আমার বয়স ১৮ বছর । আমি আমার নানির বাড়িতে বেড়াতে গেলে আমার নানি আমার সাথে কখনো ভালো করে কথা বলে না । ভালো কথা জিঙ্গাসা করলে প্রত্যেকটা কথা রেগে বলে । তারা কেও আমাকে একফুটা দাম দেই না । আমি এখন আর তাদের বাসাই যাই না । এখন আমি কি করবো কেউ জানাবেন প্লিজ ।
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

নানিরা তো এই রকম করে না সাধারণত নানা নানি তাদের নাতি নাতনি কে খুব ভালবাসেন এবং আদর করে থাকেন৷ কিন্ত আপনি যা বলছেন সেই রকম হওয়ার কথা নয়। যদিও আপনার ক্ষেত্রে এই রকম টা হচ্ছে। আমি বলব আপনার নানি আপনার উপর কোন ভাবে রেগে আছে যে কারণে এমন করে থাকে। আপনি চেষ্টা করুন সেই রাগের কারণ টা খুঁজে বার করার। বা আপনার নানির সাথে এই বিষয় এ খোলামেলা আলোচনা করে নিন। তাহলে আশা করছি সমস্যার সমাধান হবে।    

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
RushaIslam

Call

আপনি আপনার নানির মনের মত হবার চেষ্টা করুন। খুঁজে বার করুন তিনি কোন কারণে আপনার সাথে এমনটি করছেন,খুঁজে বার করুন কেন তিনি আপনার উপর রাগ দেখাচ্ছেন। তিনি যতই রাগ দেখাক না কেন আপনি কখনোই তার সাথে খারাপ ব্যবহার করবেন না কিংবা রাগ দেখাবেন না। তার প্রতি বিনয়ী হোন,তার পছন্দের কাজ গুলি করতে পারেন। চেষ্টা করুন তার সাথে বন্ধুত্ব্বপুর্ণ আচরণ করার এবং তার সাথে বন্ধুর মতন মেশার। জানার চেষ্টা করুন তিনি কি কি অপছন্দ করেন এবং কি কি পছন্দ করেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

আপনার উচিৎ হবে আপনার নানির সাথে এই বিষয়ে কথা বলে খুলাখুলি ভাবে তা বুঝে শুনে সমাধান করা। আপনার ছোট-বড়,  জানা-অজানা ভুল করে থাকলে সেগুলো থেকে ক্ষমা চাবেন। ক্ষমা চাইবেন আপনার ক্ষতি নেই এখানে। আর ক্ষমা চাইলেই যে  ছোট হয়ে যায়  এমনটা নয়। 


                [কবিতার একটা অংশ মনে পড়ে গেল-

                  "বড় যদি হতে চাও ছোট হও তবে"]


জীবনে বড় হতে গেলেও আমাদের ছোট হতে হবে। বড় হয়ে থাকলেই যে,সমাধান পাবেন এমনটা নয়। তাহলে অবশ্যই এটা বলার আর অপেক্ষা থাকেনা, আপনি তার প্রাপ্য সন্মান দিন। তাকে রাগ দেখাবেন না। তার সামনে অশ্লীল কাজ করবেন না। ধুম পান,মদ পান করে থাকলে সেগুলো থেকে বাহির হন অথবা, নানির সামনে খাবেন না।


মূল কথাবার্তায় আসি: আপনাকে দাম দেয়না তাই কি হয়েছে। আপনি তাকে দাম দিন সেও আপনার সাথে ভালো ব্যাবহার করবেন। তাকে তার প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করবেন না। যেমন- কোন কিছু করতে বললে সেটা করবেন। তিনি যেহেতু গুরুজন তাই আপনার উচিৎ তার কথা শুনা । কথা যদি শুনেন তবে তার রাগ মুখ বা রাগ কথা না শুনে আপনি তার আদর স্নেহ পাবেন।  


আপনার উচিৎ হবে তার চোখে চোখ রেখে কথা বলা। কারণ কোন ব্যক্তি যদি অপর ব্যক্তির চোখে চোখ রেখে কথা বলে তবে দেখা যায় কি দুইজন ব্যক্তির মধ্যেই ভালো সম্পর্ক তৈরি হয়। আপনার ক্ষেত্রে আপনার নানির। চোখে চোখ রেখে কথা বললে কথায় মনোযোগ বৃদ্ধি পায়। মনোযোগ বৃদ্ধি সহ আরো একটা কাজ হয় দুইজন দুইজনকে দাম দেয়। আপনার ক্ষেত্রে আপনার নানি।


আপনার নানির সাথে আপনি একটু গল্প করতে পারেন  ফ্রি টাইমে। যদি গল্প করেন তবে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।  গল্প বলার সময় তার মধ্যে রাগ,হাসি,দুঃখ, কান্না রাখবেন। এতে সে আপনাকে বুঝিতে শিখবেন।


আপনার প্রতি যাতে তাদের বিশ্বাস তৈরি হয় সেটা দেখুন। যেমন- তাদের ছোট খাটো কাজে সাহায্য করবেন, তাদের সব সময় সত্যি বলবেন, মিথ্যা থেকে দূরে থাকবেন।  আপনাকে দাম দিবে আপনি যদি তাদের মনে আপনার জন্য জায়গা তৈরি করতে পারেন। যায়গা তারা গড়ে দিবেন না আপনাকেই তৈরি করতে হবে আপনার বিশ্বাস ও সাহস দিয়ে।


সব শেষে বলব- ইহা নিয়া বেশি রাগা রাগি করবেন না। বলবেন না যে,  আমাকে দাম কেন দেওয়া হয় না। এটা না বলে বলবেন, আমাকে পরিবার আসলেই অনেক ভালোবাসে অনেক দাম দেয়। নিজের মধ্যে যত গুন আছে সব গুণ কাজে লাগিয়ে তাদের মন জয় করার চেষ্টা করুন।


ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ