Call

কোনো স্বামী যদি তার স্ত্রীকে অকারণে 'অযৌক্তিক কারণে' তালাক দেয় তাহলে তালাক হয়ে যাবে। শুধু তাই নয় প্রকৃতপক্ষে অথবা ঠাট্টাচ্ছলে তালাক দেওয়া হলেও তা পতিত হয়। আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তিনটি বিষয়ে প্রকৃতপক্ষে বললেও এবং ঠাট্টাচ্ছলে বললেও যথার্থ বলে বিবেচিত হবেঃ বিয়ে, তালাক ও রাজআত 'তালাক প্রত্যাহার'। (সূনান আত তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১১৮৪ হাদিসের মানঃ সহিহ)। ইসলামে তালাক দেওয়ার ক্ষমতা স্বামীর হাতে দেওয়া হয়েছে। স্ত্রীরা তালাক দিতে পারেনা। যেহেতু পুরুষ মহিলার তুলনায় জ্ঞানে পাকা, ক্রোধের সময় বেশী ধৈর্যশীল। নচেৎ স্ত্রীদের তালাক দেওয়ার ক্ষমতা থাকলে সামান্য ঝামেলাতেই সে ‘তোমাকে তালাক’ বলে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটিয়ে থাকত। যেমন অনেক মহিলা সামান্য কিছু হলেই রেগে বলে বসে, ‘আমাকে তালাক দাও’, ‘আমি তোমার ভাত খাব না’ ইত্যাদি। মহানবী (সাঃ) বলেন, যে স্ত্রীলোক অকারণে তার স্বামীর নিকট থেকে তালাক চাইবে, সে স্ত্রীলোকের জন্য জান্নাতের সুগন্ধও হারাম হয়ে যাবে। সাওবান (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ স্বামীর নিকট হতে যেসব নারী কোন বিবেচনাযোগ্য কারণ ছাড়াই তালাক চায় তার জন্য জান্নাতের সুগন্ধও হারাম। (সূনান আত তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১১৮৭ হাদিসের মানঃ সহিহ)। তবে একটি বিষয় ইসলামে অনুমোদন দেওয়া আছে। সেটা হলো, যদি কোনো কারণে কোনো স্ত্রী মনে করেন যে তাঁর হক নষ্ট হচ্ছে অথবা তাঁর ওপর জুলুম করা হচ্ছে অথবা ব্যক্তিগত কোনো কারণে এখানে সংসার করতে চাচ্ছেন না, সে ক্ষেত্রে স্ত্রীর জন্য জায়েজ আছে স্ত্রী স্বামীর সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে ‘খোলা’ করতে পারবেন। খোলাও এক প্রকার তালাকই। কিন্তু সেটা হচ্ছে, স্বামীর সঙ্গে আলোচনা করে দাম্পত্য সম্পর্ক থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া, মুক্ত করে নেওয়া।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ