ঘুমের ওষুধ বা ঘুমের বড়ি বলতে আমরা বারবিচুরেটরকে বলে থাকি। এ ওষুধগুলো প্রশান্তিদায়ক ঘুমের জন্য, দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত থাকার জন্য কিংবা মাংসপেশি শিথিল করার জন্য অনেকে খেয়ে থাকেন। অনেক সময় বয়ঃসন্ধি ছেলেমেয়েরা আবেগপ্রসূত হয়ে অতিরিক্ত বারবিচুরেট জাতীয় ওষুধ খেয়ে ফেলে।
এসব ওষুধ অতিরিক্ত খেলে শ্বাস-প্রশ্বাস শ্লথ হয়ে আসে, রক্তচাপ হঠাৎ করে কমে যায়, মুখমণ্ডল নীল হয়ে আসে, পেশি থলথলে হয়ে থাকে, শরীরের ত্বক ঠান্ডা ও চটচটে হয়। রোগী অচেতন হয়ে পড়ে। শ্বাসক্রিয়া বন্ধ হয়ে রোগীর মৃত্যু ঘটতে পারে।
ঘুমের ওষুধ খেলে মানুষ মারা যায় বা যাবে কথা টা সত্য নয় আবার মিথ্যা ও নয়। কিন্ত এই ওষুধ গুলা অতিরিক্ত সেবন করা উচিত নয়। অতিরিক্ত সেবন করার ফলে নানা রকম সমস্যা দেখা দিবে, ,,, যে সব কারণে আপনি মারা ও যেতে পারেন।
একেকটি ঘুমের ঔষুধের একেকরকম ক্রিয়া। কোনো একজন ব্যক্তি যদি ১পাতা ঘুমের ঔষধ খায় তাহলে তার শরীরে ঠিক যেমন প্রভাব ফেলবে,অপর ব্যক্তি ওই একই মেডিসিন সেবনের ফলে তার শরীরে আরো খারাপ প্রভাব পড়তে পারে। ঘুমের মেডিসিন খেলে মারা যায় এমন ভ্রান্ত ধারণা থাকলেও এটির সত্যতা খুবই কম। ঘুমের মেডিসিন সেবনের ফলে একজন ব্যক্তির স্নায়ুতন্ত্র কাজ করা কমিয়ে দেয় ফলে সে ধীরে ধীরে নিস্তেজ হতে থাকে। তাকে সঠিক সময়ে চিকিৎসক এর কাছে নিয়ে গেলে সে সুস্থ হয়ে যাবে। যদি সেই ব্যক্তির শরীরে অন্য কোনো রোগের জীবাণু থাকে বা সে শারীরিক ভাবে প্রকৃতিগত ভাবেই দুর্বল হয় তাহলে তার স্নায়ুক্রিয়া বন্ধ হয়ে সে মারাও যেতে পারে। কাজেই কতটি মেডিসিন খেলে কেউ মারা যায় এটির কোনোরকম সঠিক পরিমাপ নেই।