ إِلَى عَالِمِ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ فَيُنَبِّئُكُمْ بِمَا كُنْتُمْ تَعْمَلُونَ ‘তুমি বলে দাও, নিশ্চয়ই যে মৃত্যু থেকে তোমরা পালিয়ে বেড়াচ্ছ, তা অবশ্যই তোমাদের কাছে উপস্থিত হবে। অতঃপর তোমাদেরকে ফিরিয়ে নেওয়া হবে সেই সত্তার কাছে, যিনি অদৃশ্য ও দৃশ্যমান সবকিছু সম্পর্কে অবগত। অতঃপর তিনি তোমাদেরকে তোমাদের কৃতকর্ম সম্পর্কে জানিয়ে দিবেন’ (জুম‘আ ৬২/৮)।
আমার মতে দুই ধরনের মানুষের জন্য দুটি কারন আছে। সৃষ্টি কর্তায় বিশ্বাসীগণ মরতে ভয় পাননা, আদতে মৃতু নিয়া তাদের ভাবনায় থাকেনা, তাই বলে তারা স্বইচ্ছায় মৃত্যুর দিকে যাননা, কারন বিধাতাই বলেছেন, সাবধান থাকতে যাহাতে আমরা আমাদের জীবনকে পূর্ণভাবে কাজে লাগাতে পারি। আর কিছু মানুষ যাহারা সৃষ্টি কর্তায় বিশ্বাসী কিন্তু বিশ্বাস প্রবল নয়। তারা দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করতে না পেরেই মরতে চান না। তারা ধারনা হয়ত এটাই সব শেষ। আর একটা কথা আছে তা হচ্ছে মরতে না চেয়েই আমরা মৃত্যুর দিকেই যাচ্ছি।