কোন নারী স্বামীকে যেভাবেই বলুক না কেন যে, তোমাকে ১ তালাক ২ তালাক ৩ তালাক দিলাম। এক্ষেত্রে শরিয়তে তালাক পতিত হবে না। কেননা, তালাক দেওয়ার ক্ষমতা শুধুমাত্র পুরুষদেরকে দেওয়া হয়েছে। নারীরা তালাক দিতে পারে না। কেবলমাত্র তালাক স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে দিতে পারে। কোন পুরুষ যদি প্রকৃতপক্ষে অথবা ঠাট্টাচ্ছলেও তালাক দেয় যা যথার্থ বলে বিবেচিত হবে। আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তিনটি বিষয়ে প্রকৃতপক্ষে বললেও এবং ঠাট্টাচ্ছলে বললেও যথার্থ বলে বিবেচিত হবেঃ বিয়ে, তালাক ও রাজআত। (তিরমিজীঃ ১১৮৪) আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ হে নবী! তোমরা যখন তোমাদের স্ত্রীগণকে তালাক দিতে ইচ্ছে কর তাদেরকে তালাক দিও ইদ্দতের প্রতি লক্ষ রেখে এবং তোমরা ইদ্দতের হিসেব রেখো। আর তোমাদের রব আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন করো। তোমারা তাদেরকে তাদের ঘড়বাড়ি থেকে বহিস্কার করো না। এবং তারাও বের হবে না, যদি না তারা লিপ্ত হয় স্পষ্ট অশ্লীলতায়। আর এগুলো আল্লাহর নির্ধারিত সীমা; যে আল্লাহর সীমা লঙ্ঘন করে সে নিজেরই উপর অত্যাচার করে। আপনি জানেন না, হয়ত আল্লাহ এর পর কোন উপায় করে দেবেন। (সুরা তালাকঃ ১) অতঃপর তাদের ইদ্দত পূরণের কাল আসন্ন হলে তোমারা হয় যথাবিধি তাদেরকে রেখে দেবে, না হয় তাদেরকে পরিত্যাগ করবে এবং তোমাদের মধ্য থেকে দুজন ন্যায়পরায়ণ লোককে সাক্ষী রাখবে আর তোমার আল্লাহর জন্য সঠিক সাক্ষ্য দেবে। এ দ্বারা তোমাদের মধ্যে যে কেউ আল্লাহ ও শেষ দিবসের উপর ঈমান রাখে তাকে উপদেশ দেয়া হচ্ছে। আর যে কেউ আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন করে আল্লাহ তার জন্য 'উত্তরণের' পথ করে দেবেন। (সুরা তালাকঃ ২) তবে কোনো নারীর যদি সত্যিই উপযুক্ত কারণ থাকে তার স্বামীকে ছেড়ে দেওয়ার মতো, তাহলে তার সুযোগ আছে “খোলা” করে তার কাছ থেকে নিষ্কৃতি পাওয়ার জন্য। খোলা শব্দের অর্থ হচ্ছে পৃথক হওয়া। এটা তালাক নয়। আর উপযুক্ত কারণ না থাকলে কোনো নারী যদি অহেতুক তার স্বামী থেকে বিচ্ছিন্ন হতে চান বা কোনো নারী যদি তার স্বামীর কাছে তালাক চায় তাহলে এটা মারত্মক কবীরা গুনাহ এবং এটা মুনাফিকক নারীদের একটা বৈশিষ্ট্য। সহীহ হাদীসে এদের সম্পর্কে বলা হয়েছে – এরা জান্নাতের সুগন্ধিটুকুও পাবে না অর্থাৎ জাহান্নামে যাবে। জনাব! স্ত্রী স্বামীকে সরাসরি তালাক দিতে পারে না, তবে তালাক নেয়ার ব্যবস্থা করতে পারে।